বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট কোম্পানি হচ্ছে গুগল। এবং সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ এই google থেকে টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে।

তাই আজকে আপনাদেরকে আমি নিজেই গাইড করব যে কিভাবে আপনি google থেকে টাকা ইনকাম করবেন।

আমি এ কারণেই গাইড করব যে, কারণ আমি নিজেও google থেকে টাকা ইনকাম করে যাচ্ছি।

এখন আমি কত টাকা ইনকাম করছি কিভাবে ইনকাম করেছি তার সবকিছুর বিস্তারিত আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

বর্তমানে অসংখ্য মানুষ  google থেকে টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে। এবং গুগলের জনপ্রিয় যত ইনকাম সোর্স রয়েছে তার সবগুলোই মানুষ কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়তই ইনকাম করে যাচ্ছে। তাই আপনিও যদি গুগল থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে google থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়গুলো জেনে নিন।

প্রথমেই বলেছি যে গুগল থেকে মাসে লাখ টাকা আয় করে, এমন মানুষও আছে। এবং আপনাদেরকে পুরো প্রমানসহ দেখাবো।

এবং আপনিও যদি google থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে কিভাবে করবেন, কি কি কাজ জানতে হবে, কত সময় এবং কত টাকা লাগবে, প্রতি মাসে গুগল থেকে কত টাকা আয় করতে পারবেন এসব বিষয়ের স্ট্রাটেজির রিসার্চ করে আপনাদেরকে দেখাবো।

আশা করি আজকের ব্লগটি পড়ার পর আপনিও গুগল থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। এবং কিভাবে সেই টাকা হাতে পাবেন তাও জানিয়ে দিবো।

সুতরাং বলা যায় যে, google থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আজকের ব্লগটির দেয়া গাইডলাইন থেকে আপনার যাত্রা শুরু হবে।

গুগলের জনপ্রিয় তিনটি প্রোডাক্ট হলোঃ ১. ব্লগস্পট, ২. ইউটিউব, ৩. গুগল প্লে স্টোর।

এই তিনটা প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবলিশার’রা মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করে থাকে।

google থেকে টাকা ইনকাম করুন

এখন পর্যন্ত গুগলের ব্লগস্পট, ইউটিউব, প্লে স্টোর প্ল্যাটফর্মগুলো সবচেয়ে বেশি পরিচিত।

এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে সহজেই টাকা ইনকাম করা যায়।

অবশ্য আপনাদেরকে এই ব্যাপারেই বলবো। এবং আপনি এখানে যেকোনো প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আবার আপনি চাইলে সবগুলো প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

প্রতিটা প্ল্যাটফর্ম থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করে সেই টাকা হাতে পাবেন তার বিস্তারিত বলবো।

এবং আপনাকে কি কি কাজ শিখতে হবে কিংবা কি কি ডিভাইস লাগবে কত টাকা খরচ হতে পারে তারও একটা আইডিয়া দিবো।

আপনাদেরকে বলে রাখি যে, আপনি যদি একবার এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভালোভাবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন তাহলে আপনি অনায়াসে প্রতি মাসে টাকা আয় করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ের টপ ইউটিউবারের মাসিক ইনকাম হচ্ছে ৩ মিলিয়নেরও বেশি। সে কিন্তু গুগলের ইউটিউব থেকেই ইনকাম করে।

তাহলে সেই ৩ মিলিয়নকে টাকায় রুপান্তর করলে হয়ঃ ৩০,০০,০০০*৮৫= ২৫৫,০০০,০০০। এখানে কিন্তু ২৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।

শুধু একবার চিন্তা করেন। একটা লোক গুগলের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা আয় করে।

সে আর কেউ নয়। বর্তমান সময়ের টপ ইউটিউবার MrBeast.

এখানে আরেকটা কথা আছে। সেটা হচ্ছে পরিশ্রম এবং ভাগ্য। তবে যে চেষ্টা করে সে হারে না। যাইহোক!

আমি নিচে তিনটা প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করার একটা বেসিক থেকে এডভান্স গাইড করার চেষ্টা করব।

আপনারা গাইডগুলো থেকে যে পয়েন্টগুলো পাবেন তা গুগলে আলাদা আলাদা করে সার্চ করবেন।

এটা নতুনদের জন্য। যাতে নতুনরা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে।

আর আমি মূল পয়েন্টগুলো নোট করে দিবো। যাতে বুঝতে সুবিধা হয়। এবার মূল আলোচনায় চলে যাই।

১. ব্লগিং করে ইনকাম

বর্তমান সময়ে কম কষ্ট করে সহজেই টাকা ইনকাম করার সেরা একটি উপায় হলো ব্লগিং করে ইনকাম।

ব্লগিং করে google থেকে টাকা ইনকাম করুন

এখন, আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে ব্লগিং কি?

এর উত্তরে আমি এক কথায় বলবো কোনো একটা কিংবা তার বেশি টপিক নিয়ে কোনো সাইটে লেখালেখি করাকে ব্লগিং বলে।

কোনো সাইট মানে নিজের সাইটে লিখতে তা হবে ব্লগিং। অন্য কারো সাইটে লিখলে তা হবে গেস্ট পোস্টিং।

মূল টপিকে আসতে গেলে একটা কথা আসে যে ব্লগিং এর সাথে গুগলের কি সম্পর্ক?

মানে কিভাবে ব্লগিং থেকে গুগলের মাধ্যমে টাকা আয় হবে?

আমরা সবাই এটা বুঝি যে ব্লগিং করতে হলে একটা ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে।

ওয়েবসাইট প্রয়োজনের কারণ হচ্ছে নিজের লেখাগুলোকে পাবলিশ করতে হলে অবশ্যই একটা ওয়েবসাইট লাগবে।

তাহলে!!! একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত খরচ! প্রথমে একটি ডোমেইন কেনা লাগবে। তারপর ভালোমানের হোস্টিং!

ব্লগিং ক্যারিয়ার ভালো করে শুরু করতে হলে সেই সাথে লাগবে একটা ভালোমানের থিম। সবমিলিয়ে খরচের শেষ নেই।

এখানেই আসে গুগলের কথা। আপনি এতো টাকা খরচ দেখে হয়তো ভাবছেন ব্লগিং না করে অন্য কিছু করবেন।

আপনার এই ভাবনার ভিত্তিতে গুগল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে যেখানে আপনি ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

এবং আপনাকে কোনো ডোমেইন হোস্টিং কিনতে হবে না।

শুধুমাত্র ৫০০/১০০০ টাকা খরচ করে হাই লেভেলের একটা থিম কিনে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারবেন।

ব্লগিং করে কিভাবে আয় করা যায়

ব্লগিং করে google থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য গুগলের ব্লগস্পট প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে হবে। এবং যেহেতু ব্লগস্পট গুগলের সার্ভিস তাই ব্লগিং এর ইনকামটিও হবে গুগল থেকে।

কিভাবে ব্লগিং করে গুগল থেকে ইনকাম হবে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এবার আপনাদেরকে বলবো কিভাবে ব্লগিং কে কাজে লাগিয়ে google থেকে টাকা ইনকাম করবেন।

প্রথমে আপনাকে ব্লগস্পটে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম এর তুলনায় ব্লগস্পটে সাইট তৈরী করা একেবারেই সহজ।

প্রথমে আপনার একটি ইমেইল একাউন্ট খুলতে হবে। এবং ইমেইলটি অবশ্যই গুগলের মেইলে তৈরি করতে হবে।

এরপর তাদের দেয়া গাইড মতো একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে নিবেন। আমি এখানে ওয়েবসাইট তৈরির ব্যাপারে বেশি বলবো না।

আপনারা নিচের লিংক থেকে জেনে নিন।

এবার আপনার সাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। এই আর্টিকেলকে কনটেন্ট রাইটিংও বলা হয়।

আপনার সাইটে যখন ৩০টা কিংবা তার বেশি কনটেন্ট পাবলিশ হয়ে যাবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন।

এই এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ব্লগ থেকে ইনকাম হতে থাকবে। এখানে এডসেন্সটাও গুগলের সার্ভিস।

google থেকে টাকা ইনকাম করার যতগুলো উপায় নিয়ে আলোচনা করবো তার সবগুলোতে আপনি গুগলের সার্ভিস ব্যবহার করেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

প্রো টিপসঃ “গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করার আগে আপনার সাইটে কমে ৩০ টা আর্টিকেল প্রকাশ করবেন।

এবং গুরুত্বপূর্ণ ৩টা পেজ পাবলিশ করবেন।

পেজগুলো হলো: About us, Contact us, Privacy policy. আর দ্রুত এডসেন্স পেতে হলে সাইটটি কম করে ৩ মাসের পুরোনো হতে হবে।”

২. ইউটিউব থেকে আয়

গুগলের আরও একটি প্লাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। এই ইউটিউব কম বেশি সবারই পরিচিত। ইউটিউব হচ্ছে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম।

যেখানে অনেক ক্যাটাগরির আনলিমিটেড ভিডিও রয়েছে। বিনোদন থেকে শুরু করে টিউটরিয়াল পর্যন্ত সবকিছুই ইউটিউবে পাওয়া যায়।

আমরা কমবেশী সবাই প্রত্যেকে ইউটিউবে কোন না কোন কারনে যেকোনো ভিডিও সার্চ দিতে হয়। হতে পারে শেখার জন্য কিংবা বিনোদনের জন্য।

তাহলে যারা এই ভিডিওগুলো আপলোড করে তাদের কি কোন লাভ হয়?

অবশ্যই! তারা গুগলের এই সার্ভিসটি ব্যবহার করে প্রতিমাসে হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে।

এবং যাদের মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে তারা অনেক উপায় ইউটিউব থেকে আয় করতে পারে। তখন তাদের ইনকামের পরিমাণ বাড়তে থাকে।

মনে করেন আপনি কোথাও চাকরি খুঁজছেন।

কিন্তু কোন চাকরি পেলেন না! আপনি হয়তো ইউটিউবিং শুরু করেছেন বা করতে পারেন।

আপনাদেরকে বলে রাখি যারা ইউটিউবে মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অর্জন করতে পেরেছে তাদের ক্যারিয়ারের আর চিন্তাই করতে হয় না।

কারণ, আমি আগেই বলেছি যে তাদের অনেক উপায়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম হতে থাকে।

সতর্কতা! কেউ আবার এটা মনে করবেন না যে চাকরি ছেড়ে ইউটিউবে করে কোটিপতি হওয়া যাবে।

যাইহোক! ইউটিউবের ইনকাম সহজ। কিন্তু সে পর্যন্ত যাওয়া অনেক কঠিন। কিন্তু আপনি যদি নিয়ত করেন যে আপনি সফল ইউটিউবার হবেন তাহলে আপনি পারবেন।

ইউটিউব ইনকাম সম্পর্কে

ইউটিউবের মাধ্যমে google থেকে টাকা ইনকাম করুন

ইউটিউব থেকে যে ইনকামটা হবে সেটাও গুগলের-ই। কারন ইউটিউবও গুগলের সার্ভিস। যাইহোক! অনেক বিবরণ দিয়েছি।

এবার মূল কথা বলি। মূল কথা হচ্ছে ইউটিউব থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন?

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার গাইডলাইন খুব সহজ তবে অনেক সময়ের!

আপনাকে ইউটিউবে নির্দিষ্ট পরিমাণ কোন ভিডিও আপলোড করার রিকোয়ারমেন্ট দিবেনা। মানে ব্লগিং এর মত একটা পোস্ট কিংবা অতটা পোস্ট করে এডসেন্স এর আবেদন করা লাগবে।

ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইম এর হিসাব হয়ে থাকে। আপনাকে সর্বনিম্ন 1000 (এক হাজার) সাবস্ক্রাইবার ব্যবস্থা করতে হবে।

এবং গত 12 মাসে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে।

12 মাসে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম বলতে আপনার আপলোড করা প্রতিটি ভিডিওতে যত ভিউ হয়েছে তার সবগুলো হিসাব করে মোট 4000 ঘন্টা হতে হবে।

ইউটিউবে সফল হবার প্রো টিপস

google থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ইউটিউবে অবশ্যই সফল হতে হবে। আর ইউটিউবে সফল হতে হলে অনেকগুলো ব্যাপারে নজর রাখতে হবে।

এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যর্থ হচ্ছে কনটেন্ট কোয়ালিটি। আপনি যে কনটেন্ট তৈরি করবেন সেই কনটেন্ট এর দিকে ভালোভাবে নজর দিবেন।

নজর দেওয়ার বিষয়গুলোঃ

  • ভিডিও তৈরি করার জন্য যে টপিক নির্বাচন করবেন সে টপিক ভ্যালুয়েবল কিনা?
  • অবশ্যই প্রতিটা ভিডিওতে ক্যামেরা কোয়ালিটি এবং ভয়েস কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো হতে হবে।
  • থাম্মেইল অনেক আকর্ষনীয় করে তৈরি করতে হবে।
  • সুন্দর এবং ইউনিক একটা টাইটেল দিতে হবে।
  • ডেসক্রিপশন বক্সে ভিডিওর মূল বিবরণ দিতে হবে।

এই ব্যাপারগুলোর দিকে নজর দিলে সহজেই আপনি দ্রুত সময়ে ইউটিউবে সফল পাওয়া যাবে। তবে, আপনি আজকে থেকে ইউটিউবিং শুরু করলে আজকে থেকে এক লক্ষ দুই লক্ষ কি আসবে না।

আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। এবং এর পেছনে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে। এমন সময় গুলোকে যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে।

৩. প্লে স্টোর থেকে ইনকাম

এন্ড্রয়েড মোবাইলের অ্যাপ স্টোর হিসেবে খুবই জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম হচ্ছে গুগল প্লে স্টোর। এই প্লাটফর্ম প্রিয় গুগলের তৈরি।

আমরা অনেক সময় অনেক কারনেই গুগল প্লে স্টোর থেকে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইন্সটল করে থাকি। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই গুগল প্লে স্টোর থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়।

গুগল এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি google থেকে টাকা ইনকাম করলে আপনারও লাভ এমনকি গুগলেরও লাভ।

তাই গুগল সবসময় চায় যে মানুষজন গুগলকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করুক। সেজন্য গুগলের এত এত জনপ্রিয়তা।

এবার কাজের কথায় আসা যাক! আমরা অনেকে হয়তো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কিংবা সফটওয়্যার ডেভেলপার সম্পর্কে শুনেছি।

সেরকম মোবাইল অ্যাপ ডেভলপার হয়েছে।

যারা এন্ড্রয়েড কিংবা আইওএস এর মোবাইলের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে থাকে।

এবং এরপর সে সফটওয়্যার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা গুগল প্লে স্টোর ব্যবহার করে থাকে।

তারপর মানুষজন যখন তাদের তৈরি সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে তখন তাদের ইনকাম হয়ে থাকে।

এবং সেই ইনকামটিও গুগল থেকেই হয়।

আমরা এর আগে ব্লগিং এবং ইউটিউব এর জন্য গুগল এডসেন্স এর মনিটাইজেশনের কথা বলে এসেছি।

যেখানে তারা গুগলের এডসেন্স ব্যবহার করে ইনকাম করে থাকে।

ঠিক একইভাবে সফটওয়্যার মনিটাইজেশন করার জন্য গুগলের আরো একটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকে। সেটি হচ্ছে গুগল এডমোব।

এডমোব একাউন্ট সম্পর্কে

যারা গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ওপেন করে, তাদের সেই এডসেন্স এর সাথে একটা এডমোব একাউন্টও ওপেন হয়ে যায়।

অ্যাকাউন্ট খোলা একেবারেই সহজ! কিন্তু অ্যাকাউন্ট খোলা মূল বিষয় নয়। মূল বিষয় হচ্ছে একটা এন্ড্রয়েড এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপস) তৈরি করা।

এজন্য অনেক সফটওয়্যারিং ল্যাঙ্গুয়েজ (কোডিং) জানা লাগে। তবেই একটা ভালো মানের অ্যাপস তৈরি করে প্লে স্টোরে পাবলিশ করা সম্ভব।

এখন অনেকে হয়তো ভাবতে পারে কিভাবে তারা সফটওয়্যার তৈরি করবে? কারন তারা তো কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানে না।

এরকমটা প্রায় সবার সাথেই হয়ে থাকে। কারণ আমাদের দেশে মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপার থাকলেও প্রফেশনাল মানের ডেভেলপার খুবই কম।

তবে এতকিছুর পরও আপনি চাইলে কোন প্রকার প্রোগ্রামিং দক্ষতা ছাড়াই মোবাইল অ্যাপস তৈরি করে google থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

প্লে স্টোর থেকে ইনকাম করার জন্য অ্যাপস তৈরির প্রো টিপস

আপনি চাইলে আপনি নিজেও মোবাইল অ্যাপস তৈরি করতে পারবেন কোন প্রকার প্রোগ্রামিং দক্ষতা ছাড়াই।

এজন্য আপনি যে উপায়ে অ্যাপস তৈরি করবেন সেটা কিছুটা ব্যবসার মতো হয়ে যায়। প্রথমে আপনি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস থেকে যে সফটওয়্যারটি করতে চান সেই সফটওয়্যারটির কোডিং গুলো কিনে নিতে পারবেন।

এরপর সেই কোডিং গুলোতে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন অ্যাপসটির প্যাকেজ নেম, লোগো ইত্যাদি।

মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে এনভাতো। আপনি সেখানে হাজার হাজার সফটওয়ারের কোডিং পেয়ে যাবেন।

তবে নির্দিষ্ট একটা দামে সেগুলো কিনে নিতে হবে। এরপর সেগুলো গুগল এডমোব দিয়ে মনিটাইজেশন করে গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করতে পারবেন।

আর এভাবেই আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও google থেকে টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় থাকলেও আজকের আলোচনার তিনটা থেকে ভালো পরিমানে টাকা আয় করা যায়।

google থেকে টাকা ইনকাম করা নিয়ে প্রশ্নঃ

কিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায়

যে কেউ চাইলে গুগল থেকে তিনটি উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবে। ১. ইউটিউব থেকে ২. ব্লগিং করে ৩. গুগল প্লে স্টোর থেকে। এখানে এই তিনটা মূলত কনটেন্ট এর প্ল্যাটফর্ম। তবে সর্বশেষটা সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম। এই প্লাটফর্ম গুলোতে মানুষজন তাদের কনটেন্ট এবং সফটওয়্যার পাবলিশ করে গুগলের জনপ্রিয় প্রোডাক্ট গুগল এডসেন্স এবং গুগল এডমোব এর মাধ্যমে মনিটাইজেশন করে। এভাবেই গুগল থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।

শেষ কথাঃ

আপনি যদি google থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এখানে উল্লেখ করা তিনটা গাইড ফলো করুন।

আপনি নিশ্চিত গুগল থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। ৩টা টপিক হলোঃ

ব্লগিং করে ইনকামঃ গুগল ব্লগস্পটে ওয়েববসাইট তৈরি করে এডসেন্স এর মাধ্যমে google থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে আয়ঃ বর্তমান সময়েয় সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউবে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

প্লে স্টোর থেকে ইনকামঃ যাদের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের কোন দক্ষতা নেই তারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে রেডি অ্যাপস কিনে সেগুলো গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে google থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবে।

পুরো আলোচনার মূল পয়েন্ট এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।

আশা করি আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন। আর কোথাও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন ধন্যবাদ!