বর্তমানে প্রায় কমবেশি সবারই হাতে মোবাইল ফোন রয়েছে। তাই মোবাইলের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কমবেশি সবারই জানার কথা। সেজন্য কিছু কিছু মোবাইল ইউজার’রা মোবাইলেই কম্পিউটারের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বুঝতে চায়। তাই তারা মোবাইল কম্পিউটার অ্যাপস নিয়ে খোঁজাখুঁজি করে।

আপনার হাতের মোবাইলটিরে পুরো কম্পিউটারের মতো বানিয়ে ফেলুন মোবাইল বম্পিউটার অ্যাপস এর মাধ্যমে।

একটা মোবাইল কম্পিউটার অ্যাপস দিয়ে সহজেই পুরো মোবাইলকে কম্পিউটারে রুপান্তর করা যায়।আপনি বুঝতে পারবেন না যে এটা আদৌতে একটা মোবাইল ফোন।

তাই যারা কম্পিউটার না কিনেও মোবাইল ফোন দিয়ে কম্পিউটারের বাস্তব অভিজ্ঞতা ইপভোগ করতে চায় তাদের জন্য আমার আজকের পোস্টটি খুবই উপকারি হবে।

মোবাইল কম্পিউটার অ্যাপস মানে কি?

মোবাইলে একটি অ্যাপস ইনস্টল করে পুরো মোবাইলকে কম্পিউটার এর মতো করে ফেলাকে মোবাইল কম্পিউটার অ্যাপস বলা হয়ে থাকে।

সাধারণত অনেকেই আছেন যারা নতুন কিছুতে খুব আগ্রহী। বিশেষ করে আমাদের দেশের মানুষ টেক এর দিকে বেশি আগ্রহী হয়ে থাকে।

এবং নতুন কোনো আবিষ্কার কিংবা নতুন কোনো টেক ট্রেন্ড হলে সাথে সাথে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে।

মোবাইল কম্পিউটার অ্যাপস এর সুবিধা

আমরা সবাই জানি যে এন্ড্রয়েড মোবাইলে সকল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি চাইলে মোবাইল কম্পিউটার অ্যাপস এর মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে থেকেই উইন্ডোজ এর থিম কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন।

এমনকি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর মত ডিজাইন পাবেন। সহজ কথায় এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে থেকেই উইন্ডোজ ব্যবহার করতে পারবেন।

এবং আপনার মোবাইলটি দেখতে পুরো কম্পিউটার এর মত লাগবে। আবার আপনি চাইলে আপনার মোবাইলে কিবোর্ড এবং মাউস যুক্ত করতে পারবেন।

আর, কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ যে সকল সফটওয়্যার থাকে সেই সফটওয়্যারগুলো আপনি মোবাইলে পেয়ে যাবেন।

সহজ কথায় আপনি আপনার মোবাইলকে কম্পিউটার বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

মোবাইল কম্পিউটার অ্যাপস ইনস্টল করুন

আপনার হাতের মোবাইলটিকে কম্পিউটার বানিয়ে ফেলতে চাইলে প্রথমে একটি অ্যাপস ইন্সটল করতে হবে।

তবে সেটা কোন প্রকার অপারেটিং সিস্টেম না। মানে আপনার মোবাইলকে কম্পিউটার বানিয়ে ফেলতে চাইলে সেখানে কোন অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল দিতে হবে না।

শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোর থেকে একটা সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে। এবং সফটওয়্যারটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

মোবাইল কম্পিউটার সফটওয়্যার ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে গুগল প্লে স্টোর অ্যাপটি ওপেন করবেন।

সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে,

  • গুগল প্লে স্টোর অ্যাপটি ওপেন করুন।
  • Windows 10 launcher” লিখে সার্চ করুন।

এখানে অনেকগুলো অ্যাপস পাবেন। যেহেতু আপনারা কেউ এই অ্যাপস গুলো সম্পর্কে পূর্ব পরিচিত নয় তাই, আপনাদেরকে আমি সাজেস্ট করবো মাইক্রোসফট এর অফিশিয়াল একটি অ্যাপস রয়েছে সেটি ব্যবহার করার জন্য।

মাইক্রোসফট এর সেই অ্যাপটির নাম হচ্ছে “Microsoft Launcher” এই অ্যাপসটি যেহেতু microsoft-এর অফিশিয়াল তাই এই অ্যাপসটি দুর্দান্ত হবে।

আর আমরা সবাই এটাও জানি যে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম মাইক্রোসফট দ্বারা পরিচালিত। তাই আপনি সহজেই আপনার মোবাইলকে উইন্ডোজ এ রূপান্তর করতে পারবেন।

মোবাইল কম্পিউটার অ্যাপস সেটআপ করুন

আপনার মোবাইলকে পুরো কম্পিউটার বানিয়ে ফেলতে চাইলে প্রথমে সফটওয়্যারটিকে সেটআপ করতে হবে।

আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে অ্যাপটি কাস্টমাইজ করতে হবে। কাস্টমাইজ করার জন্য নিচের স্টেপগুলো ফলো করুন।

১. প্রথমে অ্যাপটি ওপেন করবেন। ওপেন করার পর আপনাকে অ্যাপসটির ফিচার দেখাবে। ফিচারটি সাধারণত ৪ পেজের থাকে।

আর, পেজগুলো অটোমেটিকভাবে স্লাইড হয়ে চলে যাবে। তারপর “get Start” বাটন আসবে। বাটনে ক্লিক করলে আপনার মোবাইলের কিছু পারমিশন চাইবে।

পারমিশনগুলো দিয়ে দিলে আপনার মোবাইলে সর্ট টাইমের জন্য মোবাইল কম্পিউটার সফটওয়্যারটি সেট হয়ে যাবে।

২. এবার আপনার মোবাইলের মধ্যে একটা থিম সিলেক্ট করতে হবে। থিম সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে তারা আপনাকে দুইটা অপশন দিবে।

প্রথমটা হলো আপনার আগের থিমে থাকা, আর পরেরটা হলো আপনাকে নতুন একটা থিম সিলেক্ট করা।

যদি আপনি  পুরাতন থিমে থাকেন তাহলে আপনার থিম সবসময় একই থাকবে। আর যদি আপনি নতুন থিম সিলেক্ট করেন তাহলে প্রতিদিন অটোমেটিকভাবে অনেক থিম আপডেট পাবেন।

৩. আপনার মোবাইলের হোম স্ক্রিনে যে অ্যাপসগুলো শো করাতে চান সেগুলোকে সিলেক্ট করুন।

মানে এখানে যে সফটওয়্যারগুলো সিলেক্ট করবেন সেই সফটওয়্যারগুলোই পরবর্তীতে আপনার মোবাইলের হোম স্ক্রিনে থাকবে।

এক্ষেত্রে বেস্ট সাজেশন হচ্ছে আপনার মোবাইলে যতগুলো অ্যাপস আছে সব গুলো সিলেক্ট করে দিন। তাহলে সবগুলো অ্যাপসকে একসাথে আপনার স্ক্রিনে দেখতে পাবেন।

ব্যাস! আপনার মোবাইলটি ব্যাসিক কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে গেছে। অ্যাপসটিতে আপনি সবকিছু আলাদা পাচ্ছেন।

যেমনঃ আপনি আলাদা থিম পাচ্ছেন, আলাদা ইন্টারফেস পাচ্ছেন, আরও অনেক ফিচার পাবেন।

তবে, আপনার মোবাইলের যত অ্যাপ্লিকেশন আছে তার সবগুলোই থাকবে।

এই মোবাইল কম্পিউটার অ্যাপস নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকে। সেই প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর নিচে দেয়া হয়েছে।

এই অ্যাপসটিতে কিভাবে কিবোর্ড এবং মাউস সংযোগ দিব?

আপনার মোবাইলটিকে কম্পিউটারের মতো করে ববানানোর পর আপনি চাইলে কিবোর্ড এবং মাউস যুক্ত করতে পারবেন।

সেজন আপনাকে আলাদা করে OTG একটা কিনতে হবে। সেই OTG এর মাধ্যমে আলাদা মাউস এবং কিবোর্ড যুক্ত করতে পারবেন।

এভাবে কি কম্পিউটার এর মতো ফাইল তৈরি বা এসাইনমেন্ট করা যাবে?

আপনার এসাইনমেন্ট কিংবা ফাইল তৈরির করার জন্য মাইক্রোসফট এর অফিশিয়াল সকল অ্যাপস পেয়ে যাবেন।

যখন আপনি অ্যাপসটি সেটআপ করে ফেলবেন তখন আপনার হেহাম স্ক্রিনে মাইক্রোসফট নামে একটা অ্যাপ আইকন থাকবে।

ওই আইকনে ক্লিক করলে মাইক্রোসফট এর কম্পিউটারে ব্যবহৃত সকল সফটওয়্যারের মোবাইল ভার্শন পেয়ে যাবেন।

অ্যাপসটি ব্যবহারে মোবাইলে কোনো সমস্যা হবে কিনা?

এই অ্যাপসটি ব্যবহার করলে আপনার মোবাইলে কোন প্রকার ক্ষতি হবে না। বরং মাইক্রোসফট দাবি করে তাদের এই অ্যাপসটির মাধ্যমে আপনার আগের ইন্টারফেস থেকে এই ইন্টারফেস অনেক দ্রুত গতির হয়ে থাকবে।

মানে আপনি যদি এই অ্যাপসটির থিমগুলো পার্মানেন্টলি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মোবাইলের স্পিড আগের তুলনায় অনেক বেশি হবে।

আবার আপনি চাইলে যেকোন সময় এই এপ্সটি কি আন-ইন্সটল করে দিতে পারেন। বাই বলা যায় এই অ্যাপসটি ব্যবহারে আপনার মোবাইলের কোন সমস্যা হবে না।

শেষ কথাঃ

একটা মোবাইল দিয়ে সহজেই কম্পিউটার বানিয়ে ফেলার জন্য মোবাইল কম্পিউটার অ্যাপস রয়েছে। এবং অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে আপনার মোবাইলকে কম্পিউটারে রুপান্তর করতে পারবেন।

তাই এখানে জেনে নিন কিভাবে এই অ্যাপসটি ব্যবহার করতে হয়। আর আশা করি আজকের এই পোষ্টটি আপনাদের উপকারে আসবে।

যদি আজকের পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করে দিন ধন্যবাদ!

রিলেটেডঃ