মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং – সহজ উপায়ে ইনকাম করার একটি মাধ্যম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং করে মানুষজন লাখ লাখ টাকা আয় করে যাচ্ছে। এবং মার্কেটে এর চাহিদা কোন অংশে কম নেই।

বর্তমান সময়ে এসে আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন।

এজন্য মানুষ প্রতিনিয়ত ডিজিটাল মার্কেটিং করে যাচ্ছে। কিন্তু একটি কমন প্রশ্ন মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়? কিংবা কিভাবে মোবাইল এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করবো।

তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে। এবং মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার উপায় গুলো।

ডিজিটাল মার্কেটিং জনপ্রিয়তার কারণ হচ্ছে কোন পুঁজি ছাড়াই খুবই সহজে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায়।

তাই মানুষজন ডিজিটাল মার্কেটিং করে যাচ্ছে।

অনলাইন ইনকাম:

মার্কেটিংয়ের এত চাহিদা থাকার কারণে মানুষজন গুগলে এটা সার্চ করে যে, মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করবো কিংবা মোবাইল দিয়ে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়?

অনেক সময় দেখা যায় তারা সঠিক তথ্য বা বহুল তথ্য পায় না।

তাই আজকে আমি পুরো আর্টিকেল ধরে আলোচনা করবো আপনি যদি মোবাইলিএর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করতে চান তাহলে কিভাবে করবেন।

অথবা এটাও জানাবো যে মোবাইল দিয়ে আসলেই কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় কিনা! ইত্যাদি।

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় কিনা?

আমরা প্রথমে জানবো মোবাইল দিয়ে আসলেই ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়? এবং করা গেলে কিভাবে এবং কি কি কাজ করা যায়।

এর আগে জেনে নিন ডিজিটাল মার্কেটিং কি? লিংকে গেল বিস্তারিত জানতে পারবেন, ডিজিটাল মার্কেটিং কি তার উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা। তবুও আমি একটু বলে দিচ্ছি।

“ডিজিটাল কোন মাধ্যমে ডিজিটাল প্রোডাক্ট ডিজিটাল সার্ভিস ডিজিটাল সেবা গ্রাহকের নিকট পৌছে দেওয়া বা বিক্রি করাকে সহজভাবেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়”।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে অনেকগুলো ক্যাটাগরি রয়েছে। তবে এটা বলে রাখি যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ গুলা অনেক দীর্ঘসময় করতে হলেও কিছুটা হালকা আছে।

তাই বলতে পারেন কিছু কাজ মোবাইল দিয়েও করা যায়। তবে আপনাকে এটা মানতে হবে যে, প্রফেশনাল ভাবে কাজ করতে হলে মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করা অনেক মুশকিল।

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজগুলো করা যায়? একটু জেনে নিন। এর আগে আমরা জানবো ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্যাটাগরি গুলো।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধারাবাহিক কাজগুলো

আপনি যখন ভাবছেন মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন, তখন আপনাকে জানতে হবে এবং মার্কেটিং এর ধারাবাহিকতাগুলো।

মানে কখন কিভাবে কোথায় থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শুরু করতে হয়। এবং কোথায় গিয়ে শেষ করতে হ।য় সবকিছু জানতে পারলে আপনার জন্য ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধারাবাহিক শুরু হয়ে থাকে একটা কনটেন্ট থেকে। মানে আপনি যে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন আগে আপনাকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে হবে।

যেমন আমি এই আর্টিকেলটি লিখেছি সেটাও একটা কনটেন্ট। তাই প্রতিটা ব্লগারকে বলা হয় কনটেন্ট রাইটার। এখন আমি চাইলেই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবো।

যাই হোক! আপনার প্রথম কাজই হবে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়া। সে ক্ষেত্রে ইউটিউব এর ভিডিও কিংবা ওয়েবসাইট ব্লগ পাবলিশ করা, সবই কনটেন্ট ক্রিয়েটর এর অন্তর্ভুক্ত।

আমি যেমনটি বলেছি ডিজিটাল মার্কেটিং মানে “কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কে গ্রাহকের নিকট পৌঁছে দেওয়ার কে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে”।

এখন আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি উদাহরণ জানবো। ধরি, আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন।

সেক্ষেত্রে আপনি একটি ই-কমার্স সাইট থেকে একটি টি-শার্ট বিক্রি করবেন।

এখানে আপনি যে টি-শার্টটি বিক্রি করতে চাচ্ছেন অবশ্যই আপনাকে মানুষের কাছে টি-শার্টটি পৌঁছাতে হবে।

সেটা যে কোন মাধ্যম হতে পারে। ইউটিউব এর মাধ্যমে হতে পারে, ফেসবুকের মাধ্যমে হতে পারে অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এভাবে আপনি আগে অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে হবে।

তারপর অডিয়েন্স যখন আপনার ব্যাপারে জানতে পারবে, তখন আপনি যদি আপনার কোন একটি ব্লগে অথবা ভিডিওতে বললেন যে,

আপনি একটি টি-শার্ট বিক্রি করতে চাচ্ছেন।

নিচের লিংক দেওয়া আছে তখন কারো শার্টটি পছন্ধ হলে কেনার একটা সম্ভাবনা থাকে।

উপরে যাই বলেছি এখানে পুরো প্রসেসটা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রসেস।

প্রথমে একটি কনটেন্ট তৈরি করলেন।

তারপর সেই কনটেন্ট এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করে অডিয়েন্স এর নিকট কোনো প্রোডাক্ট পৌঁছে দিয়েছেন।

আশা করি ডিজিটাল মার্কেটিং এর পুরো প্রসেস বুঝতে পেরেছেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যাবে কিনা? বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করা যায়।

FAQ:

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান স্তম্ভ কয়টি?

এটার উত্তর হয়তো দুইটি

প্রথমত কনটেন্ট ক্রিয়েট করা। এরপর হচ্ছে সেই কনটেন্ট এর মাধ্যমে ডিজিটাল কোন প্রোডাক্ট অডিয়েন্সের নিকট পৌঁছে দেওয়া।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপগুলো

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো ক্যাটাগরি রয়েছে। প্রথমে আপনি ক্যাটাগরি গুলো জেনে নিন।

এরপরে ক্যাটাগরিগুলো জানলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন মোবাইল দিয়ে কোন কাজ গুলোর ডিজিটাল মার্কেটিং করা যাবে।

  • কনটেন্ট মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং

এখানে প্রতিটা ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে গেলে ব্লগটি অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই আমি সংক্ষেপে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব।

কনটেন্ট মার্কেটিং

কনটেন্ট মার্কেটিং কি? এটা যদি আপনাকে সহজ ভাবে বুঝাতে চাই তাহলে আপনি যে আমার এই ব্লগটি পড়ছেন এই ব্লগটি একটি কনটেন্ট।

যারা কনটেন্ট লিখে তাদেরকে কনটেন্ট রাইটার বলা হয়। শুধু যে ব্লগ তাই নয় আপনারা যে ইউটিউব ভিডিও গুলো দেখছেন, এই ভিডিওগুলো কনটেন্ট ক্রিকেটাররা তৈরি করে থাকে।

আমি বলেছি যে আমি সংক্ষেপে বলে দেবো কারণ বিস্তারিত বলতে গেলে ব্লগটি অনেক বড় হয়ে যাবে।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং সাধারণত একটা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বা বড় কোনো প্রতিষ্ঠান করে থাকে তাদের ব্র্যান্ড প্রমোশনের জন্য।

বলতে পারেন গুগোলের সার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা।

গুগলে কখন কে কোথায় থেকে কি সার্চ করছে এবং কার কি পছন্দ এগুলো জানা হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেট এর কাজ।

ইমেইল মার্কেটিং

অনলাইনে ইউজারদের থেকে তাদের ইমেইল কালেক্ট করে সেই ইমেইল বিভিন্ন প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়।

যেমন কোনো একটি সাইটে গিভওয়ে দেয়া হয়েছে।

এবং সেখানে শুধু বলা হয়েছে ইমেইল দিয়ে সাইন আপ করার জন্য আপনি আপনার ইমেইল দিয়ে সাইনআপ করলেন।

আপনি যে সেখানে সাইনআপন করবেন তখন আপনার ইমেইলটি তারা কালেক্ট করে নেবে।

তারপরে হয়তো কোন কোম্পানি থেকে ইমেইল গুলো বিক্রি করবে।

নয়তো তাদের কোন নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চ করলে তখন আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সেআশাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ব্রান্ড পরিচিতি বা মার্কেটে নতুন কোনো প্রোডাক্ট আনলে তার সম্পর্কে মানুষকে জানানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরি মার্কেটিং হচ্ছে স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্র্যান্ড প্রমোশন, প্রোডাক্ট বিক্রি অথবা নতুন কোন প্রোডাক্ট আসলে সেগুলো অডিয়েন্সকে জানানোর জন্য বিজ্ঞাপন করে থাকে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

আমার এই ব্লগটি র‌্যাংক হওয়ার জন্য আমি যে অপটিমাইজেশন করেছি সেটা হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

যাতে মানুষজন সহজেই মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং লেখাটা গুগলে সার্চ দিলে আমার ব্লগটি পড়তে পারে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সাধারণত ওয়েবসাইটগুলোতে করা হয়। আশাকরি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং

অন্যের কোনো প্রোডাক্ট নিজের ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে সেটার প্রমোশন করা বা বিক্রি করাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ববলা হয়।

যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে তারা অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কিছু একটা কমিশন পেয়ে থাকে।

এখানে আমি এফিলিয়েট সম্পর্কে খুবই কমই বলেছি। আপনি আরও বিস্তারিত জানার জন্য নিচে আমি যে লিংক দিয়ে দিচ্ছি সেখানে ক্লিক করুন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মোটামুটি একটা ধারণা আশাকরি আপনাদের কি দিতে পেরেছি।

এখন কথা হচ্ছে এগুলোর মধ্যে কোনটা মোবাইল দিয়ে করা যাবে। বা কোন কাজটা মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যাবে।

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজগুলো করা সম্ভব

উপরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল ক্যাটাগরির সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এর মধ্যে কোনটা মোবাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যাবে!

ঠিক আছে আমিই বলে দিচ্ছি। এখানে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে আপনার শুধু স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারবেন।

কারণ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর শুধু প্রমোশন করতে হয়। অডিয়েন্সের নিকট কোন সার্ভিস বা সেবা পৌঁছে দিতে হয়।

সেক্ষেত্রে আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক ফ্যান ফলোয়ার থাকে, তাহলে আপনি সহজেই মোবাইল দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারবেন।

আশা করি মোবাইল দিয়ে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করে তা সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।

এবং মোবাইল দিয়ে কোন কাজটা করতে পারবেন তারও একটা ধারণা পেয়েছেন।

শেষ কথা:

আমি সাদামাটাভাবে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং মোবাইল দিয়ে করতে চাইলে সবচেয়ে সহজ হবে ফেসুবক মার্কেটিং।

আপনার অনেক ফ্যান ফলোয়ার থাকলে আপনি চাইলে আজ থেকেই মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন।