বর্তমানে অনলাইনে নিরাপদে থাকতে বা সহায়তা করতে সেরা ব্রাউজার হলো ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার, যেটা বিশ্বব্যাপি পরিচিত।

আমরা সবাই জানি যে, অনলাইনে প্রতিনিয়তই আমাদের তথ্য চুরি হয়। আবার একটা সাইট ভিজিট করলে সেখানে থাকে অনেক ম্যালওয়্যার।
যার ফলে একদিকে আমাদের তথ্য চুরি হতে থাকে। অপরদিকে মোবাইলে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করাতে মোবাইল স্লো হয়ে যায়।
তাই, নিরাপদ ব্রাউজিং করতে সেরা ব্রাউজার হলো ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার। যেখানে কোনো প্রকার তথ্য চুরি কিংবা ম্যালওয়ার ছাড়াই ব্রাউজ করতে পারবেন।
ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার কি?
এটি মূলত একটি ব্রাউজার। যেমন ক্রোম, ওপেরা মিনি ইত্যাদি ব্রাউজারের মতো। তবে বেশ কিছু কারনে ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার কিছুটা আলাদা।
এই ব্রাউজার সর্বপ্রথম বাজারে আসে অ্যাড ব্লকিং ফিচার নিয়ে। যেখানে আপনি বিজ্ঞাপন বন্ধ রেখেই ব্রাউজ করতে পারবেন।
এরপর আস্তে আস্তে অনেক ফিচার নিয়ে আসে। যেমন সেরা নিরাপদ ব্রাউজিং এর মধ্যে অন্যতম।
ব্রেভ ব্রাউজার কি নিরাপদ?
অনেকেই আছে অন্যান্য ব্রাউজার ব্যবহার করে। যেমন ক্রোম, ওপেরা মিনি, মজিলা ফায়ারফক্স ইত্যাদি।
এদের মধ্যে অনেকেই চাইছে যে, তারা ব্রেভ ব্রাউজার ব্যবহার করবেন। এবং স্বাভাবিকভাবে অনেকেই জানতে চায় যে, ব্রেভ ব্রাউজার কি নিরাপদ?
চলুন জেনে নিই ব্রেভ ব্রাউজজার আসলে কতটা নিরাপদ! ব্লেভ ওয়েব ব্রাউজার দাবি করছে যে, ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার অটোমেটিকভাবে গোপনীয়তা বজায় রাখে।
মানে আপনি যদি কম্পিউটারে ব্যবহার করতে চান তবে, কোনো প্রকার একক্সটেনশন ব্যবহারের দরকার হবে না।
এবং আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার দিচ্ছে ব্রেভ ফায়ারওয়েল এবং ভিপিএন। এজন্য ব্রাউজিং এ আরও বেশি নিরাপদ থাকতে পারবেন।
তবে, ফায়ারওয়েল এবং ভিপিএন ফিচারটি শুধুমাত্র আইফোনে আছে। এন্ড্রয়েড এবং ডেক্সটপে খুব শীগ্রই আসবে।
সেই সাথে ফিঙ্গারফ্রিন্ট (Randomization) এলোমেলোকরনের মাধ্যমেও আপনাকে নিরাপদ দিবে।
যেহেতু আমরা ব্রেভ ব্রাউজার নিয়ে কথা বলছি যে, আপনি এই ব্রাউজার কেনো ব্যবহার করবেন। বা ব্রেভ ব্রাউজার আপনার জন্য কিনা?
তাই জনপ্রিয় ব্রাউজারগুলোর সাথে ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার অবশ্যই তুলনা করা উচিৎ। তাই আমরা গুগল ক্রোমের সাথে তুলনা করে দেখবো।
ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার VS ক্রোম ব্রাউজার
গুগল ক্রোম ☑ ব্রাউজার আমাদের সবার কাছে খুবই পরিচিত। তবে, ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার অফিশিয়াল ভাবে ক্রোম এবং ব্রেভ ব্রাউজার এর টেস্ট করেছে।
তবে, আমাদের দৈনন্দিন সুবিধাগুলো ফিল্টার করে তাদের করা তুলনার সাথে আমাদের সুবিধাগুলো বিবেচনা করবো।
তাহলে বুঝতে পারবো যে, ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার আমাদের ব্যবহার করা উচিত কিনা?
১. ব্যাটারি লাইফ
আমরা অনলাইনে থাকলে বা ব্রাউজ ককরলে দেখা যায় অনেক ব্যাটারি ক্ষয় হয়ে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে কোন ব্রাউজার আমাদের সুবিধা দিবে তা দেখে নিই।
ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার বলছে তারা গুগল ক্রোম থেকেও বেশি ব্যাটারি সেভ করতে সক্ষম। গুগল ক্রোম ছাড়াও ফায়ারফক্স এবং ওপেরা মিনি থেকেও বেশি ব্যাটারি সেভ করে।
যদি তাই হয় তবে, আপনার ব্যাটারি ক্ষয় কমাতে বা কম চার্জের মধ্যে ব্রাউজ করতে ব্রেভ ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারেন।
কোন ব্রাউজার সবচেয়ে দ্রুত পেজ লোড করতে সক্ষম?
অনলাইনে ব্রাউজ করি, যদি পেজ ই দ্রুত লোড না হয় বা আর্টিকেলই যদি দ্রুত লোড করতে না পারে তবে, ব্রাউজ করে কোনো মজাই নেই।
দ্রুত পেজ লোডিং এ ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার বলছে যে, তারা ক্রোম থেকেও ৩৩% কম মেমোরি খরচ করে ব্রাউজ করতে সক্ষম।
যদি এমনটিই হয়ে থাকে তবে, আসলেই খুব দ্রুত অনলাইনে ব্রাউজ করতে পারবেন।
এবং সেই সাথে সাথে গুগল ক্রোম থেকেও ৩x দ্রুত পেজ লোড করতে সক্ষম। আর ক্রোম থেকেও ১ ঘন্টা বেশি ব্যাটারি সেভ করতে সক্ষম।
ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজারের দাবিগুলো কতটা যৌক্তিক?
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে একটা দাবির কোনো যুক্তি নেই। তাদের দাবি ছিলো যে, তারা ক্রোম থেকেও কম সময়ে পেজ লোডিং করতে সক্ষম।
কিন্তু ব্রেভ যখন পেজ লোডিং করে তখন বিজ্ঞাপনগুলোকে ব্লক করে দেয়। আর এই প্রক্রিয়া গুগল ক্রোম করে না।
সেরা নিরাপদ ব্রাউজার মানে ব্রেভ যখন বিজ্ঞাপনগুলো ব্লক করতে থাকে তখন ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজারের কিছুটা বাড়তি সময় লাগে।
তাই পেজ দ্রুত লোডিং করার বিপরিতে একটু বেশি সময় নেয়। সেখানে ক্রোম একটু এগিয়ে।
আপনার জন্য কোন ব্রাউজার সেরা হবে।
একটা ব্রাউজারে শুধু ব্রাউজ করাই একমাত্র কাজ নয়। যেমন প্রতিটা সাইটের পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখা।
আবার বিলিং ঠিকানা সেভভ করা। যেটা অটোফিলে খুবই সুবিধাজনক। আরও রয়েছে সার্চ রেকর্ড বা History.
এই তথ্যগুলো একমাত্র ব্যাক্তিগত। তথ্যগুলো যদি কোনো সাইট কুকি দিয়ে নিয়ে যায় তখন আর অনলাইনে নিরাপদ বলা যায় না।
এই সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্যই ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকে। ব্রেভ ব্রাউজারের সকল ফিচার উপভোগ করতে গেলে সার্চ বা ব্রাউজ করা উপবোগ করতে পারবেন না।
কারণ, আপনি যদি অ্যাড ব্লক করে রাখেন তখন, ব্রেভ ব্রাউজার প্রতিটা পেজ লোড করতে অনেক সময় নিবে।
তাই অনেকের কাছে পেজ লোডিংটা অনেক বিরক্তিকর হতে পারে। আপনার কাছেও এটা বিরক্তিকর হতে পারে।।
আপনি যদি মনে করেন যে, আপনার নিরাপদ প্রয়োজন তবে, আপনি ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজারটি ব্রবহার করে দেখতে পারেন।
আর যদি মনে করেন যে, আমার যে তথ্যগুরো আছে সেগুলো চুরি হলেও তেমন কোনো সমস্যা নেই তবে,
ভালো সার্চ এক্সপেরিয়েন্স করার জন্য গুগল ক্রোমই ব্যবহার করতে পারেন।
শেষ কথা:
আজকের আর্টিকেলটি ছিলো মূলত ব্রেভ ওয়েব ব্রাউজার এর ফিচারগুলো নিয়ে। এখানে ক্রোমের সাথে কিছুটা তুলনা করে দেখেছি যে,
ক্রোন ব্রাউজারটি ভালো হবে বা ব্রেভ ব্রাউজার আপনার জন্য কিনা? ইত্যাদি বিষয়গুলো। আশা করি আজকের ব্লগটিট বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ;