আপনি কি জানেন বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করা একবারেই সহজ। এমনকি কোনো প্রকার পুঁজি ছাড়াই মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

যদি বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে একটি ইউনিক আইডিয়ার মাধ্যমে বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আজকে আমি আপনাদের বলবো কিভাবে বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এমনকি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

যেটাকে আপনি ব্যববসাই বলতে পারেন। আমি আগেই বলে নিই যে, আজকের আর্টিকেলটি খুবই ইন্টারেস্ট হতে যাচ্ছে।

কারণ বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়টি জেনে আজ থেকেই মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। শুধুমাত্র আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন।

বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

আপনি কি বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করতে চান? তবে আপনাকে বলি, আপনি শুধু বিকাশ ইউজারদের সন্ধান করুন।

আপনাদেরকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলি। আমাদের প্রত্যেকেরই বিকাশ একাউন্ট আছে। যাদের নেই তারা বিকাশ একাউন্ট খুলে নিবেন। কারণ বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে বিকাশ একাউন্ট লাগবেই।

আপনি যেবাবে বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করবেন তা হলো ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট। আমরা সবাই জানি যে, বিকাশ ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট শুধু বিকাশ এজেন্টরাই পারে।

তবে এখন এটা ভূল। কারণ আপনি একটু কৌশল করেই বিকাশ পার্সনাল একাউন্ট থেকে ক্যাশ ইন এবং ক্যাাশ আউট করতে পারবেন।

এমনকি আপনার বিকাশ এজন্টদের চেয়েও বেশি লাভ হবে। সাধারণত বিকাশ এজেন্টরা বাড়তি কমিশন বাদে প্রতি হাজারে ৪ টাকা ইনকাম করে।

আর আপনি প্রতি হাজারে সর্বনিম্ন ১৫ টাকা আয় করতে  পারবেন। এবং সর্বোচ্ছ ২০ টাকা আয় করতে পারবেন।

যেখানে একজন বিকাশ এজেন্টের আয় প্রতি হাজারে মাত্র ৪ টাকা। আর সেখানে আপনি প্রতি হাজারে ১৫ টাকা আয় করতে পারবেন।

এবং আপনি বিকাশ থেকে ইনকাম করাার জন্য মানে প্রতি হাজারে ১৫ টাকা ইনকাম করার জন্য যা যা করতে হবে তার সবই আমি আলোচনা করবো। আপনি শুধু মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন।

বিকাশ থেকে মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়।

আমি যে বলেছিলাম বিকাশ থেকে মাসে হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। শুধু হাজার টাকা না, আপনি একটু কষ্ট করলে মাসে লাখ টাকাও আয় করতে পারবেন।

এখন আপনাকে যা করতে হবে তা হলো আপনি যদি বিকাশ একাউন্ট খুলে থাকনে তবে,  আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করবো আপনি বিকাশ লেনদেন লিমিট কত দিয়েছেন।

আমাকে বলার প্রয়োজন নেই। আপনি যদি মাসে ৫০,০০০ টাকা দিয়ে থাকেন তবে, আপনি একটা বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন।

আর যারা নতুন একাউন্ট খুলবেন তারা বিকাশ লেনদেন লিমিট ৫০,০০০ টাকার কাছাকাছি দিবেন। আরেকটা কথা হচ্ছে আপনি যদি বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করার আগ্রহ রাখেন তবেই আপনি ৫০,০০০ টাকার কাছাকাছি দিবেন।

অন্যথায় আপনাকে ৫০,০০০ টাকার লেনদেন লিমিট দিতে হবে না। আপনার আনুমানিক আয়ের উপর নির্ভর করে লিমিট দিবেন।

এটা ডিসক্লাইমার ছিলো। আপনি এই লিমিট দিতেও পারেন আবার নাও দিতে পারেন। আর আমার কথা না মানলেও হবে। কারণ এখানে লিমিটে কোনো সমস্যা হবে না।

এরপরে আপনি দেখবেন যে, আপনার আসেপাশে বিকাশ এজেন্ট কতজন কিংবা কতটুকু কাছে আছে তারা।

মানে আপনাদের লোকাল বাজারে বিকাশ এজেন্ট কতজন আছে। যদি আপনাদের স্থানীয় বাজারে বিকাশ েএজেন্ট দুই থেকে তিনজনের বেশি থাকে তবে আপনার জন্য একটু কষ্টকর হবে।

হয়তবা আপনি এতো বেশি আয়ও করতে পারবেন না। যাইহোক আমি প্রসেসগুলো বলে দিচ্ছি। যাতে করে আপনি ভালো মানের মার্কেটিং করতে পারেন।

আর, আমি বলেছি এজেন্ট ব্যাতিত ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট করবেন। এখন প্রশ্ন থাকতে পারে বিকাশ পার্সনাল একাউন্টে কিভাবে ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট করবেন।

এটা টিক যে, বিকাশ পার্সনাল থেকে ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট করা যায় না। মানে বিকাশ এজেন্টদের মতো ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট করে টাকা আয় করা যায় না।

তাতে কি হয়েছে। আমরা তো বিকাশ পার্সনাল থেকে সেন্ড মানি করতে পারি। মানে অন্য কারো বিকাশ একাউন্ট থেকে আমাদের একাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারি।

আপনাদেরকে পুরো ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলি। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

লেনদেন করে বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম

আপনাকে মাসে হাজার টাকা আয় করার জন্য কিছু লেনদেন করতে হবে। মূলত আপনার আয়ই হবে লেনদেনের মাধ্যমে।

প্রথমে আপনাকে একাউন্টে টাকা ক্যাশ আউট প্রক্রিয়া করতে হবে। বিকাশ এজেন্টরা যেমন ক্যাশ আউট করে তেমনি আপনাকেও ক্যাশ আউট প্রক্রিয়া করতে হবে।

তবে, বিকাশে যেমন ক্যাশ আউট করলে এজেন্টরা হাজারে ৪ টাকা করে পায় এখানে আপনি পাবেন ১৫ থেকে ২০ টাকা। আসল ব্যবসা বা বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম এখানে।

ধরুন, কেউ বিকাশ থেকে টাকা ক্যাশ আউট করবে। তখন আপনার কাছে এলো টাকা ক্যাশআউট করার জন্য।

আপনাকে যা করতে হবে তা হলো আপনি তার মোবাইল থেকে সেন্ড মানি করে আপনার একাউন্টে টাকা আনবেন।

বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম ২০২৩

২০২২ সালে এসে এই সেরা আইডিয়াটি কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।

উদাহরণস্বরূপ, কেউ ৫,০০০ টাকা ক্যাশআউট করবে। তাহলে আপনি তাকে ক্যাশআউট দেয়ার জন্য তার বিকাশ একাউন্ট থেকে আপনার বিকাশ একাউন্টে ৫,০০০ টাকা সেন্ড মানি করে নিবেন।

এরপর তাকে ৫,০০০ টাকা দিয়ে দিবেন। মনে করেন এই যে ৫,০০০ টাকা দিলেন এটা সে ক্যাশ আউট করেছে এবং আপনার পুঁজি।

এরপর ক্যাশ আউট চার্জ হিসেবে আপনি তার থেকে নিচে ১৫ টাকা নিতে পারেন। এবং সর্বোচ্ছ ১৮.৫০ টাকা করে নিতে পারবেন।

তাহলে আপনার লাভ কিভাবে হবে তাইতো? আপনি যে তার একাউন্ট থেকে ৫,০০০ টাকা সেন্ড মানি করে আপনার একাউন্টে আনলেন সেখানে আপনি বাড়তি ৫,০০০ টাকায় ১৫ টাকা করে খরচ সহ বাড়তি ৫,০৭৫ টাকা সেন্ড মানি করবেন।

এবং তাকে হাতে দিবেন বরাবর ৫,০০০ টাকা। এখন আপনি তাকে দিলেন ৫,০০০ টাকা। কিন্তু খরচ সহ আপনি পেলেন ৫,০৭৫ টাক।

এখানে কিন্তু ৭৫ টাকাই আপনার লাভ। কিভাবে তা জেনে নিন। আবার অন্য কেউ যখন বিকাশে টাকা পাঠাতে আসবে,

ধরুন, কেউ আবার আপনার কাছে এসেছে ৫,০০০ টাকা ক্যাশইন করার জন্য। তখন আপনি আগের যেই লোক থেকে ৫,০০০ টাকা ক্যাশ আউটে ৫,০৭৫ টাকা নিলেন সেখান থেকে ৫,০০০ টাকা বর্তমানে যে ক্যাশইন করতে এসেছে তার একাউন্টে দিয়ে দিবেন।

তাহলে লোকটি আপনার হাতে ৫,০০০ টাকা দিবে। কারণ সে তো ক্যাশইন করতে এসেছে। তাহলে আগের যে লোককে ক্যাশ আউট করে আপনার নিজ থেকে যে ৫,০০০ টাকা দিলেন সে ৫,০০০ টাকা এখন এই লোকটি ক্যাশইন করতে আপনাকে দিয়ে দিয়েছে।

তাহলে আপনার টাকা আপনার হাতেই চলে এসছে। কিন্তু বাড়তি ক্যাশআউট চার্জ যার কাছ থেকে নিলেন সে ৭৫ টাকা পুরোটাই আছে।

আমরা সবাই জানি যে, বিকাশ থেকে ক্যাশ আউট করলে বিকাশ নিজেই টাকা কাটে। সেখানে আর কিছু করতে হয় না।

কিন্তু আপনি ম্যানুয়ালি করে বাড়তি খরচগুলোর সবই আপনার থাকলো। শুদু জামেলা হবে যে ক্যাশইন অথবা ক্যাশ আউট করতে আসবে তার থেকে সেন্ড মানি করতে হবে।

ব্যাস এতটুকুই। এই প্রক্রিয়া করে আপনি প্রতি হাজারে সর্বনিম্ন ১৫ টাকা করে পাচ্ছেন। আর এককজন এজেন্ট প্রতি হাজারে পাচ্ছে ৪ টাকা করে।

দেখুন, কতটুকু লাভ হচ্ছে। একজন এজেন্ট থেকে প্রায় ৪ গুন বেশি লাভ হচ্ছে। তাও আবার প্রতি হাজারে।

বিকাশ থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন?

আমি যে প্রক্রিয়া দেখালাম সেখানে যদি প্রতি হাজারে সর্বনিম্ন ১৫ টাকা করে লাভব হয় তবে আপনি দৈনিক ১০,০০০ টাকা লেনদের করতে পারলে আপনার লাভ হবে ১৫*১০ = ১৫০ টাকা।

আর একজন এজেন্ট প্রতি ১০,০০০ টাকায় লাভ করে ১০*৪ = ৪০ টাকা। যেখানে এজেন্টের লাভ ৪০ টাকা সেখানে আপনার লাভ ১৫০ টাকা।

তাহলে আপনার দৈনিক লাভ ১৫০ টাকা করে হলে মাসে লাভ ১৫০*৩০ = ৪,৫০০ টাকা। আপনি দৈনিক যদি ১০,০০০ টাকার চেয়েও বেশি লেনদেন করতে  পারেন তবে, আপনার ইনকাম আরও বেশি হবে।

আমি যেভাবে দেখালাম সেভাবে করতে পারলে বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করা একবারেই সহজ। তবে কিছু সমস্যা আছে।

যেমন, আপনি যখন বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন তখন আপনার মাসিক আয় ২০,০০০ [উদাহরণস্বরুপ] সিলেক্ট করেছেন।

কিন্তু আপনি এখানে দৈনিক ১০,০০০ টাকা করে লেনদেন করলে আপনার মাসিক লেনদেন হবে ১০,০০০*৩০ = ৩,০০,০০০ টাকা। [প্রায় তিন লক্ষ টাকা]

তখন বিকাশ আপনার উপর সন্দেহ করতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। একজন ২০,০০০ টাকা মাসিক আয়ের লোক যদি মাসে তিন লক্ষ টাকা লেনদেন করে তবে, বিকাশ তাদের  পলিসি অনুযায়ী যেকোনো ব্যস্থা নিতে পারে।

এমনকি আইনি কোনো জটিলতাও হতে পারে। আর, আমি শুধু ইনকামের উপায়গুলো বলে দিয়েছি। ভালা মন্দ বুঝার মতো অবস্থা আপনার আছে।

তাই আমার মনে হয় বেশি লাভ না করে আপনার হাত খরচের জন্য সামান্য কিছু আয় করতে পারেন। যদি এভাবে বেশি আয় করা যেতো তবে কেউ আর এজেন্ট নিতো না। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথা:

এখানে উল্লেখ করা বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম প্রক্রিয়াটি আপনার কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

আর ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ! সাথেই থাকুন।