পদার্থ কি? পদার্থ কাকে বলে? পদার্থের বৈশিষ্ট্য এবং ধরন এইসব বিষয়ে আজকে জানতে পারবেন। সহজ কথায় পদার্থ সম্পর্কে সবকিছুর একটা সারসংক্ষেপ আজকে আলোচনা হবে।
বর্তমান সময়ে ক্রমাগত বিজ্ঞান চর্চা বেড়েই চলেছে। মানুষ প্রশ্ন করছে নানান রকমের কৌতুহল থেকে। কখনো বইয়ের ভেতরে থেকে কখনো বা বাইরের জগত থেকে।
ঠিক একই রকমভাবে একটা টপিক হচ্ছে পদার্থ। যদিও এটা বইয়ের বাইরে থেকে নয়। কিন্তু এই পদার্থ সম্পর্কে পুরো ধারণা পাওয়া খুবই মুশকিল।
পদার্থ কাকে বলে?
উইকিপিডিয়ার মতে “চিরায়ত বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যা কিছু কোনও স্থান বা আয়তন দখল করে এবং জড়তা (বা ভর) ও মহাকর্ষ ধর্ম প্রদর্শন করে, তাকে পদার্থ বলে।”
আরও সহজভাবে এবং গোছানোভাবে টেন মিনিট স্কুলে বলা আছে।
সেখানে তারা উল্লেখ করেছে “যার ভর ও আয়তন আছে, একটি নির্দিষ্ট স্থান দখল করে এবং চাপ প্রয়োগে বাধাদান করে তাকে পদার্থ বলে।”
এখন আমরা বলতে পারি যে যার অস্তিত্ব আছে, ওজন আছে এবং যে তার নিজের জন্য একটি স্থান দখল বা আয়ত্তে আনে তাকে আমরা পদার্থ বলি।
পদার্থের অবস্থা
সাধারণত পদার্থ তিনটি অবস্থায় থাকে। ১. কঠিন, ২. তরল, ৩. বায়বীয়। যেমনঃ
কঠিন পদার্থ: কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন ও নির্দিষ্ট আকার এবং দৃঢ়তা আছে। এর অণুসমূহ পরস্পরের অতি সন্নিকটে অবস্থান করে।
অর্থাৎ, এদের আন্তঃআণবিক দূরত্ব খুবই কম। এ কারণে এদের মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ শক্তি সবচেয়ে বেশি থাকে। যেমন: বালু, পাথর, লবণ ইত্যাদি।
তরল পদার্থ: তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার নেই। এ কারণে এদের যে পাত্রে রাখা হয় তার আকার ধারণ করে।
তরল পদার্থের অণুসমূহ পরস্পরের কাছাকাছি থাকে, তবে তাদের মধ্যকার আন্তঃআণবিক আকর্ষণ শক্তি কঠিন পদার্থের মত প্রবল নয়। উদাহরণ: পানি, পেট্রোল, কেরোসিন, ভোজ্য তেল প্রভৃতি।
গ্যাসীয় পদার্থ বা বায়বীয় পদার্থ: গ্যাসীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন ও নির্দিষ্ট আকার নেই। গ্যাসীয় পদার্থের অণুসমূহের আন্তঃআণবিক দূরত্ব পদার্থের তিন অবস্থার মধ্যে সবচেয়ে বেশি, তাই আন্তঃআণবিক আকর্ষণ শক্তি সবচেয়ে কম।
ফলে তারা প্রায় সম্পূর্ণ মুক্তভাবে চলাচল করে। উদাহরণ: নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, মিথেন ইত্যাদি।
পানি একমাত্র পদার্থ যা প্রকৃতিতে কঠিন (বরফ), তরল (পানি) এবং বায়বীয় (জলীয়বাষ্প) তিন অবস্থাতেই পাওয়া যায়। মেরু অঞ্চলের বরফ, নদী, সমুদ্রের পানি তরল, বায়ুর জলীয় বাষ্প বায়বীয়। ____টেন মিনিট স্কুল
পদার্থ বিজ্ঞানের ক্রমবিকাশ
বর্তমান সময়ে আমরা যে পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করি এর অনেক ইতিহাস রয়েছে।
এই ইতিহাস সম্পর্কে জানতে গেলে দেখা যায় এখানে তিনটি সভ্যতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারা পদার্থ বিজ্ঞানের ক্রমবিকাশ এর অবদান রেখেছে।
এবং যেখানে পদার্থবিজ্ঞানের প্রাচীন ইতিহাসে সর্বপ্রথম গ্রিকদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর মুসলিম সভ্যতার অবদান। সর্বশেষ বিজ্ঞানের উত্থান পর্ব (মধ্যযুগীয় ইউরোপের অবদান)
যেহেতু এখানে তিনটা সভ্যতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাই এখন যদি প্রতিটা সভ্যতার কথা আলাদা করে বিবরণ দিতে চাই তাহলে অনেক কথা হয়ে যাবে।
সেজন্য আমি নিচে পদার্থবিজ্ঞানের ক্রমবিকাশের ইতিহাস সম্পর্কে উইকিপিডিয়ার একটি তথ্য যুক্ত করে দিয়েছি। আপনারা সেখান থেকে পড়ে আসবেন। [পদার্থ বিজ্ঞানের ইতিহাস]
পদার্থ কিংবা পদার্থবিজ্ঞান এগুলো নিয়ে সবসময় চর্চা হয়ে থাকে। তাই আমরা পরবর্তী আপডেটে আরও যুক্তি উপস্থাপন করব।
শেষ কথাঃ
পদার্থ কি? পদার্থ কাকে বলে? পদার্থের অবস্থা এবং পদার্থ বিজ্ঞানের ক্রমবিকাশ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
যারা এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন তারা আশা করি যথাযথ উত্তর পেয়েছেন। আর পোষ্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ!