বর্তমানে ক্রমান্বয়েই টিকটকে ইউজারের সংখ্যা বাড়ছে। এবং প্রতিনিয়ত তারা টিকটক ভিডিও তৈরি করে যাচ্ছে। আপনি কি জানেন তারা কোন সফটওয়্যার দিয়ে টিকটক ভিডিও বানাচ্ছে? যদি জেনে না থাকেন তাহলে আজকেই জানতে পারবেন টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার কোনগুলো।

 বর্তমান সময়ে টিকটকে প্রতিযোগীতা একটু বেশি। তাই আপনি যদি টিকটকে ভাইরাল হতে চান, কিংবা টিকটকে ভালো কিছু করতে চান তবে, অবশ্যই আপনাকে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে।

আপনি যদি টিকটকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়তই টিকটক ভিডিও বানানো লাগবে। তাই বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার গুলো দিয়ে আপনার টিকটক ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। যদি আপনি টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার ডাইনরেঅড করতে চান তাহলে এখানে তালিকা দেখে নিন।

যেমন ভালো কোয়ালিটির ভিডিও শুট, এবং ভালো কোয়ালিটির এডিট। তাছাড়া কনটেন্ট কোয়ালিটিও যথেষ্ঠ ভালো হতে হবে।

এই সমস্যাগুলোর সমাধানে আজেকর ব্লগ। এবং আজকে আপনি জানতে পারবেন কোন কোন সফটওয়্যার টিকটকের কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়।

এবং কোন কোন সফটওয়্যার দিয়ে ভিডিও এডিট করতে হয়, কোন কোন সফটওয়্যার দিয়ে গ্রাফিক্সের কাজ করতে এবং কোন কোন সফটওয়্যার দিয়ে লাইটিংয়ের কাজ করতে হয় সবগুলোর বিস্তারিত গাইডলাইন হয়ে যাবেন।

এছাড়া আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে আপনি যদি টিকটক নতুন ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে কিভাবে আপনি টিকটক ভিডিও তৈরি করবেন এবং কিভাবে আপলোড দিবেন সব কিছুই জানতে পারবেন।

আর আজকে নতুন টিকটক ইউজারের জন্য রয়েছে কিকি টেকনিক ফলো করে কিংবা কোন ধরনের টিকটক ভিডিও বানিয়ে বেশি বেশি লাইক ফলো পাওয়া যায়।

তাই আজকের এই পুরো আর্টিকেলটির একটাই মূল উদ্দেশ্য সেটা হচ্ছে একটা প্রফেশনাল টিকটক ভিডিও বানানোর কি কি সুবিধা, এবং কিভাবে ভাল কোয়ালিটির ভিডিও বানানো যায়।

তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের আলোচনা।

টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার মানে কি?

টিকটকে আপলোড করার জন্য তৈরিকৃত ভিডিও এডিট এর জন্য কিংবা কাস্টমাইজেশনের জন্য যে সফটওয়্যার গুলোর সহায়তা নিতে হয় সে সফটওয়্যার গুলোকে টিকটক ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বলা হয়।

মানে আপনি যখন একটি ভিডিও তৈরি করবেন তখন প্রথমে আপনাকে ক্লিপ সংগ্রহ করতে হয়।

ক্লিপগুলো আপনার ইউনিক হতে পারে কিংবা কপিও হতে পারে।

অথবা আপনি পুরোপুরি একটি এনিমেটেড রিলেটেড ভিডিও বানাতে চাচ্ছেন।

তাহলে ক্লিপগুলো সংগ্রহের পর আপনাকে সে ক্লিপগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।

এক্ষেত্রে ভিডিও গুলো এডিট করতে অনেকগুলো ধাপ থাকে।

সবগুলো ধাপ নিয়ে আজকে আলোচনা করব না।

আচকে শুধু আপনাদেরকে দেখাবো যে টিকটক ভিডিও তৈরির জন্য কোন কোন সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

টিকটক ভিডিও বানানোর পদ্ধতি

আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে সম্পূর্ণরূপে একটি tiktok ভিডিও এডিট করা যায়।

সেজন্য আজকে আমি আপনাদেরকে তিনভাবে ভিডিও তৈরি প্রসেস দেখাবো।

এবং এ দুইভাবে ভিডিও এডিট করা বা তৈরি করার জন্য যতগুলো সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে সবগুলোর তালিকা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

তবে প্রথমে দেখে নিন একটি টিকটক ভিডিও তৈরি করতে কয়টি প্রসেস থাকে।

১. ক্লিপ তৈরি করা

আপনি যখন টিকটক এর জন্য একটা ভিডিও তৈরি করবেন তখন সর্বপ্রথম আপনাকে ভিডিওর ক্লিপ সংগ্রহ করতে হবে

ভিডিওর ক্লিপ মানে হচ্ছে একটা ভিডিও তৈরি করার জন্য শুট করতে হয়।

মানে প্রথমে ক্যামেরাতে ভিডিও করতে হয়।

তখন সেখানে ছোট ছোট কাট ভিডিও করতে হয়।

এরপর সবগুলো ক্লিপ সংগ্রহ করতে হয়।

তারপরেই সেই ক্লেভগুলোকে এডিট করতে হয় যেটা হচ্ছে টিকটক ভিডিও এডিট এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

২. ভিডিও এডিটিং

যখন আপনি ভিডিও এডিট করার জন্য সবগুলো ক্লিপ সংগ্রহ করবেন তখন সে ক্লিপগুলোকে ভিডিও এডিটর সফটওয়্যারে ইমপোর্ট করতে হয়।

এখন এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটা হচ্ছে ভিডিও এডিট করবো কিভাবে।

আপনি ভিডিও এডিট করার আগে কয়েকটি ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন।

নিচে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর একটা লিস্ট দেয়া হয়েছে।

৩. অডিও এডিটিং

একটা টিক টক ভিডিও করতে চাইলে শুধুমাত্র ভিডিও এডিটিং-ই সর্বশেষ কাজ নয়।

সর্বশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে অডিও এডিটিং।

আপনি যখন একটা ভিডিও তৈরি করবেন তখন সে ভিডিও সাউন্ড কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো করতে হবে।

এক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কিংবা আপনার ভয়েস কোয়ালিটি সবকিছু ভালো হতে হবে।

সেজন্য অডিও এডিট করার জন্য ও অনেকগুলো সফটওয়্যার আছে।

নিচে অডিও এডিট করার জন্য প্রয়োজন সেগুলো উল্লেখ করে দিয়েছি।

টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার

একটা ভিডিওকে অনেক আকর্ষণীয় এবং কোয়ালিটি ফুল করতে ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার এর বিকল্প নেই।

তবে অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই টিকটক ভিডিও বানানোর জন্য যে সফটওয়্যার গুলো সেগুলো ব্যবহার করতে জানে না।

তাই তারা কিভাবে ভিডিও এডিট করবে সে ব্যাপারেও গাইডলাইন রয়েছে।

একজন নতুন ইউজারের ভিডিও বানানো নিয়ে কোন প্রকার চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।

এবং যারা প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিট করতে চায় এবং দ্রুত সময় ভাইরাল হতে চায় তাদের জন্য কিছু এডভান্স ভিডিও এডিটর সফটওয়্যার এর প্রয়োজন আছে।

তাছাড়া কোন কোন সফটওয়্যার দিয়ে কি ধরনের ভিডিও বানানো যাবে কিংবা কোন কোন সফটওয়্যার কি কি সুবিধা দিচ্ছে সে সম্পর্কে বেসিক ধারণা দেবো।

তাহলে চলুন আমরা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি টিকটক ভিডিও বানানোর জন্য সফটওয়্যার দেখে নিই।

টিকটক ডিফল্ট অ্যাপ দিয়েই ভিডিও তৈরি করুন।

যখন একজন নতুন ইউজার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলে ভিডিও আপলোড দেওয়ার কথা ভাবে তখন তার জন্য ভিডিও এডিটিং ব্যাপারটি খুব বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

সেজন্য তারা চাইলেও প্রথম অবস্থায় অনেক ভালো মানের ভিডিও তৈরি করতে পারে না।

তাই তাদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিংবা টিক টক এ ভিডিও সহজভাবে আপলোড করার জন্য তাদের কাছে সবচেয়ে সেরা পদ্ধতি হচ্ছে টিকটক অ্যাপস।

যারা এডিটিং এ একেবারে বেসিক তাদের জন্য tiktok apps খুবই কাজে লাগবে।

এর কারণ হচ্ছে টিক টক অ্যাপস এর ভিতরেই ভিডিও এডিট করা যায় কিংবা ভিডিও বানানো যায়।

এবং সেখানের এডিটিং টুলস গুলো অনেক সহজ।

নতুনরা খুব সহজভাবেই সে টুলস গুলো ব্যবহার করে অনেক ভালো মানের ভিডিও এডিট করতে পারবে।

টিকটক অ্যাপস এর ভিতরে টিকটক ভিডিও বানানোর জন্য একটা বেসিক ধারণা দিয়ে দিচ্ছি।

  • প্রথমে tiktok অ্যাপস এর ভিতরে গেলে নিচে মেনু বারে ➕ আইকনটি দেখতে পাবেন।
  • এরপরেই ডিফল্ট এডিটর টুলস ওপেন হয়ে যাবে।
  • তখন আপনি আপনার রেডি করা ক্লিপগুলো ইমপোর্ট করে প্রয়োজনে এডিট করে নিতে পারবেন।

এখানে ফিল্টার, কালারিং, বেসিক বিএফএক্স রয়েছে।

সেজন্য নতুন অবস্থায় ভিডিওর কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো হবে।

তাছাড়া অডিও কিংবা ভয়েস যুক্ত করার জন্য অনেক টুলস রয়েছে।

তাই আমি বলব আপনি যদি একজন নতুন হয়ে থাকেন তাহলে ভিডিও এডিট করেন।

এছাড়া অনেক নতুন ইউজার যাদের শুট করার মত ক্লিপ থাকে না তারা চাইলে ফটো দিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারবে।

ফটো দিয়ে কিভাবে ভিডিও তৈরি করতে হয় সেটা আমি আমার সাইডে এর আগে একটি পোস্ট করেছি আপনারা চাইলে দেখে আসতে পারেন।

KineMaster-Video Editor&Maker

দীর্ঘ অনেক বছর আগে থেকে কাইনমাস্টার অ্যাপটি ভিডিও এডিটিং এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়।

তাই আপনি যদি আপনার tiktok ভিডিও বানাতে চান তাহলে কাইনমাস্টার অ্যাপসটি ব্যবহার করুন।

টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার হিসেবে কাইনমাস্টার খুবই জনপ্রিয়।

১. হাই কোয়ালিটি টেমপ্লেট

কাইনমাস্টার অ্যাপটিতে রয়েছে অনেক হাই কোয়ালিটির সকল টেমপ্লেট।

আমরা সবাই জানি যে টিকটক ভিডিও এডিট যারা করে তারা বেশিরভাগ সময় টেমপ্লেট ইউজ করে।

কারণ টেমপ্লেট হচ্ছে এমন একটি ব্যাপার যেখানে একটা ভিডিওর রেডিমেড সকল এলিমেন্ট থাকে।

যেমন আপনি যদি ফটো দিয়ে একটা ভিডিও তৈরি করতে চান তাহলে সেখানে স্লাইড হবে, ইফেক্ট হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

এখন আপনি যদি চান যে একটা টেমপ্লেট ব্যবহার করতে তাহলে আপনার আলাদা করে স্লাইড করতে হচ্ছে না, ইফেক্ট দিতে হচ্ছে না।

মানে ওই টেমপ্লেটটি অটোমেটিক্যালি সকল স্লাইড এবং ইফেক্ট, কালার, বিএফএক্স সবকিছু যুক্ত করে দিবে

২. প্রফেশনাল লেআউট

একটা ভিডিও এডিট করার জন্য অনেকগুলো লেআউট যুক্ত করা লাগে।

যেমন আপনি যদি একটা ক্লিপ দিয়ে টিকটক ভিডিও বানাতে চান তাহলে সেই ক্লিপটিতে অসংখ্য লেআউট যুক্ত করা লাগবে।

যেমন একটা ফিল্টার কিংবা কিছু কালার অথবা অডিও চেঞ্জ ইত্যাদি।

আপনি যখন এ লেআউট গুলো যুক্ত করবেন তখন পুনরায় একটা এডিট করার জন্য ওই লেআউটটি খুঁজে বের করতে হয়।

এক্ষেত্রে কাইনমাস্টারে আপনি সকল লেআউট প্রফেশনাল ভাবে দেখতে পাবেন

এবং খুঁজে বের করতেও আপনার জন্য অনেক সহজ হবে।

৩. ডাইনামিক সব রুপান্তর

আপনি যখন আপনার ভিডিওটির জন্য অনেক এডভান্স সকল অনিমেশন কিংবা থ্রিডি যুক্ত করবেন তখন আপনার ভিডিওটি অনেক ডায়নামিক হয়ে যাবে।

সহজ কথা বলতে আপনার ভিডিওটি অনেক প্রফেশনাল হয়ে যাবে।

সেজন্য কাইনমাস্টারে আপনি ডায়নামিক সব আইটেম পেয়ে যাবেন।

যেমন অস্থির সব ইফেক্টসহ থ্রিডি এনিমেশন এবং আরো অনেক কিছু।

এছাড়া আমি যদি বিস্তারিত বিবরণ দিতে যাই তাহলে অসংখ্য সব বিচার রয়েছে কাইনমাস্টার অ্যাপসটিতে।

যে পুরোপুরি ভাবে কাইনমাস্টার অ্যাপসটি ব্যবহার করতে পারবে তার প্রতিটা tiktok ভিডিও প্রফেশনাল হবে

এর কারণ হচ্ছে ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং এবং অডিও এডিটিং এই তিনটার সমন্বয়ে টিকটক ভিডিও বানানো সহজতর হয়।

CapCut – টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার

আপনি এটা জানেন কিনা যে টিকটক অ্যাপস এর হোম স্ক্রিনে যতগুলো ভিডিও দেখবেন তার বেশিরভাগ ভিডিও CapCut দিয়ে বানানো।

এমনকি আপনি যদি টিকটক অ্যাপস দিয়ে টিকটক ভিডিও বানাতে চান তাহলে সেখানেও ক্যাপ কার্ড এর সকল ট্যাম্পলেট পেয়ে যাবেন।

টিকটকারদের সবচেয়ে পছন্দের অ্যাপস হচ্ছে ক্যাপকাট অ্যাপস। এই অ্যাপস দিয়ে টিকটক ভিডিও বানানো খুবই সহজ। সেজন্য টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ক্যাপকাট

১. টিকটকের জনপ্রিয় সব টেমপ্লেট

প্রতিটা টিকটক ইউজার যখন তাদের ভিডিওগুলো তৈরি করে সে ক্ষেত্রে তারা ক্যাপকাটের টেমপ্লেট গুলো ব্যবহার করে থাকে।

কারণ CapCut টেমপ্লেট গুলো অত্যাধিক জনপ্রিয় এবং tiktok অ্যাপস এর ভিতরেও পাওয়া যায়।

যারা tiktok অ্যাপস দিয়ে ভিডিও এডিট করে থাকে তাদের জন্য কেপ কার্ড এর প্রতিটা ফিচার সেখানে উপলব্ধ।

এর বাহিরেও যারা প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও তৈরি করতে চায় CapCut মাধ্যমে, তারা আলাদা করে CapCut অ্যাপসটি ইন্সটল করে নেয়।

তাই আপনি যদি টিকটক ভিডিও বানাতে চান সেক্ষেত্রে আপনি সকল ট্রেন্ডিং ফিচার পেয়ে যাবেন।

এর মধ্যে একটা হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সকল টেমপ্লেট।

২. (AI) দিয়ে তৈরিকৃত ইফেক্ট

বর্তমানে এ আই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটো তৈরি করা যায়।

বিশেষ করে নিজের ফটোকে যখন এনিম ফটোতে রূপান্তর করা হয় তখন সেই ফটোগুলো অনেক সুন্দর হয়।

আর সেই ফটোগুলো দিয়েই tiktok ভিডিও তৈরি করলে সহজে ভাইরাল হওয়া যায়

এবং বর্তমানে তাই হচ্ছে।

আপনি যখন টিকটকে যাবেন তখন দেখবেন বেশিরভাগ ইউজার তাদের ফটোগুলোকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে এনিম ভিডিও বানাচ্ছে।

আর এই ফিচারটি আপনি CapCut এ পেয়ে যাবেন।

৩. ট্রেন্ডিং সব স্টাইল

Tiktok এ যে ভিডিওটি ট্রেন্ডিং এ আসবে সেই ভিডিওতে যত স্টাইল ব্যবহার করা হয় সবগুলো স্টাইল আপনি এই টেমপ্লেটগুলোতে পেয়ে যাবেন।

এমনকি আপনার ইউনিক তৈরিকৃত কোন ভিডিওতে যদি আপনি স্টাইল যুক্ত করেন তাহলে সেই ভিডিওটিও ভাইরাল হবে।

সহজ কথা বলতে গেলে যদি কোন ভাইরাল হওয়া ভিডিও আপনি দেখেন তাহলে বুঝবেন যে এটার স্টাইল গুলো CapCut রয়েছে।

এবং আপনি ওই একই স্টাইল আপনার ভিডিওতে ইমপোর্ট করতে পারবেন।

৪. ইন এবং আউট এনিমেশন

আমাদের দেশে সাধারণত যে ইউজারগুলো টিকটক ভিডিও বানায় তারা বেশিরভাগ সময় অ্যাটিটিউড ভিডিও বানায়।

ওই এটিটিউড ভিডিও গুলোতে এবং আউট হওয়ার সময় যে এনিমেশন গুলো ব্যবহার করা হয় এই এনিমেশন গুলো CapCut রয়েছে।

এছাড়াও যারা ফটো দিয়ে ভিডিও তৈরি করে তাদের ভিডিওতে ইন এবং আউট এনিমেশন ব্যবহার করা হয়।

সহজ কথায় বলতে গেলে টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার হিসেবে CapCut সব সময় নাম্বার ১ এ থাকবে

এর অনেকগুলো কারণ আছে এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা কারণ হচ্ছে নতুন যারা টিকটক ভিডিও বানাতে চায় তাদের জন্য খুবই সহজভাবে কাজ করে।

মানে এখানে প্রতিটা লে আউট খুব সহজে ড্রাগ এন্ড ড্রপ করা যায়।

Alight Motion – টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার

Alight Motion - টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার

একটা টিকটক ভিডিও বানাতে গেলে সেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে ওই ভিডিওর ভিজুয়াল ইফেক্ট।

যে ভিডিওতে যত সুন্দর ভাবে ভিজুয়াল ইফেক্ট ব্যবহার করা যায় ওই ভিডিও তত বেশি সিনেমাটিক হয়।

এছাড়াও প্রতিটা ভিডিওতে কালার এডজাস্ট করলে ওই ভিডিওটি প্রিমিয়াম কোয়ালিটি মনে হয়।

এই কাজগুলোই করে দিচ্ছে Alight Motion অ্যাপসটি।

ভিডিও এডিট করার পর সেই ভিডিওটিকে প্রফেশনাল এবং সিনেমাটিক করার কাজ হচ্ছে Alight Motion এর।

সাধারণত বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে অনেকেই ভিডিও পর্যন্ত থেমে থাকে।

তবে যে ভিডিও এডিট করার পর ওই ভিডিওতে কালার, ভিজুয়াল ইফেক্ট এবং সিনেমেটিক ফিচার সংযুক্ত করে তার ভিডিওর কোয়ালাটি অন্যদের থেকে ভালো হয়।

আমি এখানে যে তিনটি অ্যাপস এর কথা বলেছি এই তিনটি একত্রে ব্যবহার করতে পারলে যে কোন ভিডিও প্রফেশনাল হবে।

তবে এক্ষেত্রে কাইনমাস্টার ব্যবহার না করলেও হবে।

আপনি যদি শুধুমাত্র ক্যাপকাট এবং এলাইট মোশন এর মাধ্যমে tiktok ভিডিও তৈরি করেন তাহলে আপনার ভিডিও নিশ্চিত সেরা হবে।

১. কালার এডজাস্ট

Alight Motion অ্যাপসটি যে কারণে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেটা হচ্ছে কালার এডজাস্টমেন্ট।

আপনি যদি একটা ফুলের কালার এডিটিং করতে চান তাহলে ওই ফুলের প্রতিটা পাপড়িতে আলাদা আলাদা করে কালার যুক্ত করতে পারবেন।

যেটা কিছুটা প্রফেশনাল ভিডিও এডিটরদের কাজ আপনি খুব সহজে আপনার মোবাইলে করতে পারছেন।

এবং কালার এডিট করার জন্য যতগুলো আউটের প্রয়োজন হয় সবগুলো এখানে সচরাচর আছে।

২. ব্লেন্ডিং মোড

মাল্টিপ্লে ভাবে আপনি আপনার ফটোটিকে অপটিক্যালি এবং ব্লেন্ডিং ভাবে এডিট করতে পারবেন।

এই সকল এডিট গুলো আপনার ভিডিও কেউ পুরো প্রিমিয়াম এবং সিনেমাটিক করে তুলবে।

Alight Motion এপ্সটিতে এরকম দারুন দারুন আরো অসংখ্য কিচা রয়েছে।

যেমন এরকম আরও একটি ফিচার হচ্ছে ভেক্টর গ্রাফিক্স।

পুরো একটা প্রেমের নির্দিষ্ট একটা অংশকে সিলেক্ট করে আলাদা করে কাস্টমাইজ এবং এডিটিং, কালারিং করাকে ভেক্টর গ্রাফিক্স বলা হয়ে থাকে।

এভাবে আপনি এই তিনটি এপ্স এর সমন্বয়ে টিকটক ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।

আর বর্তমানে টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ক্যাপকাট এবং এলাইট মোশন।

টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার নিয়ে কিছু প্রশ্নঃ

টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে চাই

যে অ্যাপ গুলো দিয়ে টিকটক ভিডিও বানানো হয় আপনি যদি সেই অ্যাপ গুলো ডাউনলোড করতে চান তাহলে প্রথমে এখান থেকে তালিকায় দেখে নিন কোন কোন অ্যাপস রয়েছে। তারপর সে অ্যাপসগুলো গুগল প্লে স্টোরে সার্চ করলে আপনি পেয়ে যাবেন।

কিভাবে টিকটক ভিডিও বানাবো?

টিক টক ভিডিও বানানোর জন্য প্রথমে টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর সেই সফটওয়্যার গুলোর টুলস ব্যবহার করে আপনি টিকটক ভিডিও বানাতে পারবেন।

টিকটক লেখা ভিডিও কিভাবে বানাবো?

বর্তমান সময়ের tiktok এ লেখা ভিডিও গুলো খুবই জনপ্রিয়। এই লেখাগুলোকে বলা হয় স্ট্যাটাস ভিডিও। আপনি যদি টিকটক লেখা ভিডিও বানাতে চান তাহলে এখান থেকে উল্লেখ করা টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড করে নিবেন। এর পরে সেই সফটওয়্যার গুলোর লেআউট বা টুলস ব্যবহার করে আপনি টিকটক লেখা ভিডিও বানাতে পারবেন।

শেষ কথা:

আপনি যদি আপনার টিকটক ভিডিওটিকে আরো প্রিমিয়াম এবং আরো সিনেমাটিক সেই সাথে কালারিং ভেক্টর গ্রাফিক্স, কালার এডজাস্ট, ব্লেন্ডিং মোড, টেমপ্লেট, স্টাইল সংযুক্ত করে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির করতে চান তাহলে সেরা কয়েকটি টিকটক ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার দিয়ে আপনি তা করতে পারবেন।

আজকের এই পোস্টটিতে আমি কয়েকটি tiktok ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করেছি যেগুলো দিয়ে আপনি যেকোনো ধরনের tiktok ভিডিও বানাতে পারবেন।