ফ্রিল্যান্সিং এর আগ্রহের কমতি নেই। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে কনফিউশনে থাকে। কোন কাজ করবে বা ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এসব নিয়ে চিন্তা থাকেই।

বর্তমান বাজারে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজে ইনকাম বেশি তা দেখে নিন।

তাই আজকে আমি আপনাদের গাইড করার চেষ্টা করবো যে, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজ করলে আপনি বেশি লাভবান হবেন।

আজকের পুরো রিসার্স হবে একটা মার্কেটপ্লেসের উপর।

মানে একটা মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি বা মানুষজন কোন কাজ বেশি করে।

তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য একটা ভালো ধারনা পাবেন।

আশা করি আজকের ব্লগটি আপনার খুবই উপকারে আসবে। চলুন শুরু কর যাক।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ বলতে কি বুঝায়?

আপনি জানতে চাচ্ছেন যে, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি, তাহলে আপনি একটা ধারনা নিয়ে যে কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজ শিখবেন বা সেই কাজের ফ্রিল্যান্সিং করবেন।

কিন্তু এর আগে আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ বলতে কি বুঝায়।

তাহলে আমি যখন বলবো ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তখন আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন।

সহজ ভাষায় ফ্রিল্যান্সিং কাজ বলতে বুঝায় কোনো কাজের উপর অভিজ্ঞতা নিয়ে সেই কাজটা অফিসে কিংবা কোথাও না গিয়ে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে করাকে বুঝায়।

মানে আপনার কোনো কাজ জানা আছে।

এখন আপনি কোনো প্রকার অফিসে কিংবা নির্দিষ্ট কোনো যায়গায় না গিয়ে আপনি ঘরে বসে আপনার কম্পিউটার দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেই কাজটি করলেন।

এবং সেই কাজটিই আপনি আবার অনলাইনের মাধ্যমে জমা দিলেন। এইসকল প্রক্রিয়াকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ বলে।

যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের উপর ভিত্তি করে সেই কাজের চাহিদা থাক।

যেমন ডাটা এন্ট্রি কাজের যেমন চাহিদা তেমন ডাটা এন্ট্রি কাজের অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সার নির্দিষ্ট একটি দেশ বা একটি নির্দিষ্ট এরিয়ায় থাকে না।

আপনি যেমন ফ্রিল্যান্সার হতে চান তেমনি সারা বিশ্বে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার আছে। তাই সেভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রস্তুতি নিন।

আশা করি ফ্রিল্যান্সিং কাজের একটা ধারনা পেয়ে গেছেন।

এবার আমরা জানবো ২০২৩ সালে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজ আপনি শিখবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

আপনাদেরকে সম্পূর্ন সঠিক তথ্য দেয়ার জন্য আজ আমি একটা মার্কেটপ্লেস রিসার্স করেছি। সেই মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নেয়া যাক।

আজকে আমাদের রিসার্চ মার্কেটপ্লেসটিট হচ্ছে ফাইবার। আমরা সাবই জানি যে ফাইবার হচ্ছে নতুনদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস।

তাই আমরা ফাইবারে পুরো রিসার্স করে দেখবো যে কোন কাজগুলো বেশি হয় এবং কোন কাজগুলোতে বায়াররা বেশি টাকা।

সহজ কথা বেশি চাহিদার টপ লেভেলের কাজগুলো থাকবে আজকের টপিকে।

প্রথমে আমি বলে নিই যে,  ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্যাটাগরি কোনগুলো।

ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, রাইটিং এন্ড ট্রান্সলেশন, ভিডিও এবং এনিমেশন, প্রোগ্রামিং এবং টেক।

ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে বেশি চাহিদা যেগুলো থাকে সেগুলো হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং প্রোগ্রামিং। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে রয়েছে লোগো ডিজাইন।

আবার প্রোগ্রামিং এর মধ্যে রয়েছে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপার ইত্যাদি।

আরও রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এবং সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ইত্যাদি।

আমি প্রতিটা ক্যাটাগরির সবচেয়ে জনপ্রিয়গুলো বলে যাচ্ছি। আপনি প্রতিটা ক্যাটাগরিই দেখতে পারেন।

ভিডিও এবং এনিমেশনে রয়েছে ভিডিও এডিটিং, সর্ট বিজ্ঞাপন তৈরি, ভিজুয়াল ইফেক্ট এবং 3ডি এনিমেশন।

আমাদের দেশ থেকে সাধারণত এই কাজগুলোর প্রতি আগ্রহ বেশি দেখা যায়। তাই আমি এগুলো উল্লেখ করেছি।

সবচেয়ে ভালো হয় আপনি নিজেই মার্কেট রিসার্স করলে।

আমরা আরেকটা মার্কেটপ্লেস রিসার্স করে দেখেছি যেখানে ১৫ টি সেরা ফ্রিল্যান্সিং কাজের সবচেয়ে বেশি আয় হয়ে থাকে। চলুন সেগগুলো জেনে নেয়া যাক।

সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ। বেশি ইনকামের সেরা ৫টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ

ফ্রিল্যান্সিং কাজের অভাব নেই। একটা মার্কেটপ্লেসে গেলেই বোঝা যায় যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ কি কি? এবং ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি।

তাই আমি অনুমান নির্ভর তথ্য না দিয়ে সরাসরি একটি মার্কেটপ্লেসের রিসার্চ করে দেখাবো।

যাতে করে আপনারা real-time তথ্য জানতে পারেন।

জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডম কম। এর একটি প্রতিবেদনে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা প্রকাশ করেছে।

তাহলে আমরাও জেনে নিই ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি বর্তমান বাজারে।

তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনভাবে উল্লেখ করেছে যে,  সবচেয়ে বেশি উপার্জিত ১৫টি ক্যাটাগরিসমূহ।

সেগুলো হলো: কপিরাইটার, ওয়েব ডিজাইনার, ডিজিটার মার্কেটিং পরামর্শক, স্যোশাল মিডিয়া ম্যানেজার, এডিটর, ওয়েব ডেভেলপার, মিডিয়া বায়ার, ফটোগ্রাফার, ডাটা এনালাইজার বা বিশ্লেষক, বিজনেস পরামর্শক, প্রোগ্রামার, ভিডিও গ্রাফার, একাউন্টার, ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট, পাবলিক রিলেশন ম্যানেজার ইত্যাদি।

১. কপিরাইটার

সবচেয়ে লাভবান ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে একটি হলো কপিরাইটিং। কপিরািইটার হিসেবে আপনি যা করতে পারেন তা হলো ই-মেইল, ই-বুক, ব্লগ ইত্যাদি করতে পারেন।

ইউএস ব্যুরো অফ লেবার স্ট্যাটিস্টিকস (বিএলএস) অনুসারে, কপিরাইটারে কাজের পরিমান ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৯% বুদ্ধি পাবে।

যার বেশিরভাগ কপিরাইটার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের (১৫,৪০০) কপিরাইটারের কর্মক্ষেত্র রয়েছে।

একজন কপিরাইটার প্রতি ঘন্টায় গড়ে $১৯ থেকে $৪৫ ডলার আয় করে থাকে।

একবার ভেবে দেখুন, কোনো লোক যদি প্রতি ঘন্টায় নিচে ১৯ ডলার আয় করে তবে, বাংলাদেশি টাকায় সে প্রতি ঘন্টায় ১৬৫০ টাকা আয় করে। (সর্বনিম্ন মানে)

২. ওয়েব ডিজাইনার

এখানে ওয়েব ডিজাইনের সাথে অনেকেই পরিচিত। ওয়েব ডিজািইন বলতে একটা স্টাটিক ওয়েবসাইট তৈরি করকে বুঝায়

আমি এই পোস্টে শুধু ধারণা দিয়েছি। কারন হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহে আমি আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ওয়েব ডিজাইন করে প্রতি ঘন্টায় $১৫ থেকে $৩০ ডলার আয় করা সম্ভব।

এমনকি ২০৩০ সালের মধ্যে এর কাজের চাহিহদা ১৩% বৃদ্ধি পাবে।

আমি যে রিপোর্টগুলো দিচ্ছি সেগুলো সবই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে সংগ্রহ করেছি।

৩. ডিজিটাল মার্কেটার

একজন ডিজিটাল মার্কেটারের কাজ হচ্ছে কোনো প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বাড়ানো। তার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়াকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।

একজন ফ্রিল্যান্সার যদি জানতে চায় ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি, তবে আমি বলতে পারি কম কষ্টে মোটামুটি লেভেলের ইনকামের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সেরা হবে।

আপওয়ার্কের তথ্যমতে একজন ডিজিটাল মার্কেটার প্রতি ঘন্টায় ১৫ থেকে ৪৫ ডলার পর্যন্ত আয় করে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজগুলো সাধারণত এসইও, ই-মেইল মার্কেটিং, স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং এইসকল কাজ।

৪. স্যোশাল মিডিয়া ম্যানেজার

প্রতিদিন আমরা স্যোশাল মিডিয়াতে প্রায় অনেক ব্যয় করি। স্যোশাল মিডিয়াগুলোতে সময় বেশি ব্যয় করারও কারণ আছে।

সাধারণত স্যোশাল মিডিয়াগুলো একাউন্ট খোলা ফ্রি, আরও অনেক কারণ আছে।

যাইহোক! এই স্যোশাল মিডিয়াতে এক্সসপার্ট হতে পারলে আপনি প্রতি ঘন্টায় ১৪ ডলার থেকে শুরু করে ৩৫ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

স্যোশাল মিডিয়ার কাজগুলো সাধারণত অডিয়েন্স এনালাইজ হয়ে থাকে। অডিয়েন্সরা কি পছন্দ করে না করে। আরও আছে বিজ্ঞাপন টার্গেট ইত্যাদি।

৫. ওয়েব ডেভেলপার

প্রোগ্রামিং এর মধ্যে বেশি ইনকাম করার একটি সোর্স হলো ওয়েব ডেভেলপার।

আপনাদেরকে সহজভাবেই বলি আমি আপনি যেই ফেসবুক ব্যবহার করি সেই ফেসবুক ওয়েব ডেভেলপারার তৈরি করেছেন।

ওয়েব ডেভেলপিং করে আপনি প্রতি ঘন্টায় ১৫ ডলার থেকে শুরু করে ৩০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

আমি আজকে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই টপিকের উপর ৫ টি কাজের ধারনা দিয়েছি।

আরও অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে যেগুলোতে আপনি অনেক  টাকা আয় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি – রিসার্চ রিপোর্ট

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি - আপওয়ার্কে যে কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানার জন্য আপওয়ার্কের একটি রিসার্চ দেখা যাক।

আপওয়ার্কের তথ্যমতে ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের সেরা ফ্রিল্যান্সিং কাজ এবং দক্ষতা রয়েছে ৩০টিরও বেশি।

1. Machine learning

একজন মেশিন লার্নার প্রতি ঘন্টায় ৮০ ডলার থেকে শুরু করে ১২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে।

Machine learning দক্ষতা অর্জন করতে হলে আপনাকে সাধারণত ডেটা সায়েন্সের গভীর জ্ঞান, পাইথন/C++, R, এবং Java এর মতো প্রোগ্রামিং ভাষা জানতে হবে।

এই লিংকে ক্লিক করে মেশিন লার্নিং সম্পর্কে আর বিস্তারিত জেনে নিন। নোটঃ তথ্যগুলো ইংরেজিতে রয়েছে।

2. Automation

একজন অটোমেশনারের প্রতি ঘন্টায় ৪০ ডলার থেকে শুরু করে ১১০ ডলার পর্যন্ত উনকাম হয়ে থাকে।

অটোমেশন এর দক্ষতা অর্জন করতে হলে পাইথন এর মতো প্রোগ্রামিং এ দক্ষ হতে হবে। আরও অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়।

অটোমেশন সম্পর্কে আরও জানতে উইকিপিডিয়ার একটি আর্টিকেল পড়ে নিন। এখানে ক্লিক করুন

3. Data analytics skills

এই দক্ষতা এখনকার মার্কেটে খুবই জনপ্রিয়। একটা কোম্পানির অনলাইন ভিত্তিক সকল তথ্য এনালাইজ করতে হয়।

এ কাজের জন্য একজন প্রফেশনাল Data analytics প্রতি ঘন্টায় ৪০ ডলার থেকে ১০০ ডলার আয় করে থাকে।

4. Mobile application skills

ডিজিটাল এই সময়ে হরেক রকম মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন দেখা যায়। প্রতিটা কোম্পানির নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে।

এই Mobile application skills অর্জজন করতে পারলে আপনিও প্রতি ঘন্টায় ৪০ থেকে ১০০ ডলার আয় করতে পারবেন। (মোট উপার্জনের ঘন্টা হিসাব)

5. VR (virtual reality) skills

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ডেভেলপার, যারা কোনো একটা গেম তৈরি করে তাকে বাস্তবতার অনুরুপ ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দিয়ে থাকে।

VR (virtual reality) skills এর মাধ্যমে প্রতি ঘন্টায় ৪০ থেকে ১০০ ডলার আয় করা যায়। আপওয়ার্কেও রিপোর্ট

6. Video production

ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো Video production. ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা আপওয়ার্ক থেকে প্রতি ঘন্টায় ৪০ থেকে ৮৫ ডলার আয় করে থাকে।

বছরের সেরা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে বেশি হায়ার হয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটারদের। তাদের অনলাইনে কিংবা অফলাইনে প্রচুর কদর রয়েছে।

চাইলে তারা উদ্যোক্তাও হতে পারে। আপওয়ার্কে ডিজিটাল মার্কেটাররা অনেক টাকা আয় করতে পারে। তাই এখন কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করবো।

7. SEO (search engine optimization)

এসইও, নামটা প্রায় সবাই শুনে থাকে। বিশেষ করে একজন ব্লগার কিংবা ওয়েবসাইট ওনার’রা। বর্তমান সময়ের ট্রেন্ডিং একটি মার্কেটিং হলো এসইও মার্কেটিং।

আপওয়ার্ক থেকে একজন এসইও এক্সপার্ট প্রায় ২০ ডলার থেকে ৭৫ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে।

8. Social media marketing

মানুষ এখন তাদের সময়গুলো স্যোশালে ব্যয় করছে। এবং সেই সাথে অনেকগুলো স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটার গড়ে উঠেছে।

স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং খুবই সহজ। শুধু সময়সাপেক্ষ। কাজটি সহজ হওয়াতে প্রায় মানুষই এখন স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং এার সাথে যুক্ত হচ্ছে।

ফ্রিল্যান্সিং করে একজন স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটার প্রতি ঘন্টায় ৪০ ডলার থেকে ১০০ ডলার আয় করে থাকে।

9. Motion graphics

কিছু ভিডিও গ্রাফিক্স দিয়ে এনিমেশনের মাধ্যমে যে গ্রাফিক্স তৈরি হয় তাকে মোশন গ্রাফিক্স বলে। মোশন গ্রাফিক্স সম্পর্কে আরও জানুন।

আপনি যদি Motion graphics আয়ত্ব করতে পারেন তাহলে আপওয়ার্ক থেকে আপনি প্রতি ঘন্টায় ৩৫ থেকে ৮০ ডলার (মোট টাকার ঘন্টা হিসাব) আয় করতে পারবেন।

10. Packaging design

কোনো কোম্পানির নতুন কোনো প্রোডাক্ট আসলে তা বিপনণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Packaging design কিন্তু বিপনণের একটি অংশ।

যেহেতু Packaging design খুবই গুরুত্বপূর্ন তাই এর কদরও রয়েছে বটে। একজন প্যাকেজ ডিজাইনার যত বেশি ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে পারবে তার ইনকামও বেশি হবে।

আপওয়ার্কের তথ্যমতে (বর্তমানে অনেকগুলো ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট রয়েছে।

জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট হলো আপওয়ার্ক) একজন প্যাকেজ ডিজাইনার Packaging design করে প্রতি ঘন্টায় ৩৫ থেকে ৭৫ ডলার আয় করে।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে প্রশ্নঃ

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ কোনটি?

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি চাহিদা হচ্ছে মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট এর। তবে মার্কেটিং এর মধ্যে অনেকগুলো রয়েছে। সব মিলিয়ে মার্কেটিং এর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে। এরপরেই বর্তমান সময়ে নতুন করে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।

বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি

অনেকে নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানার পাশাপাশি বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি তাও জানতে চায়।

আসলে, আপনি যে কাজ করবেন সেই কাজ অনুযায়ী এবং প্রতিযোগীতা অনুযায়ী বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩

এখানে আমি যে ক্যাটাগরির কথা বলেছি তার প্রায় সবগুলোই বর্তমানে জনপ্রিয়। এবং এই কাজগুলোর চাহিদাও অনেক বেশি।

শেষ কথা:

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা আমি খুবই সহজ ভাষায় আজকের টপিক বুঝানোর চেষ্টা করেছি।

আজকের ব্লগটি পড়ার পর ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এরকম কোনো প্রশ্ন আশা করি আপনার মাঝে থাকবে না। ধন্যবাদ!