বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট রিসিভ এর ক্ষেত্রে পেওনিয়ার একাউন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে পুরোপুরি বিস্তারিত জেনে নিন।

কিছুদিন আগে বিকাশ অফিশিয়াল থেকে ঘোষনা এসেছে যে, পেওনিয়ারের ডলার খুব সহজেই বিকাশে আনতে পারবেন। তাও আবার ২% ইন্টারেস্ট সহ।
আজকের ব্লগে জানতে পারবেন যে, পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম সমূহ। এবং বাংলাদেশ থেকেই পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো।
পেওনিয়ার একাউন্ট কি?
আপনি তো নিশ্চয়ই পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম জানার জন্য গুগলে সার্চ করেছেন। পেওনিয়ার একাউন্ট তো খুলবেন, তার আগে জেনে নিন পেওনিয়ার একাউন্ট কি?
পেওনিয়ার একাউন্ট একটা ব্যাংক একাউন্টের মত। আমাদের দেশে যেমন অনেক ব্যাংক রয়েছে সেই ব্যাংক গুলোতে আবার ব্যক্তিগণ একাউন্ট খুলে থাকে।
ঠিক সেরকমই একাউন্ট হচ্ছে পেওনিয়ার একাউন্ট। তবে আমাদের দেশে ব্যাংক একাউন্ট গুলোতে শুধুমাত্র বাংলাদেশী টাকা লেনদেন হয়ে থাকে।
এখানে পেওনিয়ার একাউন্টে আন্তর্জাতিক কারেন্সি (ডলার) লেনদেন হয়ে থাকে। একটা সাধারন সেবার মতোই পেওনিয়ার সেবা দেয়। তবে এখানে মূলত ডলার লেনদেন হয়ে থাকে।
পেওনিয়ার এর সুবিধা সমূহ
আমাদের দেশে পেপাল অবৈধ। তাই বিকল্প হিসেবে পেওনিয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ন। আবার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বেশ কিছু সুবিধাও রয়েছে।
- তেমন কোনো ঝামেলা ছাড়াই একাউন্ট খোলা যায়।
- আপনার ডলার রিসিভের জন্য এটা পেওনিয়ার খুবই ট্রাস্টেড একটা কোম্পানি।
- সহজেই লোকাল ব্যাংকে ডলার ট্রান্সপার করা যায়।
- প্রায় জনপ্রিয় সকল মার্কেটপ্লেস এর আয় আপনার হাতে আনতে পারবেন।
- পেওনিয়ার এর ডলার এটিএম এর মাধ্যমে তুলতে পারবেন।
- এমনকি পেওনিয়ার এর ব্যালেন্স দিয়ে কেনাকাটাও করতে পারবেন।
- কোনো ট্রান্সেকশন ফি নেই।
- USD, EUR, GBP এবং আরও অনেক কারেন্সি রিসিভ করতে পারবেন।
- তাছাড়া ২০০ টির অধিক দেশে পেওনিয়ার সচরাচর রয়েছে।
- সেই পরিমানে ৮+ মিলিয়ন পেওনিয়ার ইউজার রয়েছে।
- আর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পেওনিয়ার বাংলাদেশে বৈধ।
আন্তর্জাতিক পেমেন্ট হিসেবে খুব ভালোই অফার করছে পেওনিয়ার কোম্পানি। তবে, ট্রান্সেকশন ফি এর কিছু শর্ত আছে।
পেওনিয়ার লেনদের ফি’র পরিমান
কিছু কিছু ক্ষেত্রে পেওনিয়ার লেনদেন সম্পূর্ন ফ্রি। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এর ফি হার কম বেশি হয়ে থাকে।
যেমন,
- একটা পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে অন্য পেওনিয়ার এ লেনদেন সম্পূর্ন ফ্রি।
- যখন আপনার ক্লায়েন্টকে পেমেন্ট এর অনুরোধ পাঠাবেন তখন, আপনার ক্লায়েন্ট যদি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকে তবে, পেমেন্ট এর ৩% ফি কেটে নিবে।
- আর যদি ব্যাংক (ACH ব্যাংক ডেবিট) এর মাধ্যমে পেমেন্ট করে তবে, ১% ফি কেটে নিবে। (এটা শুধু যুক্তরাস্ট্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
- এবং কোনো মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট নিলে তখন মার্কেটপ্লেসেই নির্ধারিত ফি থাকে। যেমন ফাইবার থেকে পেমেন্ট নিলে ৩% ফাইবার ফি রয়েছে।
পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?
আমি আগেই যেহেতু বলেছি যে, এটা আন্তর্জাতিক পেমেন্ট রিসিভ করার একাউন্ট, তাই আপনার মনে হতে পারে যে, এটা খুবই ঝামেলার।
মোটেও তাই নয়! পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম একেবারেই সহজ। আসলে কেমন সহজ হবে তা ব্লগটি পড়তে পড়তে জানতে পারবেন।
সাধারনত আপনার একটা মোবাইল নম্বর লাগবে। যার কারন, কম বেশি অনলাইনে যেকোনো একাউন্ট খুলতে মোবাইল নম্বর লাগেই।
এরপর লাগবে আপনার আইডি কার্ড। এখন অনেকের আইডি কার্ড থাকে না। যদি আপনার আইডি কার্ড না থাকে তবে,
আপনার অভিভাবক এর আইডি কার্ড দিয়ে একাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে, সেক্ষেত্রে আপনার একাউন্টের নাম এবং আইডি কার্ডের নাম দুইটা একই হলে ভালো হয়।
এবং সর্বশেষ যেটা প্রয়োজন সেটা হলো, আপনার পেমেন্ট রিসিভ করার জন্য একটা ব্যাংক একাউন্ট।
যদি আপনার ব্যাংক একাউন্ট না থাকে তবে, কোনো সমস্যাই নেই। কারন আমরা সবাই জানি যে, পেওনিয়ারের ডলার বিকাশে ট্রান্সফার করা যায়।
তাই একাউন্ট খোলার পর পেমেন্ট রিসিভ করার জন্য কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না। শুধু মাত্র সঠিক নিয়মে পেওনিয়ার একাউন্টটি খুলুন।
তার জন্য জানতে হবে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে। এখানে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম এর সকল ধাপ জানতে পারবেন।
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে
কম বেশি সুবিধা নিয়ে পেওনিয়ার বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। এবং আপনি যদি; একাউন্ট খুলতে চান তবে, আপনি শুধু ফ্রিল্যান্সার ছাড়াও পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন।
পেওনিয়ারএ বেশ কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে। যেখানে কোন কোন মানুষজন এই একাউন্ট খুলতে পারে তার নির্দেশিকা।
যেমন, একজন ফ্রিল্যান্সার এই পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবে। ফ্রিল্যান্সনার এর মধ্যে সার্ভিস প্রোভাইডরাও পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবে।
তারপরে ব্যাক্তিগত পেওনিয়ার একাউন্টও খুলতে পারবেন। তবে ব্যাক্তিগত একাউন্ট হলেও অনেক সুবিধা পাবেন।
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম
একাউন্ট খুলতে হলে প্রথমে পেওনিয়ার.কম এ যাবেন। সেখানে গেলে পেওনিয়ারের অফিশিয়াল সাইট চলে আসবে।
যদি কম্পিউটার দিয়ে ওপেন করেন তবে, উপরে দেখতে পাবেন যে, রেজিস্টেশন নামে একটা অপশন আছে।
আর মোবাইল দিয়ে ওপেন করলে একটু নিচেই রেজিস্টেশন নামে অপশনটা থাকবে।
মানে, আপনি নতুন পেওনিয়ার একাউন্ট খুলবেন। এবং তার জন্য রেজিস্টেশন করতে হবে।
রেজিস্টেশন বাটনে ক্লিক করার পর নতুন একটা পেজ আসবে। এবং সেখানে অনেকগুলো অপশন থাকবে।
মানে আপনি কি কারণে পেওনিয়ার একাউন্টটি খুলতে চাচ্ছেন। সেখানে প্রায় ৫ টি ক্যাটাগরি আছে।
যদি আপনি ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তবে, ফ্রিল্যান্সার ক্যাটাগরি সিলেক্ট করবেন। অথবা সেখানে অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে।
আপনার পছন্দের বা দরকারি ক্যাটাগরিটি সিলেকক্ট করবেন। মানে আপনি যেই কারনে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলবেন সেটা সিলেক্ট করবেন।
ফ্রিল্যান্সার সিলেক্ট করার পর আরও একটা অপশন আসবে। সেখানে লেখা থাকবে “আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টস বা ফ্রিল্যান্স থেকে পেমেন্ট পেতে”।
সাধারণত ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকেই পেমন্টে নিয়ে থাকে। তাই এই অপশনটিই আসবে।
আর যদি আপনি ফ্রিল্যান্সার না হয়ে থাকেন তবে, অন্য যে ক্যাটাগরিগুলো আছে সেগুলোর যেটা আপনার জন্য উপর্যুক্ত হবে সেটা সিলেক্ট করবেন।
এবং পরবর্তী ক্যাটাগরি হবে যে, আপনি মার্কেটপ্লেস থেকে কিংবা ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে আনুমানিক কত টাকা আয় করবেন ।
আসলে আয়ের ব্যাপারে কেউ কখনো নিশ্চিত নয়। তবে, আপনার কাজের উপর নির্ভর করে আপনি এটা সিলেক্ট করতে পারেন।
যদি আপনার কাজের যোগ্যতা বেশি থাকে। অথবা আপনি আগেও কাজ করেছেন। আর এখানে সর্বনিন্মই $10,000,
তাই আপনি সর্বনিম্ম $১০,০০০ ডলার সিলেক্ট করবেন। আর যদি কারো ইনকাম আরও বেশি হতে পারে বলে মনে হয় তাহলে অন্যগুলোও সিলেক্ট করতে পারবেন।
তবে, আমাদের দেশ থেকে মাসে $১০,০০০ ডলারের বেশি আয় করতে পারবে বলে মনে হয় না। তাহলে এবার ৩টা পার্টে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলুন।
পেওনিয়ার পার্সোনাল একাউন্ট খোলার নিয়ম
তারপরে আপনি যখন ফরম পাতায় যাবেন সেখানেও দুইটা অপশন থাকবে।
প্রথমত থাকবে আপনার ব্যক্তিগত এবং পরে আপনার বিজনেস একাউন্ট।

আপনার ক্ষেত্রে এটা ব্যক্তিগত দিবেন।
আর যদি আপনার কোনো ব্যবসা থাকে এবং সরকারিভাবে আপনার ট্রেড লাইসেন্স থাকে তবে, আপনি বিজনেস একাউন্টও খুলতে পারবেন।
যাইহোক, ব্যাক্তিগত একাউন্ট সিলেক্ট করার পর নিচে উল্লেখ করা ফরমটি ফুরণ করবেন।
সেখানে আপনাকে কিছু তথ্য দিতে হবে।
প্রথমে, আপনার প্রথম নাম এবং শেষ নাম। এই ক্ষেত্রে আপনার রিয়েল নাম দেয়ার চেষ্টা করবেন।
তারপরে আপনার ইমেইল এড্রেস দিবেন। ইমেইল দেয়ার ক্ষেত্রে আপনার প্রাইমারি ইমেল দেয়ার চেষ্টা করবেন।
এবং আপনার ইমেইলের টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু না থাকলে চালু করে নিবেন।
তাহলে আর হ্যাক হবার সম্ভাবনা থাকবে না।
সর্বশেষ আপনার জন্ম তারিখ দিবেন। এক্ষেত্রে যদি আপনার ১৮ বছরের নিচে হয় তবে, আপনার একাউন্টটি আপনার বাবা অথবা মায়ের নামে খোলার চেষ্টা করবেন।
পেওনিয়ার একাউন্ট সাইনআপ করার ফরম পূরণ
প্রথম ধাপ শেষে সকল তথ্য পূরন করার পর পরে পেজে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনার কন্ট্রাক্ট ইনফরমেশন দিতে হবে।
সেখানে আপনার কিছু ব্যাক্তিগত তথ্য দিবেন। নিচে আমি একটা ফটো দিয়ে রেখেছি। সেখানে দেখে নিন।
এখানে প্রথমে দেশ সিলেক্ট করতে বলবে। সাধারণত এখানে বাংলাদেশই সিলেক্ট করবেন।
এরপর দ্বিতীয় অপশনে মানে Street and Number, এখানে আপনি আপনার গ্রামের নাম এবং জেলা দিলেই হবে।
তারপরে সিটি”তে আপনার জেলা দিয়ে দিবেন। এবং সর্বশেষ আপনার মোবাইল নাম্বারটি দিবেন।
নাম্বার দেয়ার পর ভেরিফিকেশন কোড এর জন্য এই পেজেই অপেক্ষা করুন।
আপনার দেয়া নাম্বারে একটা কোড আসবে।
তারপর সেই কোডটি বসিয়ে দিবেন। এবং সফলভাবে হয়ে গেলে আপনাকে সিকিউরিটি পেজে নিয়ে আসবে।
আর মনে রাখবেন যে, আপনার একটা ইমেইল দিয়ে একটা পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন।
তাই যদি আগের পেজে ইমেইল সংক্রান্ত সমস্যা আসে তবে, অন্য আরেকটি ইমেইল দিয়ে চেষ্টা করবেন।
সিকিউরিটি পেজে আসার পর সেখানে প্রথমে আপনার ইউজার আইডি দেখতে পাবেন। এটা প্রায় আপনার ইমেইল-ই।
এরপর আপাকে একটা পাসওয়ার্ড দিতে হবে। নিচের বক্সে আবার সেই একই পাসওয়ার্ড দিবেন।
যেহেতু পেওনিয়ার প্রায় ব্যাংক একাউন্টের মতো তাই এখানে একটু স্ট্রং পাসওয়ার্ড দিবেন।
তারপরে একটা সিকিউরিকি প্রশ্ন করবেন।
এর মানে হলো কখনো পেওনিয়ারের যদি মনে হয় যে, আপনার পেওনিয়ার একাউন্টটি হ্যাক হয়েছে, তখন পেওনিয়ারে লগইন করতে হলে সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
এরপরে আপনার আইডি কার্ডের নাম্বারটি দিবেন। এবং নিচে ক্যাপচা আছে সেটি দিয়ে দিবেন। ব্যাস প্রায় হয়ে গেছে।
পেওনিয়ার একাউন্ট এর সাথে ব্যাংক লিংক করা
পরের পেজে আছে অলমোস্ট ডান। সেখানে আপনার কারেন্সি দিতে হবে। কারেন্সিতে বিডিটি দিবেন।
এবং আপনার ব্যাংক একাউন্ট নাম, এবং ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দিবেন। তারপরে সাবমিট করে দিবেন।
ব্যাস, আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা হয়ে গেছে। এখানে ব্লগটি পড়তে পড়তে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও জানা হয়ে যাবে।
প্রশ্নঃ পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড কখন পাবো।
অনেকে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে চায় মূলত পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড পাওয়ার জন্য। আসলে মাস্টার কার্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক লেনদেনগুলো করা হয়ে থাকে।
তাই অনেকেই শুধুমাত্র মাস্টার কার্ড পাওয়ার জন্য পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে থাকে। তবে সবাই শুধুমাত্র মাস্টারকার্ড পাওয়ার জন্য পেওনিয়ার একাউন্ট খোলে না।
যাইহোক! আপনি যদি পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড পেতে চান তাহলে আপনার পেওনিয়ার একাউন্টে বিগত ছয় মাসে যেকোনো মার্কেটপ্লেস থেকে $100 ডলার পেমেন্ট নিতে হবে।
মানে আপনি যদি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে এবং কোন মার্কেটপ্লেস থেকে ছয় মাসের ভেতরে সর্বমোট 100 ডলার পেমেন্ট নিতে পারেন বা আপনার পেওনিয়ার একাউন্টে 100 ডলার আনতে পারেন তাহলে আপনি পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড পেয়ে যাবেন।
নোটঃ সেক্ষেত্রে আপনি যদি অন্য কোনো পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে 100 ডলার ট্রান্সফার করেন তাহলে আপনি পেওনিয়ার কার্ড পাবেন না।
শেষ কথা:
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম একবারেই সহজ। আশা করি আজকের ব্লগটি পড়ে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পেরেছেন এবং পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ!