আজ থেকে এক দশক আগেও ভিডিও এডিটিং কম্পিউটারের মধ্যে ছিলো। আর এখনকার সময়ে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে।

আপনি কি মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে জেনে নিনি সেরা কিছু ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এখানে সেরা ৫ টি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার দেখে নিন।

কোনো একসময় ভিডিও এডিটিং ছিলো অনেক দূরের। কারন ভিডিও এডিট করতে হলে প্রয়োজন ছিলো কম্পিউটারের।

যুগ পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন মোবাইলে ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার পাওয়া যায়। তাও আবার একেক সফটওয়্যার থেকে একেকটা অনেক পাওয়ারফুল।

আজকের ব্লগে আমরা আলোচনা করবো মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে এবং ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার free download

আশা করি আজকের ব্লগে জানতে পারবেন সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে।

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

বর্তমানে তো মোবাইলে ভিডিও এডিট করা খুবই সহজ। তাই আপনি চাইলে খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে প্রফেশনালভাবে এডিট করতে পারবেন।

তাছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে সেরা ৫ টি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করবো। তাই শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকুন।

এখানে আপনাদেরকে বলে নিই যে, আমরা প্রথমে টপ ৫ থেকে শুরু করবো। মানে শেষ থেকে শুরুর দিকে যাবো।

৫. Vivacut Pro: মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

আজকের ব্লগে ৫ নম্বর মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হলো Vivacut Pro। এই সফটওয়্যারটি ৫ নম্বরে থাকার কারণ নিচে আলোচনা করবো।

প্রথমত যারা ভিডিও ব্লগিং করেন তাদের জন্য Vivacut Pro সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হবে।

কারন, এখানে অনেকগুলো এডিটর প্লাগইনস আছে। যেগুলোর মাধ্যমে সহজেই মাত্র এক ক্লিকেই ভিডিও এডিট করতে পারবেন।

এই অ্যাপটিতে রয়েছে drag-and-drop editing ফিচার। যার মাধ্যমে আপনার এডিট করতে সময় কম লাগবে।

drag-and-drop editing ফিচারের মাধ্যমে ফাইল থেকে ভিডিওগুলো ড্রাগ করে আনতে পারবেন।

এবং সহজেই ভিডিও-কাট, এর মাধ্যমে আপনার অরিজিনাল ভিডিওটি কাট করতে পারবেন। এবং এর জন্য আলাদা কোনো অ্যাপের প্রয়োজন নেই।

মানে এই অ্যাপের মাধ্যমেই ভিডিও-কাট করতে পারবেন। আবার রয়েছে স্লো মোশন।

স্লো মোশন এর মাধ্যমে আপনার ভিডিওকে আরও এডভান্স লেভেল এর এডিটিং করতে পারবেন। এখনকার সময়ে টিকটকে স্লো মোশন এর ট্রেন্ড চলে।

আর, এই অ্যাপটিতে সবচেয়ে বেশি সুবিধা রয়েছে ফিল্টার এ। আপনি মুহূর্তেই পেয়ে যাবেন অনেকগুলো ফিল্টার।

এই অ্যাপটির বিপরীতে যে অ্যাপগুলো আছে সেই অ্যাপগুলোর চেয়েও এই অ্যাপটিতে বেশি ফিল্টারিং, এবং রেডি কিছু থিম।

তাই যারা ব্লগিং ভিডিও কিংবা ইউটিউব ভিডিও তৈরি করতে চান তাদের জন্য এক কথায় সেরা হবে।

আর বলতেই ভূলে গেছি যে, Vivacut Pro তে কপিরাইট ফ্রি অনেক মিউজিক রয়েছে। তাই আপনার ভিডিওতে কপিরাইট ইস্যূও হচ্ছে না।

আর এডিট শেষে সহজেই ডাউনলোড করতে পারবেন। এখানে ভিডিও এক্সপোর্ট হতে বেশি সময় লাগে না।

মূল কারণ হচ্ছে এডিট। আর সেখানে Vivacut Pro তে সহজেই এডিট করা যায়। তাই আশা করি আপনার ভালো লাগবে।

৪. Alight Motion: মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

খুবই পরিচিত লাগছে! তাই না? আসলে বর্তমানে টিকটকে ছোট ইউজাররা এই অ্যাপ মানে Alight Motion দিয়ে এডিট করছে।

Alight Motion এর সবচেয়ে ভালো লাগার দিক হচ্ছে Easy ইন্টারপেস।

মানে আপনি যখন এডিট করতে যাবেন তখন দেখবেন যে, অ্যাপটিতে লেআউট থেকে শুরু করে সবকিছু একেবারেই সহজ।

এই অ্যাপটিতেও রয়েছে এডভান্স ফিল্টারিং। আর স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি এডিটিং অ্যাপ একটু জটিল হয়ে থাকে।

আর সেখানে এই অ্যাপটি দিচ্ছে টিউটোরিয়াল সুবিধা। মানে আপনি যদি কোনো এডিটিই না পারেন তবে, আপনি অ্যাপের মধ্যেই টিউটোরিয়াল দেখে দেখে এডিট করতে পারবেন।

এই অ্যাপটি মানে Alight Motion বেশি পরিচিত হচ্ছে গ্রাফিক্স এর কারণে। মানে এখানে বেশ কিছু গ্রাফিক্স পাবেন।

যেগুলোর সাহায্যে আপনার এডিট করা ভিডিও আরও প্রানবন্তর দেখাবে। আরও রয়েছে স্টিকার।

আমরা অনেকে ভিডিও এডিট করার সময় বিভিন্ন স্টিকার লাগাই বা স্টিকার লাগানোর প্রয়োজন পড়ে। সেক্ষেত্রে Alight Motion এ পেয়ে যাবেন অসংখ্য স্টিকার।

আবার আপনার প্রয়োজনীয় স্টিকার খুঁজে না পেলে ড্র বা নিজে এঁকে নিতে পারবেন। এবং ভিডিও ক্লিপে তা যুক্ত করতে পারবেন।

যেকোনো এনিমেশনকে আপনার ভিডিও ক্লিপে লাগাতে পারবেন। মানে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে এনিমেশশন ব্যবহার করতে পারবেন।

বিভিন্ন কালার যুক্ত করতে পারবেন। যেমন, আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডে কালারের প্রয়োজন পড়তে পারে। তাই আপনি পেয়ে যাবেন কালার ফিচারটি।

এছাড়াও ব্রাইটনেস এডজাস্ট করতে পারবেন। ধরুন, আপনার ভিডিও ক্লিপটি একটু লো ব্রাইটনেস এর।

তখন আপনি পুরো ভিডিও এডিট করার পর ব্রাইটনেস বাড়াতে পারবেন। আর আপনার ভিডিও ফ্রেমরেট বাড়াতে কিংবা কমাতে পারবেন।

তাই আমার মনে হয় যারা মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার খুঁজছেন তাদের জন্য Alight Motion অনেকটাই কাজে লাগবে।

কারণ যারা প্রো লেভেলের ভিডিও এডিট করতে চান তাদের জন্য প্রায় অনেক ফিচারই অফার করছে Alight Motion অ্যাপটি।

যেমন, বিএফএক্স, স্লো মোশন, এনিমেমন যুক্তকরণ, ব্রাইটনেস এডজাস্টমেন্ট ইত্যাদি। তাই আপনি একবার এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে দেখতে পারেন।

৩. Power Director: মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

2021 এর সেরা ভিডিও এডিটর হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে Power Director অ্যাপটি। যেহেতু 2021 এ সেরা এডিটর হিসেবে সিলেক্টেড হয়েছে,

সেহেতু অবশ্যই এডভান্স ফিচার রয়েছে! চলুন জেনে নিই মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার Power Director সম্পর্কে।

আমরা যখন ভিডিওগুলো এডিট করি তখন, ভিডিওর দৈর্ঘ্য বড় হয়ে যেতে থাকে। আবার এটা মোবাইল! স্ক্রিনও ছোট।

তাই ভিডিওটি একটু বড় হলেই জামেলার লাগে। কিন্তু! Power Director এ এই জামেলাটি একটু কম।

কারণ, এখানে আপনি প্রতিটা লেআউট এডিটর স্ক্রিনেই পেয়ে যাবেন। মানে আপনি ভিডিওটি এডিট করছেন।

এমন অবস্থায় মিডিয়া থেকে একটা ফটো বা ভিডিও ক্লিপ আনতে হবে। আনার জন্য যখন আপনার মিডিয়া লেআউটের প্রয়োজন হবে,

তখনই আপনি একই স্ক্রিনে পেয়ে যাবেন। মানে অন্য কোনো বাটনে ট্যাপ করা লাগছে না। এর ফলে কিছু সময় বাঁচে এবং এডিটিং এ জামেলা কম হয়।

এতক্ষন তো বলছিলাম এডিটিং এর সুবিধাগুলো। এবার এডিটিং অ্যাপটির ফিচারগুলো জেনে নিন!

আমরা অনেক জায়গায় দেখি যে, ভিডিওটির অরিজিনাল কালার থেকে এডিট করে অসাধারণ কালার দেয়।

যার ফলে পুরো ভিডিওটাই অসাধারণ হয়ে যায়। এমন সব কালার যুক্ত করার অপশন বা ফিচার রয়েছে এই Power Director অ্যাপে।

এনিমেশন যুক্ত করতে পারবেন এবং সাথে কাস্টমাইজ করে। বুঝতেই পাচ্ছেন যে, অ্যাপটি কেমন হতে পারে।

প্রতিটা লেখা যুক্ত করার পর ভিন্ন ভিন্ন ইফেক্ট দিতে পারবেন। তবে, আমার মনে হয় যারা টিকটকে সহজে ভিডিও ভাইরাল করতে চায় তাদের জন্য এই অ্যাপটি খুবই খুরুত্বপূর্ন।

এছাড়াও যারা ব্লগিং ভিডিও করতে চায় তাদের জন্য রয়েছে অসংখ্য রেডি ট্যাম্পলেট। মানে আপনি শুধু সিলেক্ট করবেন আর ভিডিওতে টেম্পলেট যুক্ত করবেন।

টেম্পলেট মানে হলো:

ধরুন, আপনার একটা লেখা সহ ভিডিও ক্লিপ প্রয়োজন। তার জন্য আগে ভিডিও ক্লিপটি তৈরি করতে হবে।

তারপর সেটি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু এখানে আপনার অনেক সময়ের প্রয়োজন। আপনার সময় বাঁচাতে Power Director এ আছে অসংখ্য রেডি ট্যাম্পলেট।

যেহেতু এটা একটি আর্টিকেল। তাই এখানে টিউটোরিয়ালটি দেখানো যাচ্ছে না। যার ফলে বুঝাতেও অনেক কষ্ট হয়।

তাই আপনি অ্যাপগুলো ডাউনলোড করবেন। এবং দেখবেন যে, অধিকাংশ অ্যাপে টিউটোরিয়াল দেয়া আছে।

তবে, একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন যে, আমরা যতগুলো অ্যাপ এর কথা বলেছি, সবগুলো আস্তে আস্তে এডভান্স এডিটর এর দিকে যাচ্ছে।

তাই বাকী যে দুইটা অ্যাপ এর কথা বলবো সেগুলো আগেরগুলোর তুলনায় আরও বেশি এডভান্স হবে। তাই শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন।

টপ ২. KineMaster Video editor: মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

এবার জেনে নিন টপ 2 ভিডিও এডিটর অ্যাপ সম্পর্কে। এখন KineMaster অ্যাপকে টপ ১ এ না রেখে টপ ২ এ রাখার বেশ কিছু কারন রয়েছে।

কারনগুলো আমরা শেষে আলোচনা করবো। এখন আমরা KineMaster অ্যাপ এর ফিচার সম্পর্কে আলোচনা করবো।

সহজ কথায় যদি আপনি প্রো লেভেল এর এডিটিং করতে চান তবে, KineMaster এর বিকল্প নেই।

একটা ভিডিও এডিট করতে যতগুলো ফিচারের প্রয়োজন যেমন, এডিটিং এর জন্য ফিল্টার। আবার কালার ইপেক্ট ইত্যাদি।

প্রায় সবকিছুই আছে KineMaster অ্যাপে। প্রতিটা ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করার পর সেগুলো যাতে জামেলার না হয় তার জন্য KineMaster এ পেয়ে যাবেন বেশ সুবিধা।

মানে আপনার প্রতিটা ভিডিও ক্লিপ আলাদা করতে পারবেন। এমনকি ক্লিপের পরিমান বেশি হলেও আপনি সহজেই তা এডিট করতে পারবেন।

তবে,  যেহেতু KineMaster এতো কিছু অফার করতে সেখানে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। মানে পেইড মেম্বারশিপ কিনতে হবে।

এখন, ভিডিও এডিট করার জন্য টাকা খরচ করা অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। যার কারণে সেখানে ফ্রি এডিটিং অপশন আছে।

ফ্রিতে সকল টুলস ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে ফ্রিতে মিডিয়াম লেভেল এর এডিটিং করতে পারবেন।

KineMaster অ্যাপে অনেক ইফেক্ট পাবেন যেগুলো ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। এবং সেগুলোর মাধ্যমে এডভান্স লেভেল এর এডিট করতে পারবেন।

তবে আমি আগেই বলেছি যে, প্রতিটা এডিটিং অ্যাপে নতুন অবস্থায় এডিট করা কষ্টকর। সেখানে KineMaster এ এডিটিং টিউটোরিয়াল আছে।

তাদের অফিশিয়ালিইউটিউব চ্যানেল আছে। আর অ্যাপ এর মধ্যেও টিউটোরিয়াল আছে। আর অ্যাপটিতে লাইটিং এডিটিং বেশ সুন্দর হয়ে থাকে।

আমি বলে রাখি যে, KineMaster কে আপনি টপ ১ এর রাখতে পারেন। যার কারণ হলো আমরা পরবর্তী যে, অ্যাপটিকে টপ ১ বলবো তার থেকেও KineMaster বেশি পপুলার।

১. Adobe Premiere Rush: সেরা কালার ইপেক্ট এডিটর। video colour software

আমি আগেই বলেছি যে, KineMaster অ্যাপটি টপ ১ এ আছে। কিন্তু এডিট করার সময় KineMaster অ্যাপ এর সাথে Adobe Premiere Rush অ্যাপটি ব্যবহার করুন।

কারণ, KineMaster অ্যাপে কালার ইপেক্টটি কুল হয় না। KineMaster টপ ১ এ আছে এবং সেই সাথে আপনি Adobe Premiere Rush অ্যাপটি ব্যবহার করলে আপনার এডিটিং লেভেল এডভান্স হবে।

Adobe Premiere Rush এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ডিভাইস সুইচ। মানে ধরুন, আপনি কম্পিউটারে একটা ভিডিও এডিট করছেন।

তখন আপনার মনে হচ্ছে যে আপনার মোবাইলে একটা ভিডিও ক্লিপ আছে। তখন আপনি চাইলেই আপনার মোবাইলে প্রজেক্টটি ওপেন করতে পারবেন।

এবং এডিটও করতে পারবেন। তাই আমার কাছে এই অ্যাপটির ফিচারগুলো বেশ দারুন লেগেছে। তাই আপনি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

আর মতবিরোধে গেলে দেখা যায় সেখানে অনেক খারাপ রিভিউ আছে। তাই আপনি এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে চাইলে আগে দেখে নিবেন।

ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব

আপনি যখন আপনার পছন্দের একটি মোবাইল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন তখন সেই এডিটরের ব্যাসিক এডিটিং জানা লাগবে।

তাহলে আপনি প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন যেকোন এডিটিং সফটওয়্যার দিয়ে। এখন কথা হচ্ছে তাহলে কিভাবে ভিডিও এডিটিং শিখব?

আপনি ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য যে সফটওয়্যারটি ইন্সটল করবেন সেই সফটওয়্যার এর একটা গাইডলাইন থাকে।

ওই গাইডলাইন গুলো ফলো করলে আপনি সহজেই যেকোন ভিডিও এডিট করতে পারবেন।

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ২০২৩

আপনি যদি এই বছরের সেরা মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার খুঁজে থাকেন তাহলে, আপনার জন্য পারফেক্ট হবে কাইনমাস্টার এডিটিং সফটওয়্যারটি।

যেটা আমাদের আজকের মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার পর্বের টপ ২ তে আছে। কাইনমাস্টার সফটওয়্যারটি অনেক আগ থেকেই পরিচিত।

এবং সেইসাথে অনেক জনপ্রিয়। আমাদের লিস্টিং এর  দুইয়ে রাখার কারণ হচ্ছে টপ এক সফটওয়্যারটি কালার এডিটিং সফটওয়্যার।

আর বর্তমান সময়ে কালার এডিটিং ভিডিও ট্রেন্ডিং এ আছে। সেই বিবেচনাতে কাইনমাস্টার কে টপ ২ তে রাখলাম।

উপরের যেকোনো সফটওয়্যারকে বিয়ের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

ভিডিও এডিটিং এর জন্য কোন ২টি সফটওয়্যার অবশ্য জরুরি?

একটা ভিডিওকে প্রফেশনালভাবে এডিট করার জন্য একটার অধিক সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। কারণ, একটা সফটওয়্যারে প্রয়োজনীয় সকল টুলস থাকে না।

তাই, ভিডিও এডিটিং এর জন্য দুটি সফটওয়্যার অবশ্য জরুরি। সফটওয়্যার দুটি হবে ভিডিও এডিটিং এর পাশাপাশি কালার এডিট এবং ভয়েস এডিট

উপরে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যেগুলোর কথা বলেছি তার সবগুলোতে বিবরণ দেয়া আছে।

তাই কালার এডিট এবং ভয়েস এডিট বৈশিষ্ঠগুলো যে সফটওয়্যার থাকেব যে সফটওয়্যার দুটি ইনস্টল করে নিবেন।

শেষ কথা:

আপনি যদি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার খুঁজে থাকেন তাহলে এখানে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলো দেখে নিন।

আমার মতামতের সাথে আপনার মতামত নাও মিলতে পারে। তবে, আমি ভিডিও ইফেক্ট এবং কালার সহ ব্যাকগ্রাউন্ড এডিটিং নিয়ে যাচাই করেছি।

আজকের ব্লগে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। এবং আপনাদের সাথে সেরা ৫ টি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার শেয়ার করেছি।

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগবে। যদি ভালো লেগে থাকে তবে, শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সাথে। ধন্যবাদ!