আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম সম্পর্কে। বা ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম গুলো, চলুন জেনে নেয়া যাক।
বর্তমান সময়ের সেরা স্যোশাল নেটওয়ার্ক হলো ফেসবুক। এমনকি স্যোশাল নেটওয়ার্কের আইডিও বলা হয় ফেসবুককে।
ফেসবুকে কম বেশি আমাদের অনেকেরই একাউন্ট আছে। বিশেষ করে বন্ধু বান্ধব আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশি আরও অনেকে।
সবাই যখন প্রেন্ড লিস্টে থাকে তখন যদি আইডিটা ভেরিফাই হয় দেখতে কতই না ভালো লাগবে।
তাই আমরা অনেকেই ফেসবুক ভেরিফাই করতে চাই। ফেসবুক ভেরিফাই করার মানে হলো আপনার একাউন্টের নিরাপত্তা এবং একটি ব্ল ু ব্যাজ পাওয়া।
আর ব্ল ু ব্যাজ পাওয়া একটা স্বপ্নের ব্যাপার। অনেকের অনেক দিনের স্বপ্ন থাকে যে তার আইডি ভেরিফাই হবে।
একটা ব্ল ু ব্যাজ পাবে। আরও কত কি! তাই আজকে আপনাদের দেখাবো ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম।
ফেসবুক একাউন্ট ভেরিফাই মানে কি?
ফেসবুক আইডি ভেরিফিকেশন মানে আপনার সত্যিকারের আইডি চিহ্নিত করা। এটার কারণ হলো বর্তমান সময়ে ফেসবুক সবার হাতে হাতে থাকাতে এবং সহজে একাউন্ট খুলতে পারে।
এর ফলে যে কেউ ফেক প্রোফাইল তৈরি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
সেজস্য ফেসবুক থেকে ফেসবুক ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে আপনার আসল আইডি চিহ্নিত করা।
যাতে পরবর্তিতে কেউ আপনার নামে ফেক প্রোফাইল তৈরি করলে ও আপনাকে মানুষজন চিনতে পারবে।
আইডি ভেরিফাই এর মাধ্যমে আপনার আইডিতে ব্ল ু ব্যাজ পাবেন। এমনকি আইডি ভেরিফাই করলে হ্যাক হবার সম্ভাবনা কনেক কম।
ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করতে কি কি লাগে?
ব্যাক্তিগত আইডি ভারিফািই করার জন্য অনেকে জানেনা কিভাবে ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করতে হয়। যার ফলে অনেকে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় এবং হতাশ হয়ে পড়ে।
আজকে ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম জানাবো। আশা করি পুরো ব্লগটি পড়লে আপনার আইডি সহজেই ভেরিফাই করতে পারবেন।
ফেসবুক আইডি ভেরিফােইয়ের ক্ষেত্রে অনেক গুলো নিয়মকানুন আছে। যেমন আইডি ভেরিফাই করতে হলে আপনার প্রয়োজন:
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- পাসপোর্ট
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
যাদের এই তিনটার একটাও নাই তারা ভেরিফাই করতে পারবেন না। আপনার এই তিনটার যেকোনো একটা ডকুমেন্টস অবশ্যই লাগবে।
তারপর আপনারা যেখান থেকে ফেসবুকটি চালাচ্ছেন যেমন মোবাইল ল্যাপটব অথবা কম্পিউটার আর যদি ইনস্টল না থাকে তবে ফেসবুক ইনস্টল করুন।
আবার অনেকের মোবাইলে ফেসবুক ইনস্টলে সমস্যা হয় তাদের জন্য ফেসবুক ডাউনলোড করুন কোনো ঝামেলা ছাড়াই ।
ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম
আপনাদেরকে আরেকটা কথা বলি যে, ফেসবুক ভেরিফাই করার ক্ষেত্রে আপনার আইডি কার্ডে যে নাম আছে সেই হুবহু নাম থাকতে হবে।
ফেসবুক আইডিতেও একই না হলে আপনার আইডি ভেরিফার করার সময় আইডি ব্যান হবার সম্ভাবনা থাকে যেটা খুবই দুঃখজনক।
এবার আপনার সব ঠিক থাকার পর ফেসবুকটি ওপেন করবেন। লগআউটে থাকলে যে আইডি ভেরিফাই করতে চান সেটি লগইন করবেন।
আর যদি পাসওয়ার্ড ভূলে যান তবে পাসওয়ার্ড রিকভার করে নিবেন। লগইন করার পর মেনু বারে যাবেন।
মেনু তে যাবার পর নিচের দিকে স্ক্রল করবেন তারপর দেখতে পাবেন Settings and Privacy। এবং ক্লিক করবেন তারপর আরও অপশন দেখতে পাবেন।
যেমন Settings , Device requests, Recent Ad Activity, Find Wifi এগুলোর মধ্যে আপনি Settings এ ক্লিক করবেন।
সাধারণত আমরা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতেও সেটিংস এ যাই।
Settings এ ক্লিক করার পর এরকম একটা পেজ দেখতে পাবেন। এখানে সবার উপরে দেখতে পাচ্ছেন Personal and Account Information ।
আপনাদের সুবিধার জন্য বােল্ড করে দিয়েছি। Personal and Account Information এ ক্লিক করবেন। এখানে আপনার যাবতীয় পার্সনাল তথ্য থাকে।
যেমন: আপনার নাম, আপনার কন্টাক্ট ইনফরমেশন ইত্যাদি।
পরের পেজে Identity confirmation নামে একটা লেখা দেখতে পাবেন সেটাতে ক্লিক করুন। এই Identity confirmation মানে হলো আপনার তথ্য নিশ্চিত করা।
মানে যে এটা আপনার আইডি তথ্য প্রদানের অপশন। তাই আপনার তথ্য নিশ্চিতের জন্য Identity confirmation বাটনে ক্লিক করুন।
তারপরের পেজে দেখতে পাবেন Confirm Your Identity। এখানেই মূলত ভেরিফাই করার আইডেন্টিগুলো জমা দেয়া হয়।
সেখানে ক্লিক করার পর দুাটিা অপশন আসবে 1. Running ads about social issues, elections or politics 2. Protect your account ।
আপনি দুই নম্বরটা চয়েজ করুন। অনেক ক্ষেত্রে এই অপশন গুলো নাও থাকতে পারে। বেশিরভাগ সময়ই থাকে না। কিছু ইস্যূ থাকে যার কারনে এই অপশন দেয়।
আইডি কনফর্ম করার আগে আপনার একাউন্টের টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করতে হবে। টু স্টেপ ভেরিফিকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ন।
টু স্টেপ ভেরিফিকেশন – সিকিউরিটি।
এই ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করলে আপনার একাউন্ট হ্যাক হবার কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না।
আর যদি এটা চালু না করেন তবে আপনি আইডিও ভেরিফাই করতে পারবেন না!
টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করার জন্য উপরে দেখা ছবির মতো তিনটা অপশন আসবে। আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে Text Message (SMS) এ।
Text Message (SMS) সিলেক্ট করার কারণ হচ্ছে এই পদ্ধতিতে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করা খুব সহজ।
Text Message (SMS) সিলেক্ট করার পর আরেকটা পেজ আসবে।
এই পেজে ফোন নাম্বার সিলেক্ট করতে বলা হচ্ছে। আপনার আইডি খুলতে যদি কোনো নাম্বার দিয়ে থাকেন তবে সেটা অটোমেটিক এখানে দেখাবে।
আপনি যদি তারপরেও সেই নাম্বার দিয়ে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন খুলতে না চান তবে নিচে আরেকটা অপশন আছে Add Phone Number ।
সেখানে ক্লিক করে অন্য নাম্বার এড করতে পারবেন। সিলেক্ট করার পর Continue বাটনে ক্লিক করুন।
তারপর যেই নাম্বারটা দিয়েছেন সেখানে ৬ ডিজিটের একটা ওটিপি যাবে। সেটি পাবার পর খালি ঘরে বসিয়ে Continue তে ট্যাপ করুন।
ক্লিক করার পর আপনার পাসওয়ার্ড চাইবে। পাসওয়ার্ড দিয়ে Continue বাটনে ক্লিক করুন। তাহলেই আপনার টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু হয়ে যাবে।
মোটামুটি আপনার কাজ প্রায় শেষ। এখন দেখতে পাচ্ছেন Upload your id । নিচে আরও একটা অপশন আছে সেটা সিলেক্ট করার দরকার নাই।
Upload your id সিলেক্ট করে Next এ ক্লিক করুন। তারপর আপনার ডকুমেন্টস জমা দেয়ার জন্য Choose file এ ক্লিক করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিবেন।
তারপর ফেসবুক আপনার তথ্য দেখবে। দেখার পর সব ঠিক থাকলে আইডি ভেরিফাই হয়ে যাবে। এবং ভেরিফাই এর সকল আপডেট মেইলের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।
যদি মোবাইল নাম্বার এড করা থাকে তবে, মোবাইর নাম্বার এ সকল আপডেট পাবেন। তবে, তাদের দেয়া সকল শর্ত পূরন করা থাকতে হবে।
ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন
যখন আপনি ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন এর জন্য আবেদন করবেন তখন আপনার আবেদনটি রিভিউ হবে।
আপনার আইডিতে সকল শর্ত পূরণীয় থাকলে আপনার ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ভেরিফিকেশন পেয়ে যাবে।
শেষ কথা:
কিভাবে ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করতে হয়? আমাদের মধ্যে অনেকে এই ফেসবুক আইডি থেকে এবং আরও অনেক উপায়ে আয় করে থাকে।
ফেসবুক থেকে কিভাবে আয় করে জানতে নিচের লিংকে ভিজিট করুন। আর ব্লগটি পড়ার পর বুঝতে কোনো রকম অসুবিধা হলে কিংবা কোনো অংশটা করতে না পারলে কমেন্ট করে জানান।
যেকোনো কমেন্টে আমি খুব দ্রুত আপনার কমেন্টের উত্তর দিবো। আজকে এই পর্যন্ত। আজকের টপিক “ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম”
ব্লগটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সাথে। আরও তথ্যপূর্ন ব্লগ পড়তে আমাদের হোম পেজ ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!