টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার ২০২৩ – বিস্তারিত দেখে নিন

টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার – বর্তমান সময়ে টিকটকে প্রতিযোগীতা একটু বেশি। তাই আপনি যদি টিকটকে ভাইরাল হতে চান, কিংবা টিকটকে ভালো কিছু করতে চান তবে, অবশ্যই আপনাকে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে।

টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার

যেমন ভালো কোয়ালিটির ভিডিও শুট, এবং ভালো কোয়ালিটির এডিট। তাছাড়া কনটেন্ট কোয়ালিটিও যথেষ্ঠ ভালো হতে হবে।

এই সমস্যাগুলোর সমাধানে আজেকর ব্লগ। এখানে জানতে পারবেন টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার গুলো। এবং কোন কোন সফটওয়্যার দিয়ে  টিকটক ভিডিও বানানো যায়।

প্রথমত এখানে উল্লেখ আছে যে, টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার। এই  টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার এর দুই রকম মানে হয়।

টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার মানে কি?

এখানে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে, আমি টাইটেল দিয়েছি টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার। আসলেই কি সফটও্যার দিয়ে টিকটক ভিডিও বানানো যায়? উত্তর হবে হ্যা!

আর আরেকটা হলো টিকটকের জন্য। আপনার ক্যামেরা দিয়ে সর্ট করা ভিডিও গুলো এডিট করার সফটওয়্যার।

তাই প্রথমেই আলোচনা করবো টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার নিয়ে।

আমরা টিকটকে গেলেই দেখতে পাই যে, অনেকে কয়েকগুলো ছবির সাহায্যে একটা ভিডিও তৈরি করে পেলে। এবং সেটা খুব ভাইরাল হয়।

আপনাদেরকে বলি টিকটক ভিডিও যে ভাইরাল হয়েছে তার পেছনে একটা কারন হলো হয়তো তার আইডিটা খুবই প্রফেশনাল।

তারপরে দেখা যায় যে. তার ভিডিও এডিট করা খুবই সুন্দর হয়েছে। কিন্তু সে কোন অ্যাপটা দিয়ে টিকটক ভিডিও বানায় তা কিন্তু আমরা জানি না। তবে আজকে আপনাদের জানিয়ে দিবো।

সফটওয়্যারগুলো সাধারণত এডিটর সফটওয়্যার হয়। যেখানে কিছু ফটো নিয়ে একটা ভিডিও তৈরি করা হয়। তবে আপনি টিকটকেও পারবেন।

টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার হিসেবে টিকটক অ্যাপ কেমন?

আপনি যখনই একটা ভিডিও তৈরি করতে যাবেন তখন, আপনার প্রয়োজন ভিডিওটিতে ফিল্টার, এবং কয়েকটি ভিএফএক্স। যার সাহায্যে ভিডিওগুলোকে দেখতে চমৎকার লাগে।

আপনি যেহেতু টিকটকেই ভিডিও আপলোড করবেন। সেহেতু আপনি যখন টিকটকে যাবেন, সেখানে একটা + চিহ্ন থাকবে।

সেই প্লাস চিহ্নটিতে ক্লিক করার পর অনেক এডিটিং অপশন পাবেন।এটা হচ্ছে টিকটক ভিডিও তৈরি করার পর এডিট করার জন্য।

এটা কেমন তা বলতে গেলে আপনি এখানে অনেক ফিল্টারিং পাবন। এবং যেহেতু টিকটক অ্যাপের ভিতরেই সবকিছু তাই জামেলা একটু কম। তাছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লাইফ ফিল্টারও থাকে।

শুধু ফিল্টারই নয়। এখানে পাবেন ভিডিও এডিট করার জন্য যাবতীয় টুলস। তাই আপনি যদি কম জামেলার মধ্যে ভিডিও এডিট করতে চান?

তবে, টিকটক অ্যাপের ভেতরেই এডিট করুন। এখানে যেমন ঝামেলা কম মনে হয় তবে, কিছুটা ঝামেলারই।

আবার এখানে আপনি ফটো দিয়ে যেভাবে টিকটক ভিডিও বানায় তা করতে পারবেন না। বা পারলেও যথেষ্ট জামেলার।

তাহলে টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার কোনটি?

যেহেতু ফটো দিয়ে স্লাইড করে ভিডিও এডিট করবেন । তাই একটা ফটো এডিটর অ্যাপ হলেই চলবে। তবে. ফটো এডিটরের পাশাপাশি ফটো স্লাইডারও লাগবে।

ফটো এডিটরের কথা বললাম এই জন্যই যে, আপনি যেই ফটো দিয়ে টিকটক ভিডিও বানাবেন সেই ফটোকে যদি এডিট করার প্রয়োজন হয় তখন, ফটো এডিটর দিয়ে এডিট করে নিবেন।

যেমন, আপনার ফটোতে একটা লেখা লিখবেন। বা একটা লেখা এড করবেন তখন, ফটো এডিটরের প্রয়োজন আছে।

বলে রাখি যে, এখানে আপনার দুইটাই অ্যাপ লাগবে।

এখন অ্যাপগুলো পাবেন কোথায়? এর উত্তরে বলবো আপনি গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ফটো এডিটর লিখে সার্চ করলে অসংখ্য অ্যাপ পেয়ে যাবেন।

মনে রাখবেন যে, আপনার ভিডিওর কোয়ালিটি যত ভালো হবে, আপনি ততই ভাইরাল হতে পারবেন। আর ভিডিও ভাইরাল করতে চাইলে..

তাহলে আপনার টিকটকে ব্যয় করা সময় কাজে লাগবে বা সার্থক হবে।

টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার (এডিটিং)

আর যদি আপনি ভালো মানের ভিডিও এডিট করতে চান! টিকটক অ্যাপ ছাড়াই তবে, এখনকার সময়ে সেরা কিছু টিকটক ভিডিও এডিটর সফটওয়্যার আছে।

যেগুলোর মাধ্যমে আপনার ভিডিওকে করে তুলতে পারেন আকর্ষনীয়। এবং টিকটক অ্যাপ ছাড়াই অনেক সুন্দর এডিট করা যায়।

এমনকি সেখানে শুধু টিকটকই নয় অন্যান্য যেমন, ইউুটিউব ভিডিও এডিটও করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নিন টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার গুলো।

টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার (CapCut)

ভিডিওতে অনেক বেশি ফিল্টার সহ বেশ কিছু ইফেক্ট সহ ধারুন একটা ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।

আপনি টিকটকে নতুন ইউজারদের দেখতে পাবেন যে, তারা ধারুনভাবে ভিডিও এডিট করে সহজেই ভাইরাল হয়।

তাই আপনি CapCut ডাউনলোড করে নিবেন। এটা প্রায় ফ্রি। তবে কিছু ক্ষেত্রে এডভান্স অপশনগুলোতে টাকা লাগে।

আপনি যদি নতুন ইউজার হয়ে থাকেন তবে, আপনি ফ্রি গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আপনার জন্য ভালো কিছু হবে।

এখানে আপনার ভিডিও এডিট করার পর দেখতে পাবেন যে, শেষে একটা  ওয়াটার মার্ক আছে। মানে CapCut লেখা থাকবে।

এটা রিমুভ করে দিবেন। রিমুভ করার জন্য প্রথমে এডিট করার সময় ভিডিওটির শেষে যাবেন। এবং ডিলেট বা CapCut লেখাটি রিমুভ করার অপশন পাবেন।

ওয়াটারমার্কটি রিমুভ করলে ভিডিওটি অনেক সুন্দর দেখাবে। তাহলে ভিডিওটি আর সুন্দর হবে।

টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার (Alight Motion)

টিকটক ভিডিও এডিটর হিসেবে আরেকটি দারুন অ্যাপ হলো Alight Motion। সেরা সব দারুন ফিচার নিয়ে ক্যাপকাটের পরেই এলাইট মোশন খুবই জনপ্রিয়।

আমি আপনাদের যে অ্যাপগুলোর কথা বলছি, এগুলো সাধারণত আমার আশে পাশের টিকটক ভিডিও এডিটরদের থেকে জেনে নেয়া।

তাই আপনি একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আর যদি আরও অ্যাপ সম্পর্কে জানতে চান তবে, কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।

এলাইট মোশন কিছুটা ক্যাপকাটের মতো। আর এই যে অ্যাপ গুলোর কথা বলেছি সেগুলো আগে একটু দেখে নিতে হয়।

যেমন, কোন ফিল্টার কেমন, কোন ইফেক্ট দেখতে কিরকম। আজকের ব্লগটি বেশি বড় হয়ে যাওয়ায় প্রিভিউ দেখাতে পারলাম না।

শেষ কথা:

উপরের আলোচনা মানে টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার গুলো, আপনি যদি ব্যবহার করে থাকেন তবে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। আর কোনো যায়গায় বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *