আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ফ্রি টাকা ইনকাম করার জন্য গুগলে অনেক খোঁঁজাখুজি করে। কিন্তু সঠিক গাইডলাইন না থাকার কারনে ফ্রি টাকা ইনকাম করার আইডিয়াগুলো জানতে পারে না।

তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে ফ্রিতে টাকা আয় করতে পারবেন।
এবং ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
অনলাইন ইনকাম। ফ্রিতে টাকা ইনকাম
বর্তমানে একটা ইনককাম সোর্স দিয়ে সুন্দরভভাবে জীবন-যাপন করা খুবই মুশকিল।
তাই বাড়তি ফ্রি টাকা ইনকাম করার সোর্স থাকলে মাসে একটা ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম হয়ে থাকে।
ফ্রি টাকা ইনকাম করার জন্য কোন কাজ গুলো করতে হয় তাই জানা থাকে না।
যার ফলে সঠিক গাইডের অভাবে কিছু বাড়তি টাকা আয়ের সম্ভাবনা মিস হয়ে যায়।
তাই আজকে আপনাদেরকে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে বলবো কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এমনকি ১০০% কার্যকরি সকল উপায় সমূহ। চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ফ্রি টাকা ইনকাম কি?
সাধারণত ফ্রিতে টাকা পয়সা রোজগারকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম বলে।
যেমন কোনো প্রকারর ইনভেস্ট কিংবা কষ্ট করা ছাড়া যে ইনকাম করা হয় তাকে ফ্রি টাকা ইনকাম বলে।
আরও সহজ ভাষায় বলতে গেলে কোনো প্রকার পুঁজি ছাড়াই কাজ বা দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সোর্স থেকে টাকা ইনকাম করাকে বিনামূল্যে টাকা ইনকাম বলে।
যেহেতু ফ্রি টাকা ইনকাম করার উপায়গুলো সব কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে।
তাই ফ্রি টাকা ইনকামের অনেক সোর্স থাকে।
online theke taka income
এখানে আমি যতগুলো ফ্রি টাকা ইনকামের সোর্স সম্পর্কে বলবো তার সবগুলোর মধ্যে যেটা পছন্দ হয় কিন্তু কাজ জানা না থাকে তবে আপনি কিভাবে সেই কাজটি করে ফ্রিতে অনেক টাকা ইনকাম করবেন তার বিস্তারিতও বলে দিবো।
আশা করা যায় আজকের ব্লগটি পড়লে আপনি যেকোনো একটি উপায়ে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
১. কনটেন্ট রাইটিং করে টাকা আয় করুন।

কনটেন্ট রাইটিং কি? এটা যদি আপনার জানা না থাকে তবে বলে দিই যে, অনলাইনে কোনো কনটেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিংকে কনটেন্ট রাইটিং বলে।
যেমন আপনি এই ব্লগটি পড়ছেন। এই ব্লগটি হলো একটা আর্টিকেল বা কনটেন্ট। এই কনটেন্টটি আমি নিজে লিখেছি।
কনটেন্ট লিখে ফ্রি টাকা ইনকাম করার দুইটি উপায় আছে।
প্রথমত, আপনি নিজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেই ওয়েবসাইটে লেখালেখি করতে পারেন।
তার জন্য প্রয়োজন একটি ওয়েবসাইট। বর্তমানে টাকা খরচ না করেও ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। যেমন আমার সাইটটি।
আরেকটা উপায় হচ্ছে গেস্ট রাইটার হিসেবে।
মানে আপনার লেখার দক্ষতা আছে বা আপনি নিজে ওয়েবসােইট তৈরি করে বেশি ইনকাম করতে পারছেন না।
তখন আপনি অন্য কারো সাইটে লিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অন্য সাইট বলতে আপনি আমাদের সাইটেও লিখতে পারেন।
আপনার লেখাগুলো লিখে আমাদেরকে জমা দেয়ার পর আমরা সেগুলো চেক করে আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে দিবো।
এজন্য আপনি প্রতিটি কনটেন্টএ কত টাকা করে পাবেন তা আপনার লেখার উপর ভিত্তি করে
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য Contact us এ ক্লিক করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
অথবা ফরম পূরণ করেও আমাদরে সাইটে কাজ শুরু করতে পারেন। ব্লগিং করার জন্য ফরম
আমাদের সাইট ছাড়াও আপনি আরও অনেক সাইটে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারবেন।
তবে, তারা আপনাকে যথাসময়ে পেমেন্ট দিবে কিনা তার গ্যারান্টি দিতে পারছি না।
আর আমি বলতে পারি যে, আমি আপনার কনটেন্টটি চেক করার সাথে সাথে পেমেন্ট দিয়ে দিই।
কনটেন্ট চেক করার কারন হচ্ছে কোনো প্রকার কপি কনটেন্ট যাতে না হয়।
খুবই সহজে এবং কম কষ্টে আপনি কনটেন্ট রাইটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।
কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নিন।
২. ভিডিও বানিয়ে ফ্রি টাকা ইনকাম করুন।
যদি ভিডিওর প্রতি আপনার আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি ভিডিও বানিয়ে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
টাকা ইনকামের অনেকগুলো ক্যাটাগরির সাথে আপনি পরিচিত থাকেলও ভিডিও বানিয়ে টাকা আয় সম্পর্কে মনে হয় আপনার তেমন জানা নেই।
ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম, ব্যাপারটা পুরো কনটেন্ট রাইটিং করে আয়ের মতো।
মানে যেভাবে কনটেন্ট লিখে টাকা আয় করা যায় সেভাবে ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম হয়ে থাকে।
এই পদ্ধতিতে ইউটিউব, ফেসবুক, টিককটক ইত্যাদি থেকে আয় করা যায়।
আপনি যে প্রতিদিন ইউটিউব দেখেন সেখানে কিন্তু যারা ভিডিও বানায় তারা ইনকাম করে থাকে।
ইউটিউব থেকে ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য প্রয়োজন একটা ইউটিউব চ্যানেল।
ইউটিউব চ্যানেল হলো যেখানে ভিডিওগুলো বানিয়ে আপলোড করা হয়।
চ্যানেল খোলার পর আপনাকে যা করতে হবে তা হলো ভিডিও বানানো।
ভিডিওগুলো বানানোর পর সেগুলো আপলোড করতে হবে।
এবার আপনি ইউটিউবে আপলোড করেন আর ফেসবুক পেজে আপলোড করেন, এক ফ্ল্যাটফর্মে আপলোড করলেই হবে।
যদি ইউটিউবে আপলোড করেন তবে আপনার চ্যানেলে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে আপনি গুগল এডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন।
এরপর এডসেন্স থেকে আপনার ইনকাম হতে শুরু করবেন।
আর শুধু যে ইউটিউব কিংবা ফেসবুকে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা যায় তা কিন্তু নয়।
আপনি চাইলে টিকটকে ভিডিও বানিয়ে সেখানেও ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কারণ সেখানে কোনো প্রকার ইনভেস্ট করা লাগে না। শুধু আপনার ভিডিওগুলো ভাইরাল হলেই হবে।
এভাবে আপনি ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ব্যাপারগুলো খুবই সহজ, শুধু একটা লম্বা সময় লাগবে।
৩. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফ্রি টাকা ইনকাম করুন।

কোনো প্রকার পুঁজে ছাড়াই ফ্রি টাকা ইনকাম করাার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয়।
আমি আপনাদেরকে যে গাইডগুলো করছি তা কিন্তু সবই ধারাবাহিক।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফ্রিতে টাকা আয়ের বিস্তারিত পড়লে বুঝতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে কনটেন্ট রাইটার বা ব্লগার হতে হবে।
কারণ, এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্যের কোনো প্রোডাক্ট নিজের রেফারেন্সে বা নিজে বিক্রি করে দেয়াকে বুঝায়।
এখন, আপনি যদি অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চাত তবে আপনার কোনো ডিজিটাল মাধ্যম থাকতে হবে।
যেটাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।
সেক্ষেত্রে হয় আপনার ওয়েবসাইট থাকতে হবে নয়তো ফেসবুক পেজ থাককতে হবে অথবা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে।
এগুলো থাকা বাধ্যতামূলকের কারণ হচ্ছে আপনি যেহেতু অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন, তার জন্য আপনারও একটা দোকান থাকতে হবে।
আর যেহেতু এগুলো কোনো ফিজিক্যাল দোকান না তাই আপনাকে ডিজিটাল দোকানে যেতে হবে।
ডিজিটাল দোকান বলতে আপনি মানুষ বা অডিয়েন্সের কাছে পৌছাতে পারবেন এমন মাধ্যমগুলো, যেগুলো ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল ইত্যাদি।
আশা করি আপনি পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এ ফ্রিতে টাকা আয় হয় মূলত আপনি যখন অন্যের প্রোডাক্টটি বিক্রি করবেন তখন আপনি একটা কমিশন পাবেন।
অনেকে অনেকভাবে লিখেছে। তবে আমি যেগুলো সম্পর্কে বলেছি সেগুলোতো কোনো প্রকার পুঁজি লাগে না।
মানে আপনি ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৪. ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করুন।

অনেক সময় দেখা যায় আমরা যেগুলো নিয়ে আলোচনা করি সেগুলোর বাহিরেও কোনো অডিয়েন্সের ভিন্ন কোনো কাজ জানা থাকে।
তখন আমরা সেই কাজ সম্পর্কে বলতে না পারায় অডিয়েন্সরা সেই কাজ করা নিয়ে চিন্তিত থাকে।
যে! আমি অমুক কাজ জানি কিন্তু কোথাও সেই কাজের ব্যাপারে লেখা নাই।
এমনটা কিন্তু হয়েই থাকে। তাই তাদের জন্য বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে তারা সেই কাজ ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে করতে পারে।
আপনারও যদি এমন কোনো কাজ জানা থাকে যেগুলো কোথাও লেখা নাই তবে, আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
কাজগুলো সম্পর্কে আপনার ধারনা থাকলে আপনি আজই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুর করতে পারেন।
এবং ফ্রিল্যান্সিং থেকে আপনি ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মানে আপনার কোনো পুঁজি লাগবে না। শুধু কাজ করবেন বিনিময়ে টাকা পাবেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয়।
আশা করি আপনাদেরকে ফ্রি টাকা ইনকামের ব্যাপারগুলো ধারাবাহিকভাবে বুঝাতে পারছি।
এর বাহিরে কোনো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
৫. ফেসবুক মার্কেটিং করে টাকা আয় করুন।
স্যোশাল মিডিয়া হিসেবে ফেসবুককে জানলেও আপনি চাইলে ফেসবুক থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক মার্কেটিং করে বর্তমানে অনেক মানুষ টাকা আয় করছে।
ফেসবুক মার্কেটিং এ ফ্রিতে টাকা আয় করার অনেককগুলো উপায় আছে।
যেমন ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয়, ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করে টাকা আয় ইত্যাদি।
পেজ থেকে টাকা আয় করার জন্য পেজে ভিডিও আপলোড করতে হবে। তারপের মনিটাইজেশন করে টাকা আয় করতে পারবেন।
অথবা স্পন্সর থেকেও ফেসবুক মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।
মানে কেউ আপনাকে টাকা দিবে বিনিময়ে আপনি তাদেরকে প্রমোট করে দিবেন।
এরপরে আপনি যখন ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করবেন তখন আপনি অনেক স্পন্সর করতে পারবেন।
FAQ – ফ্রি টাকা ইনকাম
৫ টি উপায়ে আপনি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেগুলো হলোঃ ১ কনটেন্ট রাইটিং, ২ ভিডিও এডিটিং, ৩ এফিলিয়েট মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্সিং, ৫ মার্কেটিং
উপরের যেকোন একটি প্রশ্ন যদি আপনার মাথায় থাকে তাহলে আপনি পুরো ব্লগ টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
এই ব্লগে আপনি সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও কনটেন্টের মাঝে কিছু লিংক রয়েছে সে লিংকগুলোতে ক্লিক করে আপনি আরও অনলাইন ইনকাম সোর্স বের করতে পারবেন।
শেষ কথা:
এখানে ফ্রি টাকা ইনকাম করার উপায়গুলো ব্লগটিতে পুরোপুরি জানতে পারবেন। আর বুঝতে কোনো অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
এ বিষয়ক সকল আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ!
Nice