আজকের ব্লগে আমরা জানবো কিভাবে মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়? এবং আজকের ব্লগটি পড়ে সহজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

বর্তমানে অনেকেই মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চায়। কিন্তু কম্পিউটা না থাকায় তাদের জন্য এই কাজটি অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই তাদের সমস্যার কথা চিন্তা করে কিভাবে মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তেরি করা যায় সে সমসাধান নিয়ে এসছে। এখানে বিস্তারিত গাইডলাইন দেয়া আছে।

বর্তমান আধুনিক যুগে প্রতিটা কোম্পানির একেকটা ওয়েবসাইট রয়েছে। আবার কোনো দেশের গভারমেন্ট এর একটা সাইট রয়েছে। আবার বড় বড় সংস্থাগুলোরও সাইট আছে। তাই আমাদের মনে ও প্রশ্ন আছে যে, ওয়েবসাইট কি?

তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো ওয়েবসাইট কি? এবং সেই আপনাদেরকে এটাও বলবো কিভাবে মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়।

এমনকি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনিও একটি ওয়বসাইট বানিয়ে পেলতে পারবেন। চলুন শুরু করা যাক।

ওয়েবসাইট কি?

ওয়েবসাইট শব্দটি দুই অক্ষরে ভাগ করা। প্রথমত হলো ওয়েব আর পরে হলো সাইট। প্রথমে সাইট নিয়ে আলোচনা করা যাক।

সাইট হলো অনেকগুলো মাল্টিমিডিয়ায় গঠিত। যেমন একটা সাইটে থাকে অনেকগুলো ইমেজ, ভিডিও, আবার কতগুলো টেক্সট। এই সব কিছুর সমন্বয়ে একটি সাইট গঠিত হয়।

এই সাইটটি রেডি হলে সেটাকে আমরা সার্ভারে রাখি। এই সার্ভারকে বলা হয় হোস্টিং সার্ভার। এই সার্ভারগুলো ভাড়ায় কিনতে হয়।

যেমন একটি সাইটের জন্য ১ বছরের ১ জিবি হোস্টিং ভাড়া নিয়েছি। হোস্টিং সম্পর্কে আরও জানতে নিচের ব্লগটি পড়ুন।

এবার এই সাইট টি যখন হোস্টিং সার্ভারে আপলোড করে দিই তখন পর্যন্ত সাইটের পর্ব শেষ। শুধু আর একটা পর্ব আছে।

এবার সাইটটিকে অনলাইনে খোজার জন্য প্রয়োজন সাইটের একটা নাম। যেমন আপনি সে সাইটটটি তৈরি করবেন সেটাকে মানুষজন খোঁজার জন্য তো একটা নাম প্রয়োজন।

যেমন, আমরা সবাই মানুষ। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের একটা করে নাম আছে। যেই নামে মানুষজন আমাকে বা আপনাকে চিনে থাকে।

অনলাইনে সাইটের এই নামকে বলা হয়। ডেমেইন। একটা সাইট রিলিজ করার জন্য প্রয়োজন ডোমেইন এবং হোস্টিং। উপরে যে লিংক দিলাম সেখানে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।

ওয়েব কি?

এবার জেনে নেয়া যাক ওয়েব কি? আমরা আগেই বলেছি ওয়েব এবং সাইট দুইটা আলাদা। কিন্তু দুইটার সমন্বয়ে একটি ওয়েবসাইট গঠিত হয়।

যেহেতু আমরা সাইট সম্পর্কে জেনে গেছি। এবার হলো ওয়েব এর বিস্তারিত। ওয়েব মূলত একটা ডকুমেন্ট। যেটাকে এইচটিএমএল পৃষ্ঠা বলা হয়।

এখন এইচটিএমএল বা HTML হলো হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাঙুয়েজ। এই এইচটিএমএল এর সমন্বয়ে গঠিত হয় একটা ওয়েব পৃষ্ঠা। বা আমরা যেটাকে ওয়েবসাইট বলে থাকি।

এই ওয়েবে এক্সেস বা প্রবেশ করার জন্য দরকার একটা ব্রাউজার। এখন প্রবেশ বলতে বুঝানো হয়েছে যে, আপনি যখন একটা সাইটের ওয়েবে প্রবেশ করবেন বা একটা ওয়েব সাইটে প্রবেশ করবেন তখন আপনার প্রয়োজন সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্রাউজার।

সার্চ ইঞ্জিন এই কারনেই বলছি কারন প্রতিটা সাইটে ব্রাউজ করতে হলে প্রয়োজন একটা সার্চ ইঞ্জিন। সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হলো গুগল।

ব্রাউজারে গিয়ে যখন সাইটের ঠিকানা বা নাম লিখবেন যেমন: lifetech24.com এটা হলো আমার সাইটের নাম।

আপনি যখনি আপনার ব্রাউজারে lifetech24.com লিখে সার্চ দিবেন, তখনি আমার সাইট চলে আসবে। ব্রাউজার তো আমরা কম বেশি চিনে থাকি। যেমন: ক্রোম ব্রাউজারর ইত্যাদি।

আশা করি আপনি ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারনা পেয়েছেন। আর যদি কোনো অসুবিধা হয় তাহলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। আর আপনার কোনো ধারনা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

এখন জেনে নিন আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি কিভাবে করবেন।

মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করুন

আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এমনকি আপনার কোন টাকা পয়সাও খরচ করতে হবে না।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি উপাদান বা বিষয় বস্তুু লাগে? বর্তমানে প্রযুক্তি এতই উন্নত হয়েছে যে আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

কি অবাক লাগছে তাই না! কিন্তু আপনি চাইলেই পারবেন। আর সাথে আমি গাইড করবো।

এবার আসুন জেনে নেয়া যাক যে, সাইট তৈরি করতে কিরকম খরচ হতে পারে? আসলে ওয়েবসাইট আপনি ফ্রিতেও তৈরি করতে পারবেন।

কিন্তু আজকে আমরা শুধু দেখাবো কিভাবে এবং কোন কোন প্ল্যাটফর্মে সাইট তৈরি করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট সাধারনত দুইভাবে তৈরি করা যায়। প্রথমত আপনি যদি কোডিং জানেন যেমন এইচটিএমএল, সি এস এস ইত্যাদি।

এগুলো জানলে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এখন কোডিং এর কথা শুনে তো অবাক হয়ে গলেন যে, আমি তো কোডিং জানি না।

তাহলে কি আমি পারবো না? অবশ্যই পারবেন। বর্তমানে সেরা জনপ্রিয় দুইটি CMS হলো ওয়ার্ড প্রেস এবং ব্লগার।

এই দুই ফ্ল্যাটফর্মে আপনি ফ্রিতে এবং টাকা খরচ করে দুই ভাবেই করতে পারবেন। তবে আজকে শুধু ব্যাসিক আলোচনা করবো।

কিভাবে মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়

আজকে আপনি মোবাইল দিয়েই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এখন কথা হচ্ছে মোবাইল দিয়ে কেনো?

আমারতো কম্পিউটার আছে। আপনার যদি কম্পিউটার থাকে তবে তার জন্য একটু পরেই আলোচনা করছি।

তো মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে তেমন কিছুই লাগে না। এমনকি আপনি ফ্রিতেই সাইট তৈরি করতে পারবেন।

তার জন্য প্রথমে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে WordPress লিখে সার্চ দিবেন। দেখবেন ওয়ার্ডপ্রেস লোগো সহ মোবাইল অ্যাপটি পেয়ে যাবেন।

ইনস্টল করার পর কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে। যেমন: আপনার সাইটের নাম। এটা আমি উপরে আলোচনা করেছি।

সব ফরম পূরন করলেই আপনার সাইট রেডি হয়ে যাবে। আপনার সাইটটি দেখার জন্য যেকোনো একটা ব্রাউজারে গিয়ে সাইটের ডোমেইনটি লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন।

যদি এতটুকু পর্যন্ত করতে পারেন। তবে আপনাকে স্বাগতম। আপনার সাইট তৈরি হয়ে গেছে।

আরেকটা ফ্ল্যাটফর্ম আছে যেটাকে আমরা ব্লগার নামে জানি। সেখানেও নিয়ম একই। তবে সেখানে আপনি কোনো প্রকার মোবাইল অ্যাপ পাবেন না।

তার জন্য আপনার ব্রাউজারে গিয়ে BLOGGER লিখে সার্চ দিলে প্রথম যে রেজাল্ট আসবে সেখানে ক্লিক করে তাদের সাইটে ওয়ার্ডপ্রেসের মতোই একটা ডোমেইন দিয়ে সাইট খুলে পেলবেন।

আমরা এবার একটু থিম সম্পর্কে জেনে নিই। আপনাদেরকে আমি বলেছি যে, আপনারা যদি কোডিং জানেন তাহলে সাইট তি করতে পারবেন।

আপনাদের যাতে কোডিং করা না লাগে সেজন্য এই ফ্ল্যাটফর্মগুলো রেডিমেট সাইট তৈরি করে রেখেছে।

কম্পিউটার দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করুন

আপনি যদি কম্পিউটার দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান, তবে আমি বলবো আপনি টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট তৈরি করেন।

তাহলে আপনি আয় করতে পারবেন। আর যদি তাই করেন তবে মোবাইল দিয়ে যে ফ্ল্যাটফর্মগুলোর কথা বলেছি সেগুলোতে টাকা খরচ করেন।

তবে আপনার আয়ও হবে। কম্পিউটার দিয়ে যদি ওয়েবসাইটে কাজ করচে চান তবে, আমি মনে করি আপনি ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখনে।

কারন এটা টেক্সট। এখানে লাইভ দেখানোর সুযোগ নেই। আর কোনো পরামর্শের দরকার পড়লে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।

মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় কি?

অবশ্যই যায়! এখানে উল্লেখ করা ধারাবাহিক গাইডলাইন ফলো করলে আপনি মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

শেষ কথা:

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে এই পোস্ট টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

কারণ এখানে আমি সহজেই বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে কিভাবে আপনি মোবাইল দিয়ে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করবেন।