ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার পর সেই টাকা কিভাবে তুলবেন? মানে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয় তার বিস্তারিত থাকছে আজকের ব্লগে।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় পেশা। বাংলাদেশে হাজারো ফ্রিল্যান্সার কাজ করে যাচ্ছে। এবং পেমেন্ট নিচ্ছে।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এ নতুন হয়ে থাকেন তবে আপনার মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়?
আমি আপনাকে বলবো আপনি, ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলবেন। এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।
আজকে আমি আপনাদের আমার নিজ অভিজ্ঞতা থেকে জানাবো ফিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয় এবং কয় পদ্ধতিতে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তুলবেন। চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়
ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার টাকা ইনকামের পর আপনি সরাসরি ব্যাংকে টাকা আনতে পারবেন। তবে, ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সাইট আছে। এবং একেক সাইটের নিয়ম একেক রকম।
আজকে আপনাদের দেখাবো কিভাবে ফাইবার থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়, কিংবা আপওয়ার্ক থেকে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তুলতে হয়, আরও সাইট থেকে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তুলতে হয়।
প্রতিটা মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা উঠানোর জন্য নির্দিষ্ট একটা নিয়ম থাকে। যেমন কোনো সাইট থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তুলতে হলে নিচে ১০ ডলার প্রয়োজন। কোনো সাইট এর চেয়ে কম বেশি হতে পারে।
প্রতিটা ফ্রিল্যান্সার টাকা তুলতে হলে একটা ইন্টারন্যাশানাল ব্যাংক একাউন্ট লাগে। যেমন পেওনিয়ার একাউন্ট অথবা পেপাল একাউন্ট।
ইন্টারন্যাশানাল ব্যাংক একাউন্ট খোলার কারণ হচ্ছে, প্রতিটা ফ্রিল্যান্সিং সাইট কিন্তু ডলারে পে করে। মানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে যে আয় করবেন তা আপনাকে ডলারে দিবে।
ডলারের পাশাপাশি অন্যান্য কারেন্সিতেও দিতে পারে। আপনি পেপাল অথবা পেওনিয়ার একাউন্ট খুললে যে কোনো মার্কেটপ্লেস থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তুলতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ব্যাংক একাউন্ট
আপনার ফ্রিল্যান্সিং আয় ইনকাম হলে সেখান থেকে আপনাকে ইন্টারন্যাশানাল ব্যাংক একাউন্টে টাকা দিয়ে দিবে।
এরপর সেই টাকা বাংলাদেশে আনার জন্য বা বাংলা টাকায় রুপান্তর করার জন্য প্রয়োজন একটি বাংলাদেশি ব্যাংক একাউন্ট।
আপনার যদি কোনো ব্যাংক একাউন্ট নাও থাকে তবুও আপনি পেপাল অথবা পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে বিকাশে টাকা আনতে পারবেন।
আজকে আমি সহজ ভাষায় বলবো কিভাবে আপনার অর্জিত ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা হাতে পাবেন।
এমনকি বিকাশের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলবেন।
যাইহোক! বিকাশে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা যেভাবে তুলতে হয় সেটা জেনে নেয়ার আগে আমরা জানবো ব্যাংক এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তোলা হয়।
আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পেওনিয়ারে আনবেন তখন আপনি ব্যাংক একাউন্টে টাকা আনতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পেওনিয়ার অথবা পেপাল একাউন্টে আনা একবারেই সহজ। আপনি যে মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয় করেছেন। ধরুন, আপনি ফাইবার থেকে টাকা আয় করেছেন।
এখন, আপনি ফাইবারের ড্যাসবোর্ডে গিয়ে আর্নিং ট্যাবে যাবেন। তখন আপনার কত টাকা ব্যালেন্স আছে কিংবা কত টাকা আয় করেছেন তার সবই দেখতে পারবেন।
সেখানে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তোলার জন্য তিনটা অপশন আছে। প্রথমত , পেপাল এর পরে ব্যাংক ট্রান্সপার। এবং সর্বশেষ পেপাল রেভিনিউ কার্ড।
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে তোলার নিয়ম।
আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তোলার জন্য ফাইবার ড্যাসবোর্ড থেকে আর্নিং ট্যাবে যাওয়ার পর ব্যাংক ট্রান্সপার অপশন পাবেন।
সেখানে ক্লিক করে আপনি সরাসরি আপনার লোকাল ব্যাকে ট্রান্সফার করে নিবেন। এত তারা আপনার কাছে কিছু তথ্য চাইতে পারে।
যেমন: আপনি যে ব্যাংকে একাউন্ট খুলেছেন সেই ব্যাংকের নাম। এবং আপনার ব্যাংক একাউন্টের নাম। আরও চাইতে পারে ব্যাংক একাউন্টের নম্বর। যেহেতু এটা ইন্টারন্যাশানাল সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাংকের সুইফট কোডও চাইতে পারে।
সুইফট কোড আপনি গুগলে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। ধরুন, আপনি ইসলামি ব্যাংকে একাউন্ট খুলেছেন তখন, আপনি গুগলে গিয়ে “ইসলামি ব্যাংক সুইফট কোড” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।
এরপরে আপনার ব্যাংকে টাকা আসতে কিছু দিন সময় লাগদে পারে। মানে দুই থেকে তিন দিন লাগতে পারে।
আর, আপনার কাছে যদি ব্যাপারগুলো জামেলার লাগে তবে, আপনি সেখানে পেপালে ট্রান্সফার করে নিবেন।
তাহলে আপনি বিকাশে ট্রান্সফার করতে পারবেন। বিকাশে আপনি ঘরে বসেই টাকা আনতে পারবেন। নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা বিকাশে আনার নিয়ম।
বিকাশ এখন বেশ সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে। আপনার মনে প্রশ্ন আছে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়?
আপনি এটা জানেন কি বিকাশেও ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা আনা যায়? হ্যাঁ! অবশ্যই আনা যায়।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পেপাল থেকে বিকাশে আনতে চান তবে আপনি গুগলে XOOM লিখে সার্চ করবেন।
আগে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পেপালে আনবেন। এরপরে XOOM এ গিয়ে যত টাকা আনতে চান তার পরিমান দিবেন।
এরপর XOOM থেকে পেপালে লগইন করতে হবে। লগইন করার পর উইথড্রতে মোবাইল ওয়ালেট সিলেক্ট করবেন।
এরপর বিকাশ সিলেক্ট করলেই হয়ে যাবে। আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা বিকাশে ট্রান্সপার হয়ে যাবে।
আর, আপনি যদি পেওনিয়ার দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা বিকাশে আনতে চান তবে, আপনাকে বিকাশে যেতে হবে।
এরপর “আরও” নামে বিকাশের অপশনটিতে যাবেন। এবং শেষের দিকে রেমিট্যান্স এ ক্লিক করবেন।
সেখানে পেওনিয়ার অপশনটি আছে। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো আপনি বিকাশ থেকে পেওনিয়ার একাউন্টে লগইন করবেন।
এরপর আপনি আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে যখন খুশি তখন টাকা আনতে পারবেন। এরপর বিকাশ থেকে ক্যাশআউট করে নিবেন।
ব্যাস! ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা আপনার হাতে চলে এসেছে। আশা করি ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয় এ ব্যাপারে আর কোনো প্রশ্ন নেই।
>ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তোলা নিয়ে প্রশ্নঃ
ফ্রিল্যান্স মার্কেটে কাজ করার পর আপনি যখন টাকা পাবেন যখন তখন সে টাকা আপনার ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস একাউন্টে জমা হবে। এরপর সেই টাকা কোন ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গ্রেট এর মাধ্যমে উইথড্র দিতে হবে। তারপর ওই পেমেন্ট থেকে বাংলাদেশি ব্যাংকিং চ্যানেলগুলোতে ট্রান্সফার করে উইথড্র করে নিতে হবে। পুরো প্রসেসটা যদি আপনার কাছে ঝামেলার মনে হয় তাহলে এই পোস্টটি পড়ে নিন। পোস্টটি পড়ার পর আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে কিভাবে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা তুলতে হয়।
শেষ কথা:
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয় এবং কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা হাতে পাবেন এর সবই আমি দেখিয়েছি।
আপনার যদি এ ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন থাকে তবে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। আর পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ!