বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয় গুলো কি কি? কিংবা বিকাশ একাউন্ট লক হলে কিভাবে আনলাক করবেন। তার সবকিছু আজকে জানতে পারবেন।

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা (এমএফএস) এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ মার্কে শেয়ার নিয়ে বিকাশ সবার শীর্ষে। তাই বিকাশ গ্রাহকেরও কমতি নেই।

আবার দেখা যায় যে, নিরাপত্তার জন্য বিকাশে ভূল পিনে দুই তিন বারের বেশি চেষ্টা করলে বিকাশ পিন লক হয়ে যায়।

যদি কোনো কারণে কিংবা ভূলে আপনার বিকাশ একাউন্ট এর পিক লক হয়ে যায় তাহলে কিভাবে রিসেট করবেন সে ব্যাপারে জেনে নিন। সাধারণত অনেকের বিকাশ একাউন্ট লক হয়ে যায়। তখন তারা জিজ্ঞেস করে যে বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয় কি? তাই বিকাশ একাউন্ট এর পিন রিসেট করার জন্য আজকের টিউটোরিয়াল।

তাই আজকে আপনাদের জানাবো যে, বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয়। হতাশ হবার কোনো কারন নেই।

একবারেই সহজেই আপনার পিন উদ্ধার করতে পারবেন। মনে রাখবেন এটা যেহেতু টাকার লেনদেন তাই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আশা করি আপনার সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।

আবার যদি হ্যাক হয় তাহলে, করণীয় কি? তারও বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনাদের দেখাবো যদি  আপনার বাটন ফোন হয়। এবং এন্ড্রয়েড ফোনেও দেখাবো।

বিকাশ একাউন্ট খোলা তো একেবারেই সহজ। তাই জেনে নিন বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম। বোনাস সহ!

বিকাশ পিন লক হয় কেনো?

অনেকেই তো জানেই না যে, বিকাশ পিন লক হয় কেনো? সহজেই বলতে গেলে বিকাশ পিন লক হয় কিছু অসতর্কতার কারণে।

প্রথমেই এবং সবচেয়ে বেশি হয় ভূল পিন ট্রাই করাতে।

আপনার বিকাশ একাউন্টে আপনি বা অন্য যে কেউ যদি ভূল পিন দিয়ে বার বার চেষ্টা করে তবে, বিকাশ মনে করে আপনার বিকাশ একাউন্টটি হ্যাক হয়ে গেছে।

তখন তারা আপনার বিকাশ একাউন্টটি বন্ধ করে দেয়। এটা খুবই কমন ব্যাপার। তাই আপনার মোবাইল অন্য কারো হাতে দিবেন না।

নিজে একটু সতর্ক হোন। তাহলে আর বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

আরেকটা ব্যাপার যেটা আমার সাথে হয়েছে।

তা হলো: আপনার একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকেল বা যেই টাকা আছে তার বেশি টাকা লেনদেনের জন্য বার বার চেষ্টা করলে আপনার বিকাশ একাউন্টটি বন্ধ করে দিবে।

তাই মনে রাখবেন, যাই করবেন বা যেই লেনদেন করবেন আপনি একটু সতর্ক হয়ে লেনদেন করবেন। তাহলে বিকাশ পিন লক হবার সম্ভাবনা থাকবে না।

বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয় সমূহ

কোনো কারনে আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে বা পিন লক হয়ে গেলে আনলক করার জন্য বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয় গুলো দেখে নিন।

 দুইভাবে আপনার একাউন্ট ঠিক করতে পারবেন।

প্রথমত,

আপনার কাছে ধারে যদি কোথাও বিকাশ কাস্টমার কেয়ার থাকে তবে সেখানে গিয়ে পিন রিকভার করতে পারবেন।

কাস্টমার কেয়ার কোথায় আছে তা জানার জন্য, আপনার নিকটস্থ বা কাছের কোনো বিকাশ এজেন্টের থেকে জেনে নিতে পারবেন।

তার জন্য আপনার নিকটস্থ বাজারে গেলেই হবে।

তখন বিকাশ কাস্টমার কেয়ার থেকে বিকাশ একাউন্ট আনলক করার জন্য আপনি যে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন সেই ভোটার আইডি কার্ড নিলেই হবে।

আর আপনার মোবাইলে বিকাশের সর্বশেষ লেনদেনের একটা এসএমএস লাগবে। সেখানে আপনি সর্বশেষ কত টাকা লেনদেন করেছেন তার পরিমান বিকাশ কাস্টমার কেয়ার জানতে চাইবে।

আরেকটা অপশন হলো লাইভ চ্যাট। আপনার যদি কাস্টমার কেয়ারে যাওয়ার সুযোগ না হয় তবে আপনি ঘরে বসেই বিকাশ পিন রিকভারি করতে পারবেন।

আজকে আমরা এই ব্যাপারেই আলোচনা করবো। যে বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয় কি?

আপনার বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয় হবে, মোবাইলে কিছু এমবি রাখতে হবে। যদি এমবি না থাকে তবে, রবি ইউজার হলে ফ্রিতে ১ জিবি বোনাস নিয়ে নিন।

দ্বিতীয়ত,

গুগলে bkash লিখে সার্চ করবেন। একটু নিচেই দেখতে পাবেন যে, Live chat নামে একটা পেজ আছে। অথবা Live chat এ ক্লিক করুন।

তারপরে ক্লিক করে লাইভ চ্যাট করুন এ ক্লিক করুন। কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হবে।

তারপরে বিকাশ থেকে কেউ একজন আপনার সাথে চ্যাট করবে।

লাইভ চ্যাটে তাদের বলবেন যে, আমার বিকাশ একাউন্টটি লক হয়ে গিয়েছে।

তখন আপনার মোবাইল নম্বর জিজ্ঞেস করবে।

এবং সে নম্বরে তখন একটি এসএমএস কোড পাঠাবে।

এবং সেই কোডটি লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে বিকাশ প্রতিনিধিকে বলতে হবে। এটা মূলত একটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম।

তারপর আপনার আইডি কার্ডের নম্বরটি চাইবে। তারা এভাবে বলবে যে আপনি যে আইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন সেই আইডি কার্ডের নম্বরটি বলুন।

এখন আপনি যে আইডি কার্ড দিয়ে আপনার বিকাশ একাউন্টটি খুলেছেন সে আইডি কার্ডের নম্বরটা বলবেন।

এটা মূলত ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর। (যদি স্টুডেন্ট একাউন্ট হয় তাহলে স্টুডেন্ট নম্বর)

সঠিক তথ্য দেয়ার পর কিছুক্ষন অপেক্ষা করবেন। এবং তারা আপনাকে আরও কিছু জিজ্ঞেস করবে।

যেমন যার নামে বিকাশ একাউন্ট রয়েছে তার নাম এবং জন্মতারিখ।

আপনি শুধুমাত্র একটা কথা মাথায় রাখবেন যে সকল তথ্য সঠিক দিবেন। এবং তথ্যগুলো একবারেই সঠিক দিবেন।

মনে রাখবেন, যতক্ষন সমস্যা সমাধান না হবে, ততক্ষন লাইভ চ্যাট থেকে বের হবেন না।

কিছুক্ষন পরে তারা আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলা সিমে একটা এসএমএস পাঠাবে। সেটা আপনার বিকাশে একাউন্টের পিনের যায়গায় বসিয়ে দিবেন।

এবং ৭২ ঘন্টার ভিতরে নতুন আরেকটি পিন বসিয়ে দিবেন। আরেকটি পিন বসানোর ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের অপশনে গিয়ে পরিবর্তন করে নিবেন। তাহলেই হবে।

বিকাশ পিন ভুলে গেলে

আপনি যদি আপনার বিকাশ পিন ভুলে যান তাহলে বিক্যাশ পিন রিসেট করার জন্য আপনার মোবাইলের ডায়াল প্যাডে গিয়ে *247৫ ডায়াল করুন।

এরপর মাত্র ৩ টি স্টেপ ফলো করলে আপনার বিকাশ পিন সহজেই রিসেট করতে পারবেন। অনেক সময় অনেকের বিকাশ একাউন্ট লক হয়ে যায়।

তখন কি করবে বা কিভাবে বিকাশ একাউন্ট আনলক করবে তা নিয়ে একপ্রকার দৌড়াদৌড়ি দেখা যায়।

তাই আপনি এখানে উল্লেখ করা নিচের চারটি স্টেপ ফলো করুন এবং সাথে সাথে বিকাশ একাউন্ট আনলক করুন।

নিচে যে চারটি স্টেপ রয়েছে তার মধ্যে বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয় গুলো স্টেপ বাই স্টেপ ভাবে বুঝানো হয়েছে।

স্টেপ ১.

আপনার মোবাইলে *247# ডায়াল করবেন। এবং বিকাশের অনেকগুলো সার্ভিস দেখতে পাবেন। যার মধ্যে বিকাশ অ্যাকাউন্ট আনলক করার জন্য 10. (Reset Pin) অপশনটি সিলেক্ট করবেন।

স্টেপ ২.

এরপর আপনার কাছে যে নোটিশটি আসবে সেটা হচ্ছে আপনি যে আইডি কার্ড পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন সে আইডি কার্ড পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নাম্বারটি সেখানে প্রদান করতে হবে।

স্টেপ ৩.

আপনি যে কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন সেই কার্ডে উল্লেখ করা জন্মসাল প্রদান করবেন।

স্টেপ ৪.

আপনার যেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট লক হয়েছে সেই একাউন্টে সর্বশেষ লেনদেনের একটি তথ্য প্রদান করুন।

মানে সর্বশেষে আপনি বিকাশে যে টাকা লেনদেন করছেন তার পরিমান এখানে প্রদান করতে হবে। এবার হতে পারে ক্যাশ আউট, ক্যাশ ইন, মোবাইল রিচার্জ, পেমেন্টে, পে বিল ইত্যাদির যেকোনো একটা লেনদেন হলেই হবে।

ফাইনাল স্টেপ.

আপনার সকল তথ্য ঠিক থাকলে বিকাশ থেকে আপনার তথ্য যাচাই করে এবং আপনাকে একটি ওয়ানটাইম পিন সেন্ড করা হবে।

এবং 48 ঘন্টার ভেতরে আপনি সেই ওয়ান টাইম পিনটি রিসেট করে নতুন পিন বসিয়ে নিবেন। তাহলেই আপনার বিকাশ একাউন্ট আনলক হয়ে যাবে।

ভুলে যাওয়া পাসওয়ার্ড খোলার নিয়ম। bkash pin reset

বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয় হলো আপনার মোবাইল থেকে *247# ডায়াল করে পিন রিসেট করতে পারবেন।

মূলত যাদের বাটন ফোনে বিকাশ রয়েছে তাদের জন্য *247# ডায়াল করে বিকাশ পিন রিসেট করার সুযোগ রয়েছে।

তারপরে হয়তো একটা কল আসবে 16247 থেকে নইলে কল দিতে হবে, এবং কিছু তথ্য চাইবে।

এরপরে একটা এসএমএস আসবে। সেটা বসিয়ে দিবে। বসানো জন্য। মাই বিকাশ এ যাবেন। প্রথমে *247# ডয়াল করবেন।

তারপরে 8/৮ টাইপ করবেন। যেখানে My bKash অপশন আসবে। এরপরে Change Mobile Menu PIN তে ক্লিক করবেন। তারপরে আপনার পুরোনো পিনটি দিবেন।

এরপরে নতুন পিন দিবেন। পিন অবশ্যই ৫ ডিজিটের হতে হবে। এবং সংখ্যার হতে হবে। নতুন পিন দুইবার দিয়ে কনফার্ম করে নিবেন।

বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয় সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্নঃ

বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয় কি?

আপনার বিকাশ একাউন্ট লক হয়ে গেলে পিন রিসেট করে নিতে হবে।

বিকাশ পিন রিসেট করার উপায় কি?

আপনার বিকাশ একাউন্ট এর পিন রিসেট করার জন্য মোবাইল অ্যাপ অথবা USSD এর মাধ্যমে গাইডলাইন ফলো করে পিন রিসেসট করতে পারবেন। এখানে পিনন রিসেট করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন দেয়া আছে।

শেষ কথা:

এখানে যতগুলো স্টেপ আছে সবগুলো বিকাশ একাউন্ট লক হলে করনীয় সমূহ। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

আর যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তবে, এই লিংক এ যান। আশা করি উপকৃত হবেন। ধন্যবাদ!