পবিত্র একটি মাস হলো রমজান মাস। যেই মাসে তারাবির নামাজ পড়া হয়। আর আজকে আমরা জানবো তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন সম্পর্কে।

তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন
আজকে আমরা শুরু যে তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানবো তা নয়।
আজকে আমরা তারাবির নামাজের সকর আলোচনা করবো।
যেমন তারাবির নামাজ কত রাকাত? কিংবা যেভাবে তারাবি এলো, তারাবিহ নামাজের নিয়ত ইত্যাদি।
তাই আজকের আর্টিকেলে সবকিছু জানতে পারবেন।
আর যেহেতু এটা ইসলামিক বিষয় তাই আমি প্রমান বা রেফারেন্স উপস্থাপন করবো। তাই এখানে আশা করি বিতর্ক হবে না।
তারাবির নামাজের রাকাতসমূহ
সর্বপ্রথম আমরা আলোচনা করবো তারাবির নামাজের রাকাত নিয়ে। আমরা সবাই জানি যে, তারাবির নামাজ ২০ রাকাত।
আমি আরও একটা কথা বলে দিই যে, আজকের আর্টিকেলটি মানে “তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন” এটা লিখার সময় আমি লেখাগুলো কালেক্ট করেছি।
শুধু মাত্র দ্বীন প্রচারের জন্য।
তাই কারো লেখার সাথে মিলে গেলে তার কোনো অসুবিধা হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি ব্যবস্থা নিবো।
আমরা যেটা জানি মানে তারাবির নামাজ বিশ রাকাত এটা সত্য এবং প্রমানিত। তাই আমরা এটা নিয়ে আর কথা কিংবা বিতর্ক না করলেও চলে।
✱ হযরত ইয়াহইয়া বিন সাঈদ থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় ওমর বিন খাত্তাব রাঃ এক ব্যক্তিকে বিশ রাকাত পড়ার হুকুম দিলেন। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-৫/২২৩}
তারাবির নামাজের নিয়ত
نويت ان اصلى لله تعالى ركعتى صلوة التراويح سنة رسول الله تعالى متوجها الى جهة الكعبة الشريفة الله اكبر.
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা, রকাআতাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তা’আলা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার। )
অর্থ: আমি ক্বিবলামুখি হয়ে দু’রাকাআত তারাবিহ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নামাযের নিয়ত করছি। আল্লাহু আকবার।
তবে, আমাদের দেশে একটা বিতর্ক আছে যে শুধু মনে মনে নিয়ত করলেই হয়।
যেহেতু এটা একটা বিতর্ক তাই আপনি আপনার পরিচিত কোনো হুজুর থেকে বিস্তারিত জেনে নিবেন।
আমি আবারও বলি যে, আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র দ্বিন প্রচারের জন্য। তাই এটা নিয়ে কেউ বিতর্ক করবেন না।
তারাবির নামাজের প্রতি দুই রাকাত পর পর পড়ার দু’আ:
তারাবির নামাজের পর প্রতি দুই রাকাত অন্তর একাট দু’আ পাঠ করতে হয়:
هذا من فصل ربى يا كريم المعروف يا قديم الاحسان احسن الينا باحسانك القديم ثبت قلوبنا على دينك برحمتك يا ارحم الرحمين.
উচ্চারণ: হা-যা মিং ফাদ্বলি রব্বী ইয়া কারীমাল মা’রূফ, ইয়া ক্বদীমাল ইহসান, আহসিন ইলাইনা বি ইহসানিকাল ক্বদীম। ছাব্বিত ক্বুলূবানা আলা দীনিকা বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন।
তবে, বেশিরভাগই দেখা যায় যে এই দোয়াটি তেমন পড়া হয় না।
তারবির নামাজের প্রতি চার রাকাত পর পর পড়ার দু’আ:
প্রতি ৪ রাকাত তারাবির নামাজ পড়ার পর নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়ার প্রচলন রয়েছে।
سبحان ذى الملك والملكوت سبحان ذى العزة والعظمة والهيبة والقدرة والكبرياء والجبروت . سبحان الملك الحى الذى لاينام ولا يموت سبوح قدوس ربنا ورب الملئكة والروح.
উচ্চারণ : ‘সুবহানাজিল মুলকি ওয়ালমালাকুতি সুবহানাজিল ইজ্জাতি ওয়াল আজমাতি ওয়ালহাইবাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়ায়ি ওয়াল জাবারুতি; সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানুমু ওয়া লা ইয়ামুতু, সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাববুনা ওয়া রাব্বুন মালাইকাতি ওয়ার রূহ।’
অর্থ : আল্লাহ পবিত্রময় সাম্রাজ্য ও মহত্ত্বের মালিক। তিনি পবিত্রময় সম্মান মহত্ত্ব ও প্রতিপত্তিশালী সত্তা। ক্ষমতাবান, গৌরবময় ও প্রতাপশালী তিনি পবিত্রময় ও রাজাধিরাজ যিনি চিরঞ্জীব, কখনো ঘুমায় না এবং চির মৃত্যুহীন সত্তা। তিনি পবিত্রময় ও বরকতময় আমাদের প্রতিপালক, ফেরেশতাকুল এবং জিবরাইলের (আ.) প্রতিপালক।
তারাবিহ নামাজের মোনাজাত
তারাবীহ নামাজের শেষে এই দোয়াটি পড়ার প্রচলন রয়েছে।
বাংলায়ঃ আল্লা-হুম্মা ইন্না নাস আলুকাল্ জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান্নারি ইয়া খালিকাল জান্নাতা ওয়ান্নারি বিরাহমাতিকা ইয়া আজীজু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া কারীমু, ইয়া সাত্তারু, ইয়া রাহিমু ,ইয়া জাব্বারু ইয়া খালেকু, ইয়া রাররূ, আল্লাহুমা আজির না উয়া খাল্লিসনা মিনান্নারি, ইয়া মূজিরু, ইয়া মূজিরু, ইয়া মুজিরু, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
শেষ কথা:
আশা করি “তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন” আজকের আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে। দ্বীন প্রচারের স্বার্থে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।