টিকটক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম, ভেরিফাই করুন আপনার টিকটক আইডি

জেনে নিন টিকটক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম এবং আপনার আইডি ভেরিফাই হবে কিনা সবকিছু।

টিকটক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম

বর্তমান সময়ের সেরা স্যোশাল নেটওয়ার্কের মধ্যে টিকটক অন্যতম। এমনকি টিকটক বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। হাজার হাজার ক্রিয়েটর এখানে কাজ করে যাচ্ছে।

তাদের প্রত্যেকেরই একটা ইচ্ছা থাকে যেনো তাদের আইডিটাও ভেরিফাই হয়। টিকটকের কিছু রুলস আছে যেগুলো ফলো করলে আপনি আপনার টিকটক আইডি ভেরিফাই করতে পারবেন।

আজকের ব্লগটি পুরো পড়লে ভেরিফাই করতে পারবেন আপনার টিকটক আইডি। চলুন জেনে নেয়া যাক টিকটক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম সম্পর্কে।

তার আগে জেনে নিন প্রফেশনালভাবে টিকটক আইডি খোলার নিয়ম।

টিকটক কি?

টিকটক হলো একটা শর্ট ভিডিও শেয়ারিং ফ্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি ছোট ছোট ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।

এবং এখানে ভিডিওতে লাইক পাওয়া কিংবা কমেন্ট করা অথবা ফলো পাওয়া ইত্যাদি নিয়েই টিকটক। টিকটকের শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে।

টিকটকে দুই পক্ষ আছে যেমন ১. কন্টেন্ট ক্রিয়েটর,

কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের তৈরি কন্টেন্ট বা ভিডিও আপলোড করে অডিয়েন্সের কাছে পৌছে দেয়। আরেক পক্ষ হলো অডিয়েন্স বা ভিউআর্স

এদেরকে আপন ইউজারও বলতে পারেন। টিকটকে ইউজার বা ক্রিয়েটর প্রত্যেকে বিনামূল্যে একাউন্ট খুলতে পারে।

টিকটক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম

টিকটক আইডি ভেরিফাই করে মূলত ক্রিয়েটরটা। তারা তাদের আইডি তে নীল ব্যাজ পায় যেমনটি পায় ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করলে।

টিকটক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম অনেকগুলো থাকে। যেগুলো মেনে আপনাকে কাজ করতে হবে তবেই আপনি টিকটকে ভেরিফাই হবেন।

এবং কিছু সময় লাগে ও কিছু শর্ত যেমন: হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট, ফ্যান ফলোয়ার, ভিউজ অলওয়েজ একটিভ ইত্যাদি। এছাড়াও টিকটক বিভিন্ন ভাবে  আপনাকে ভেরিফাই দিবে তা হলো:

হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট

আপনার একাউন্ট ভেরিফায়ের প্রথম শর্ত হলো হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট। আপনি যদি টিকটকে ভেরিফাইয়েড হতে চান তবে আপনাকে ভালো কোয়ালিটির কন্টেন্ট মেক করতে হবে।

ভালো কোয়ালিটি কন্টেন্ট বলতে আপনার কন্টেন্ট কোনো প্রকার কপি হতে পারবেনা। মানে আপনি কোনো ভিডিও কপি করলে আপনাকে ভেরিফাইয়েড দিবে না।

তারপরে আছে ভিডিও আকর্ষনীয়তা। এখানে আকর্ষনীয়তার মানে হলো আপনার ভিডিও এডিটিং বা ইউনিক কন্টেন্ট অথবা ভালো মানের ক্যামেরা।

আপনার যদি কন্টেন্ট ইউনিক হয় তবে ভালো মানের ক্যামেরা না হলে ও চলবে।

টিকটক অডিয়েন্স

কন্টেন্ট এর পরের ধাপ হলো অডিয়েন্স। আপনার কন্টন্টটি মানুষের কাছে পৌছে দিন। এতে করে আপনার ভিডিওর ভিউ বাড়বে। এবং সহজেই র‌্যাংক হবে।

অডিয়েন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি কিছু টিপ্স ব্যবহার বা প্রয়োগ করতে পারেন যেমন ভিডিও আপলোডের সময় কিছু হ্যাসট্যাগ দিবেন

যেমন, #for_you, #fyp, # for_you_page, # tikitok_bd, #tiktok_india ইত্যাদি। এই হ্যাসট্যাগগুলো দেয়ার কারন হলো অনেক সময় ইউজাররা বিভিন্ন #ট্যাগ ব্রাউজ করে থাকে।

টিকটক ফলোয়ার

টিকটক ফলোয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ন। আপনার যদি অনেক টিকটক ফলোয়ার থাকে তবে আপনি ভিডিও আপলোড করার সাথে সাথে অনেক অডিয়েন্সের নিকট পৌছাতে পারবেন।

তবে, টিকটক ফলোয়ার পাওয়ার ক্ষেত্রে একটা টিপ্স হলো টিকটক একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে ফেসবুক দিয়ে সাইন আপ করবেন।

এতে করে আপনার যতগুলো ফেসবুক ফ্রেন্ড আছে তাদের সবাইকে সাজেশনে দেখতে পাবেন। এবং সেখানে আপনার ফলোয়ার বাড়ার সম্ভবনা আছে।

তাছাড়া আপনার যদি অন্যান্য স্যোশালে বেশি ফ্যান ফলোয়ার থাকে তবে আপনি সেখানে আপনার অডিয়েন্সের কাছে  লিংক শেয়ার করতে পারেন। এতে করেও আপনি অনেক ফলোয়ার পেতে পারেন।

অলওয়েজ একটিভ

টিকটক অফিশিয়ালি ভাবে বলে দিয়েছে ভেরিফাইয়েডের ক্ষেত্রে তারা অলওয়েজ এ্যাক্টিভ একাউন্টকে বিবেচনা করে।

তাহলে অলওয়েজ অ্যাক্টিভ কি? অলওয়েজ অ্যাক্টিভ এর মানে এই না যে আপনি সবসময় অনলাইনে থাকবেন বা থাকতে হবে।

অলওয়েজ অ্যাক্টিভ হলো আপনাকে টিকটকে নিয়মিত হতে হবে যেমন নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড। আপনাকে টিকটকে নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করতে হবে।

অডিয়েন্সের ফিডব্যাক দেখা। আপনার ভিউয়ার্সরা আপনাকে কেমন দেখতে চায় বা আপনার কেমন ভিডিও দেখতে চায় ইত্যাদি।

সবগুলো রুলস মানলে কি আমি টিকটক ভেরিফায়েড হবো বা নীল ব্যাজ পাবো? সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি অবশ্যই ভেরিফায়েড হবেন।

আবার দেখা যায় অনেক সংস্থা বা সাইট প্রতিস্রুতি দেয় তারা ভেরিফাই দিবে। এগুলো সব মিথ্যা আপনি যদি এই ফাঁদে পড়েন তবে আপনার সময় এবং টাকা সবই লস হবে। টিকটক অফিশিয়ালি ভেরিফায়েড দিয়ে থাকে।

অফিশিয়ালভালে টিকটক আইডি ভেরিফাই

টিকটক আইডি ভেরিফাই হয় মূলত অফিশিয়ালভাবে। সেখানে কিছু শর্ত থাকে। যেগুলো পূরণ হলে আপনাকে টিকটক নিজে থেকে ভেরিফাই দিবে।

চলুন প্রসেসটা জেনে নিই, একবারেই প্রথমে যা লাগবে তা হলো ৫ লাখ ফলোয়ার। মানে আপনার 500K ফলোয়ার হতে হবে।

৫ লাখ ফলোয়ার কিন্তু অনেক। তার জন্য আপনার হাই কোয়ালিটির কনটেন্ট হতে হবে। আর ভিডিও ভাইরাল করার উপায়গুলো জানতে হবে।

তাহলে আপনার ভিডিও যখন ভাইরাল হয়ে যাবে তখন, অনেক ভিউ পাবেন এবং অনেক ফলোয়ার পাবেন।

দ্বিতীয় প্রসেস, হলো আইনি জটিলতা। মানে আপনার কোনো আইনি ঝামেলা থাকতে পারবে না।

যেমন, আমরা সবাই জানি যে অপু ভাইকে একবার পুলিশ অ্যারেস্ট করেছে। এবং মামলাও হয়েছে। এইরকম কোনো ঝামেলা থাকলে আপনি টিকটক আইডি ভেরিফাই করতে পারবেন না।

সবকিছু ঠিক থাকলে কিভাবে টিকটক আইডি ভেরিফাই করবো?

দেখা যায় অনেকের সবকিছু ঠিক থাকে। যেমন ৫ লাখ ফলোয়ার এমনকি আইনি কোনো জটিলতাও থাকে না।

এখন, তারা কিভাবে টিকটক আইডি ভেরিফাই করবে? আমি আগেও বলেছি যে টিকটক অফিশিয়ালভাবে ভেরিফােই দিয়ে থাকে।

যখন আপনার সকল শর্ত পূরন হয়ে যাবে তখন, তারাই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

তার জন্য আপনার টিকটক আইডিতে আপনার প্রাইমারি ইমেইল বা জিমেইল এড করে রাখতে হবে। জিমেইল আইডি খোলার নিয়ম জেনে নিতে পারেন।

এরপরে আপনার যদি হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্ট থাকে তবে, তাও টিকটক আইডিতে যুক্ত করে নিবেন।

আইডিতে ইমেইল কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ যুক্ত করার কারণ হচ্ছে যখন আপনার সকল শর্ত পূরন হয়ে যাবে তখন, তারা আপনার সাথে কনটাক্ট করবে।

ব্যাস সব ঠিক থাকলে আপনার আইডি ভেরিফাই হয়ে যাবে। আর আরেকটা রিকুয়ারমেন্ট আছে যেটা আমি এখন আলোচনা করি নি।

আশা করি পরবর্তী আপডেটে আপনাদেরকে জানিয়ে দিবো। তাই আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

আর যাদের টিকটক আইডি ভেরিফাই সংক্রান্ত আরও কিছু জানার থাকে তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করে জেনে নিন। সেখানে কয়েকজন টিকটকার “টিকটক আইডি ভেরিফাই” নিয়ে কথা বলেছে।

লিংকটিতে যাওয়ার পর শুধুমাত্র তাদের কথােই বিশ্বাস করবেন যাদের টিকটক আইডি ভেরিফাই করা আছে। কারণ, অনেকেই টিকটক আইডি ভেরিফাই নিয়ে কথা বলে কিন্তু তাদের নিজেদের আইডিই ভেরিফাই করা নেই।

শেষ কথা:

টিকটকে ভেরিফায়ের ক্ষেত্রে যদি সত্যিকার অর্থে নীল ব্যাজ পেতে চান তবে আপনার কন্টেন্টের দিকে মনোযোগ দিন।

আর, আজকের আর্টিকেলটি মানে টিকটক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম আপনার কাছে কেমন লেগেছে?

ভালো কোয়ালিটির কন্টেন্ট তৈরি করেন তবেই ভেরিফাইয়েড পাবেন। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ

30 comments

  1. MH MEHEDI Reply

    আপনারা অনেকেই দেখি আইডি ভেরিফাই করতে চাচ্ছেন। আমি খুব শীগ্রই আরও তথ্য দিয়ে ব্লগটি আপডেট করে দিবো। ধন্যবাদ

  2. Unknown Reply

    এত কষ্ট করে ভিডিও বানাই ভিডিও ভাইরাল হয় না অনেক কিছু করেছি কিন্তু ভাইরাল হচ্ছি না আমাকে যদি হেল্প করেন খুশি হতাম অনেক

  3. MH MEHEDI Reply

    ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য। টিকটক ভিডিও ভাইরাল করার উপায় নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখেছি। দুই এক দিনের মধ্যে পাবলিশ করে দিবো। সাথেই থাকুন

  4. MH MEHEDI Reply

    Mdminha, আমি আপনার টিকটক আইডি দেখেছি। আপনার ভিডিও এখনো প্রফেশনাল হচ্ছে না।“ কিভাবে প্রফেশনাল টিকটক ভিডিও তৈরি করতে হয়” এই আর্টিকেল আমি লিখে রেখেছি। খুব শীগ্রই আপলোড করবো। সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ

  5. Unknown Reply

    আমার কলিজার প্রাণ প্রিয় ভাই আমি আপনার সাথে সব সময় থাকবো আমি আপনার দ্বিতীয় কথাটি শোনার আগ্রহই থাকব👈দয়া করে আমার আইডিটা দেখে আসবেন প্লিজ প্লিজ প্লিজ কলিজার ভাই,, দেখে বলবেন কি অবস্থা আমার টিকটক আইডি mdshahinvai198👈👈প্লিজ দেখবেন

  6. MH MEHEDI Reply

    ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য। আপনার আইডিটা দেখেছি, আপনার কনটেন্টও অনেক ভালো হয়। আপনি চালিয়ে যান। তবে, ভেরিফােই হতে অনেক সময় লাগবে। কারন আপনার লাইক এবং ফলোয়ার এর পরিমান অনেক কম। যেহেতু আপনার কনটেন্ট ভালো হয়, আশা করি রেগুলার ভিডিও করলে দ্রুতই ভেরিফায়েড হবেন।

  7. Unknown Reply

    ভাই অনেক আশা আছে ভাইরাল হবো কিন্তু লাইক কমেন্ট ভিউ আসে না এর কারন টা বললে ভালো হতো

  8. MH MEHEDI Reply

    আমাদের সাইটে টিককটক ভিডিও ভাইরাল করার কিছু উপায় উল্লেখ করা হয়েছে। তাই আপনি সেই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি আপনার উপকারে আসবে।

  9. MH MEHEDI Reply

    আপনার এখনো ফ্যান ফলোয়ার কম। আগে আপনার টিকটক ভিডিও ভাইরাল করতে হবে। “টিকটক ভিডিও ভাইরাল করার উপায়” নিয়ে আমি একটা আর্টিকেল লিখেছি। সেই আর্টিকেলটি পড়ে নিন। আপনার কাজে আসবে। ধন্যবাদ

  10. নামহীন Reply

    আমার আইডি ভেরিফাই করতে চাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *