বর্তমানে অনেক মানুষকেই দেখা যায় যে তাদের আর্থিক কোন সমস্যা হলে তারা বিকাশ থেকে লোন নিয়ে। হয়তো তাদের থেকে এই কথাটি শুনেছেন এবং বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

সেজন্য বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার সম্পর্কে যত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে সবগুলো দিয়ে আজকের এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে।

চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।

আপনি কি আপনার জরুরি মুহূর্তে কিংবা কোনো প্রয়োজনে বিকাশ থেকে লোন নিতে চাচ্ছেন? তাহলে জেনে নিন বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায় উপায় সম্পর্কে এববং লোন নিন ঘরে বসেই তাও আবার কোনো ঝামেলা ছাড়াই

ডিজিটাল লোন নেয়ার পদ্ধতিতে বিকাশ একধাপ এগিয়ে আছে।

আপনি চাইলে ঘরে বসেই ২০,০০০ বা বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।

তাও আবার কোনো জামানত ছাড়াই।

তাই এখনই জেনে নিন বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়, আর পরিশোধ করুন তিন মাসের ভিতরে।

কিভাবে বিকাশ থেকে ডিজিটাল লোন নিবেন।

এবং কিভাবে টাকা হাতে পাবেন। এবং কিভাবে সেই টাকা বা ঋন পরিশোধ করবেন।

সবকিছুর বিস্তারিত থাকছে আজকের ব্লগে।

যেহেতু এটা টাকা পয়সার ব্যাপার তাই, মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নইলে সমস্যা হতে পারে।

বিকাশ ডিজিটাল লোনটি মূলত পার্টনারভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক দিয়ে থাকে।

এখনো সবাইকে এই লোন দেয়া হচ্ছে না। কেনো হচ্ছে না তারও বিস্তারিত একটু আলোচনা থাকবে।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়

ডিজিটাল লোন সম্পূর্ণ বিকাশ ভিত্তিক। মানে আপনাকে কোনো কাগজ পত্রের জামেলা করতে হবে না।

কিংবা কোনো ব্যাংকে ও যেতে হবে না।

শুধু ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন ডিজিটাল লোন।

ডিজিটাল লোন এর আওতায় একজন গ্রাহক একটি একাউন্ট থেকে একবারই লোন নিতে পারবেন।

এবং বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে এই লোন নিতে পারবেন।

এই লোনটি নেয়া হলে তা বিকাশ একাউন্টেই আসবে। এবং টাকা হাতে পেতে হলে বিকাশ থেকে ক্যাশ আউট করে নিবেন।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং শর্ত

আপনি যখন লোনটি নিবেন এবং পরবর্তীকালে পরিষদের সময় আপনার একাউন্ট থেকেই লোন কেটে নেয়া হবে।

এবং আপনার থেকে কিস্তি আকারে কেটে নেয়া হবে। যার পরিমান প্রতি মাসে একটা কিস্তি করে।

মানে আপনি লোনে নেয়ার দিন থেকে তিনটা লোনে বা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।

নির্দিষ্টি তারিখ থেকে পরের মাসে প্রথম কিস্তি নেবে।

অনেকে চাইছে এই লোন নিতে কিন্তু পারছে না।

তারা কেনো পারছে না? এর উত্তর হবে বা লোনটি পাবার যোগ্যতা হলো আপনাকে নিয়মিত বিকাশ গ্রাহক হতে হবে।

মানে আপনি প্রতি মাসে ভালো পরিমান লেনদেনের আওতায় থাকতে হবে।

যেমন মাসে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা যারা লেনদেন করে থাকে, তাদের জন্য এই ডিজিটাল লোন পেতে সহজ হবে।

অন্যদিকে যারা খুবই কম লেনদেন করেন যেমন মাসে দুই একবার লেনদেন হয়। আবার কোনো মাসে হয়ও না।

আর হলেও পাঁচ হাজার কিংবা দশ হাজার টাকোর লেনদেন করে থাকেন।

তাদের জন্য এই ডিজিটাল লোন হবে না। বা আপনি এই লোন পাবার যোগ্য নই।

আরেকটা কারন হলো: আমাদের অনেকের স্টুডেন্ট একাউন্ট আছে।

যেমন, অনেক শিক্ষার্থী উপবৃত্তি গ্রহনের সময় বলা হয়েছে বিকাশ একাউন্ট লাগবে।

তখন তাদেরকে একটা করে বিকাশ একাউন্ট খুলে দিয়েছে।

তাদের জন্ম নিবন্ধনের ফটো কপি এবং মাতা পিতার আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়ে একাউন্ট খুলে দিয়েছে।

এমন একাউন্টে বিকাশ ডিজিটাল লোন পাবার সম্ভাবনা নেই। [নিজ অভিজ্ঞতা থেকে]

বিকাশের এই লোনটা গ্রাহক ভিত্তিক আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

আপনার লেনদেনের উপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্ছ ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায় – ওপেন অ্যাপ

অশা করি সকল শর্ত বুঝতে পেরেছেন। যদি কেউ দেখেন যে, আপনি শর্ত পূর্ন করতে পারছেন না। বা উপরের শর্তগুলোতে আপনি লোন নিতে পারবেন না।

তবে, এখানে কিছুই করার নেই। শুধু অপেক্ষা করতে হবে।

বিকাশ যদি পরবর্তীতে সবার জন্য ডিজিটাল লোন সচরাচর করে তবে, আপনি তখন ডিজিটাল লোন নিতে পারবেন। এছাড়া পারবেন না।

এতক্ষনে তো লোনের ব্যাপারে আলোচনা করলাম।

এখন আপনার কি বিকাশ একাউন্ট আছে? যদি না থাকে তবে, জেনে নিন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম। বোনাস সহ!

আপনি বিকাশ থেকে ডিজিটাল লোন নিতে পারবেন কিনা? তা চেক করে নিন।

প্রথমে বিকাশ অ্যাপটি ওপেন করবেন।

তারপরে বিকাশ অ্যাপে যদি বাংলা ভাষা সিলেক্ট করা থাকে তবে, হোম স্ক্রিনে দেখতে পাবেন লোন নামে একটা অপশন আছে।

সেখানে ক্লিক করবেন।

যদি লেখা আসে “দুঃক্ষিত আপনার একাউন্টটি লোন নেওয়ার উপর্যুক্ত নয়” বা এইরকম  ধরনের কোনো লেখা আসলে বুঝবেন যে, আপনি এই লোনটি পাবেন না।

আর যদি আসে আপনার একাউন্টে যেই নাম দিয়েছেন। উদাহরণস্বরুপ “নাহিদ আপনি ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন”

লোন নিতে চাইলে তথ্য শেয়ার নামে একটা অপশন আছে।

সেখানে টিক মার্ক দিয়ে অনুমতি দিন।

তারপর নিচে “সম্মতি দিয়ে এগিয়ে যান” বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যান।

এভাবে আপনি সকল তথ্য দিবেন এবং লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

লোন সম্পর্কে বিস্তারিত

তারপরে আপনার লোন লিমিট আসবে। আপনার লেনেদেনের উপর ভিত্তি করে আপনাকে লোনের লিমিট দেয়া হবে।

সেক্ষেত্রে একেক জনের লোনের পরিমান একেক রকম হতে পারে।

যেমন কারো ৫০০ টাকা। আবার কারো ৫,০০০ টাকা। এভাবে আসবে।

সব দেখে তারপরে লোন নিন বাটনে ক্লিক করুন। তারপরে লোনের পরিমান দিন।

এখানে আপনার লিমিট হয়তো ১০,০০০ টাকা এসেছে।

কিন্তু আপনি চাচ্ছেন ৫,০০০ টাকা বা তার কম বেশি নিতে।

তখন আপনি আপনার টাকার পরিমানটি দিবেন। এবং একটু নিচেই সময় দেখতে পাবেন।

মানে আপনি যে লোনটি  নিচ্ছেন তার সময়সীমা বা পরিশোধের সময় হবে তিন মাস।

এখন আপনি তিন মাস লেখার উপর ক্লিক করবেন।

তারপরে নিচে দেখতে পাবেন “এগিয়ে যান” বাটন আছে। সেখানে ক্লিক করবেন।

এরপর আপনার সামরে পুরো বিবরণ আসবে।

যেমন ব্যাংক থেকে কত টাকা লোন নিচ্ছেন। সময়সীমা কখন থেকে কখন।

কত টাকা ইন্টারেস্ট দিতে হবে। প্রতি মাসের কত তারিখে কিস্তিতে দিতে হবে।

এবং কোন কিস্তি কত তারিখে দিতে হবে। মনে রাখবেন যে, আপনার প্রতিটা কিস্তি একাউন্ট থেকে কেটে নিবে।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায় – শেষ ধাপ

আপনার বিবরনী থেকে সবকিছু দেখে নিবেন। সব ঠিক থাকার পর নিচে প্রসেস বাটনে ট্যাপ করুন।

তারপরে লোনের নির্দেশনা ও শর্তাবলী দেখে নিন। তারপরে সম্মতি বাটনে ক্লিক করুন।

মনে করেন আপনার লোন এসে গেছে। এখন শুধু আপনার বিকাশ পিনটি দিয়ে দিবেন।

সবশেষে আরেকটা পেজ আসবে।

সেখানে লোন নিতে ট্যাপ করুন। সাথে সাথেই লোন পেয়ে যাবেন।

শেষ কথা:

আশা করি বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। মনে রাখবেন এটা জরুরি মুহূর্তের লোন। তাই লোন নিতে একটু ভেবে চিন্তে নিবেন।

এছাড়া লোন সম্পর্কে সকল তথ্য এখানে দেয়া হয়েছে। তাই বিস্তারিত দেখে নিন ধন্যবাদ!