আজকের এই পোস্টটি শুরু করার সাথে সাথে অনেকের কাছে হাস্যকর লাগতে পারে যে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় আছে নাকি?

বর্তমানে এমন অনেক ব্যবসা আইডিয়া আছে যেগুলো শুরু করতে কোনো প্রকার টাকা লাগে না। অনেকে বলে যে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় নেই। তবে আপনি আজকের আর্টিকেকলটি পড়লে বুঝতে পারবেন যে টাকা ছাড়া কিভাবে ব্যবসা করা যায়।

তবে আপনাদেরকে আমি একটা কথাই বলবো এখনও এমন কিছু আইডিয়া রয়েছে যেগুলোতে আপনার কোন প্রকার টাকা ইনভেস্ট করা লাগবে না।

আপনি যদি সঠিক স্ট্রাডেজি ফলো করেন তাহলে আপনি খুব ভালোভাবে সফল হতে পারবেন।

এবং আপনার শুরু করার ব্যবসা থেকে আপনি খুব ভালো রিটার্ন পাবেন।

আমার দেশ মানুষজন তেমন একটা ব্যবসা করতে চায় না। যার একটাই কারণ ব্যবসাতে অনেক ঝুঁকি রয়েছে।

এবং ভালো এক্সপার্ট না হলে ব্যবসাকে প্রচুর পরিমাণে লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই এত সব অস্থিরতা কাটিয়ে আপনি কিভাবে টাকা ছাড়াই একটি ব্যবসা শুরু করবেন সে ব্যাপারে আমার আজকের আলোচনা।

টাকা ছাড়া ব্যবসা করা বলতে কি বুঝায়?

আপনি যখন জানতে চাইছেন যে আপনি টাকা ছাড়া ব্যবসা করতে চান তাহলে আগে আপনাকে এতোটুকু জানতো যে ব্যাপারটি আসলে কি?

ব্যাপারটি হল আপনি এমন সব ব্যবসা করবেন যে ব্যবসা গুলো তো কোন পুঁজির প্রয়োজন হবে না।

এখানে আরেকটা কথা আছে সেটা হল পুঁজির প্রয়োজন হবে না বলতে কোন বড় অংকের পুঁজির প্রয়োজন হবে না।

তবে ছোটখাটো কিছু খরচ থাকতেই পারে। সেগুলোকে পুঁজি হিসেবে ধরা যায় না।

ঠিক এরকম অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলোতে মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন হয় না।

টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায়

এই ২০২৩ সালে এসে কেউ যদি আপনাকে বলে টাকা ছাড়া ব্যবসা করা যায় তাহলে আপনি তাকে ঠিক কি উত্তর দিবেন?

আসলে মূল কথা হচ্ছে আমাদের মাঝে অনেকের এমন সব ধারণা আছে যে টাকা ছাড়া কোন মতে ব্যবসা করা যায় না।

তবে তাদের কথায় যুক্তি আছে। যেমন আপনি যদি চান প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা আয় করতে তাহলে আপনাকে কিন্তু অবশ্যই আপনার ব্যবসায় পুঁজি ইনভেস্ট করতে হবে।

তবে আজকে আমি আপনাদের সাথে যে ব্যবসা গুলো নিয়ে আলোচনা করব অর্থাৎ যেগুলোতে আপনাদের কোন ইনভেস্ট লাগবে না সেগুলোতে আপনাদের শুধুমাত্র একটা পুঁজি লাগবে।

সেটা হল আপনাদের পরিচিতি। হয় অনলাইনে না হয় অফলাইনে যেভাবেই হোক আপনাদের অনেক পরিচিতি থাকতে হবে।

বর্তমানে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার শুধুমাত্র একটা কনসেপ্ট আছে। সেটা হচ্ছে থার্ড পার্টি।

আমি আপনাদেরকে আগে ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলি। থার্ড পার্টি বলতে কি এটা তো আমরা সবাই জানি, তাই না?

তাই অন্যদের মাঝে কোন কেনা বেচার মধ্যে যে মধ্যস্থতাকারী হয় সেই থার্ড পার্টি।

মনে করেন আপনি একটা ফ্রিজ কিনবেন। এখন আপনার হয়তো ফ্রিজ সম্পর্কে ভালো ধারণা নাও থাকতে পারে।

সেক্ষেত্রে আপনি আপনার পরিচিত কাউকে দিয়ে ওই ফ্রিজটি কেনালেন। এখন যে আপনাকে ফ্রিজটি কিনে দিয়েছে সেই হচ্ছে থার্ড পার্টি।

এভাবেই আপনি অন্যদের মাঝে মধ্যস্থতা কারী হয়ে এমন সব দার করাতে পারবেন যেগুলোর মূল্য কোটি কোটি টাকা।

টাকা থেকে আপনার লোভ লেগে যেতে পারে। তবে আপনার কোটি টাকার সম পরিমাণ পরিচিতি ও থাকতে হবে।

চলুন আপনাদেরকে পুরো ব্যাপারটি একটু একটু করে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

১. কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে যেকোনো ব্যবসা দাঁড় করানো।

কনটেন্ট রাইটিং বা কন্টেন্ট মার্কেটিং এমন একটা সেক্টর যেটা দিয়ে অনায়াসে অনেক বড় বড় ব্যবসা দাঁড় করানো সম্ভব।

আলোচনার মাঝে আপনাদেরকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে রাখি সেটা হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং এর পরবর্তী যতগুলো আলোচনা রয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে এই সবগুলো শুরু হবে কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে।

মানে আপনার যদি কন্টেন্ট রাইটিং স্কিলস বা আপনি যদি এই সেক্টরে থাকেন তাহলে পরবর্তী চারটি ব্যবসা আইডিয়া আপনার জন্য আরো সহজ হয়ে যাবে।

কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেটে অসংখ্য ইউজারের কাছে পৌঁছতে পারবেন।

সোজা কথা বলতে গেলে কন্টেন্ট রাইটিং হলেও লেখা লেখি।

আপনার যদি একটা ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেই ওয়েবসাইটে আপনি বিভিন্ন আর্টিকেল প্রকাশ করবেন। এটাই হল কন্টেন্ট রাইটিং।

এবং আপনার কনটেন্ট গুলোর টপিক অনুযায়ী যখন মানুষজন গুগলে সার্চ করবে তখন আপনার ওয়েবসাইটটিতে পৌঁছে যাবে।

ঠিক এরপর থেকেই শুরু হবে আপনার ব্যবসা।

মনে করেন আপনি একটা টপিক লিখলেন ৫ মিনিটের মধ্যে ফ্রী ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে।

এখন একজন ভিজিটর আপনার সাইটে এসেছে এবং আর্টিকেলটি পড়েছে।

স্বাভাবিকভাবে বলতে গেলে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে সাধারণত একটা ডোমেইন একটা থিম এবং একটি হোস্টিং সার্ভারের প্রয়োজন আছে।

আপনার যদি একটা ডোমেইন হোস্টিং এর ব্যবসা থাকে তাহলে আপনি আপনার ডোমেন হোস্টিং এর প্ল্যান (দাম) এর লিংক আর্টিকেলটিতে দিয়ে দিলেন।

এবার কেউ যদি আপনার পোস্টটি পড়ার পর ওই লিংকটি দেখে এবং ডোমেইন কিংবা হোস্টিং কেনার প্রয়োজন হয় তাহলে ওই লিংকে ক্লিক করে কিনতে পারবে।

এভাবেই আপনি কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে ডোমেইন হোস্টিং ব্যবসায় না, আপনি যেকোনো ধরনের যেকোন আকারের ই-কমার্স ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন।

২. টিউশন ব্যবসায় – টাকা ছাড়া ব্যবসা

বর্তমান সময়ে এই অনলাইনের যুগের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটা ক্যাটাগরি হচ্ছে টিউশন।

আমাদের বাসা বাড়িতে অনেক শিক্ষার্থী টিউশন করে থাকে। তারা কিভাবে করে?

তারা হয়তো স্টুডেন্টের বাসা বাড়িতে যায় এবং সেখানে তাদেরকে সময় অনুযায়ী পড়ায়।

এখানে তাদের কোন প্রকার খরচ নেই। তবে,

দেখা যায় যে বাসা বাড়িতে গিয়ে টিউশনি করাতে গেলে তেমন একটা লাভবান হওয়া যায় না।

হয় স্টুডেন্ট কম থাকে না হয় এমাউন্ট কম হয়ে থাকে।

এই সমস্যার সমাধানের জন্য একটা বিকল্প উপায় আছে।

যে উপায়ের মাধ্যমে শুধুমাত্র টিউশনি করিয়েই টিউশনিকে ব্যবসায় রূপান্তর করা সম্ভব।

আপনি যদি আপনার টিউশনিকে ব্যবসায় রূপান্তর করতে চান। এবং সে টিউশনিকে অনলাইন ভিত্তিক করতে চান তাহলে আপনাকে দুইটা উপায় ফলো করতে হবে।

প্রতমত, আপনাকে ফ্রি কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।

হয় আপনার একটা ওয়েবসাইট থাকতে হবে সেখানে নিয়মিত শিক্ষা বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশ করতে হবে।

আর না হয় আপনার একটা youtube চ্যানেল থাকতে হবে যেখানে শিক্ষা বিষয়ক ভিডিও আপলোড করতে হবে।

এভাবে যখন আপনার ওয়েবসাইটে কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে অনেক ভিউ হতে থাকবে অনেক শিক্ষার্থী আসতে থাকবে ঠিক ওই সময় আপনি আপনার টিউশনিকে কাজে লাগাতে পারেন।

সেক্ষেত্রে আপনি আপনার টিউশনিকে কাজে লাগানোর দুইটি উপায় পাবেন।

১, আপনি আপনার ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেলকে মনিটাইজ করে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

২, আপনি ওই সময় একটা পেইড কোর্স চালু করতে পারেন।

অথবা আপনি দুইটা উপায় একত্রে কাজে লাগাতে পারেন।

মানে আপনার ওয়েবসাইটে অথবা ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজ রাখবেন। পাশাপাশি পেইড কোর্স চালু করবেন।

এভাবে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধ হবে পাশাপাশি সেরা একটি টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় হিসেবে গণ্য হবে।

৩. রিয়েল এস্টেট এর মাধ্যমে লাখ টাকার ব্যবসা করার উপায়

আপনাকে যদি বলা হয় কোটি টাকার ব্যবসা কোনটি? তখন আপনি কি বলবেন?

আর আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় কোটি টাকার ব্যবসা কোনটি তাহলে আমি চোখ বন্ধ করে বলবো রিয়েল এস্টেট।

আচ্ছা যাইহোক, আমার অডিয়েন্স বা বিয়ার যারা রয়েছে তাদের অনেকেই রিয়েল এস্টেট ব্যাপারটি বুঝে না।

তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনাদের কি কোন থিওরি না বলে আমি যদি সংক্ষেপে বলতে যাই রিয়েল এস্টেট হলো জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অফিস ইত্যাদি কেনাবেচাকেই রিয়েল এস্টেট বলে।

এখন আমি যখন জমে কিংবা ভাইয়ের কথা বলেছি তখন অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে জমি কিংবা বাড়ে কিনতে তো অনেক টাকার প্রয়োজন হয়।

তাহলে আমি কেন এখানে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় এর মধ্যে রিয়েল এস্টেট এনেছি?

এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আপনাদেরকে বলি আমি শুরুতেই বলেছি যে আজকের যতগুলো টাকা ছাড়া ব্যবসার কথা বলেছি সবগুলোতে আপনি থাকবেন থার্ড পার্টি।

রিয়েল এস্টেস ব্যবসায়ের প্রসেস।

ধরুন আপনার এক বন্ধুর শহরে একটা দোকান বা মার্কেট আছে। এখন সে চাইছে দোকানটি বিক্রি করে দিতে।

আবার আপনার আরেক বন্ধু শহরে একটা দোকান কেনার জন্য হাঁটছে।

এখন আপনার যে বন্ধু দোকানটি বিক্রি করবে আর যে বন্ধুর দোকানটি কিনবে ওই দুজনের মধ্যে আপনি মধ্যস্থতাকারী হয়ে দোকানটি বিক্রি করে দিতে পারেন।

ঠিক এখানেই হচ্ছে আপনার রিয়েল এস্টেট এর ব্যবসা। এখন আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে যে আমি যে দোকানটি বিক্রি করে দিয়েছি আমার কি লাভ হয়েছে?

হ্যাঁ হয়েছে, এখানে আপনার যে বন্ধুর দোকানটি বিক্রি করে দিয়েছে আপনার তার চেয়েও বেশি লাভ হয়েছে।

যে দোকানটি বিক্রি করেছে সে প্রথমে দোকানটি নির্মাণ করেছে অনেক টাকা পুঁজি খাঁটিয়েছে।

কিন্তু আপনি কোন প্রকার পুঁজি ছাড়াই যখন আপনার অন্য বন্ধুর কাছে বিক্রি করেছেন তখন আপনার প্রথম বন্ধুদের দাম চেয়ে আপনি বেশি দামে ধরে বিক্রি করেছেন।

আপনাদেরকে আমি ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলছি, আপনার প্রথম বন্ধু যখন দোকানটি বিক্রি করতে চাইছে তখন সে আপনাকে এটা বলবে যে তুমি যদি আমার দোকানটি ভালো দামে বিক্রি করে দিতে পারো তাহলে আমি তোমাকে কমিশন দিব।

আবার অপরদিকে আপনার যে বন্ধু হতো দোকানটি কিনতে চাইছে সেও আপনাকে হয়তো বলতে পারে যে আপনি যদি তাকে দোকানটি নিয়ে দিতে পারেন আপনাকে কমিশন দিবে।

অথবা দুজনের একজনও যদি কমিশন না দেয় আপনি আপনার প্রথম বন্ধুর সাথে চুক্তি করতে পারেন।

যে আপনি আপনার প্রথম বন্ধুর দোকানটি বিক্রি করে দিবেন বিনিময়ে আপনার প্রথম বন্ধু আপনাকে একটা কমিশন দিতে হবে।

এভাবেই আপনি আপনার দ্বিতীয় বন্ধুর সাথে চুক্তি করতে পারেন।

এখন পর্যন্ত যতগুলো টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় রয়েছে সবগুলোর মধ্যে এটি শ্রেষ্ঠ উপায়।

৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এখন পর্যন্ত যতগুলো ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছি এর মধ্যে কিছু ব্যবসা ছোট এবং কিছু ব্যবসা বড়।

তবে এখন যে ব্যবসাটি নিয়ে আলোচনা করব অর্থাৎ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই ব্যবসাটি হচ্ছে মিডিয়াম।

এবং এই ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয় তাছাড়া খুব সহজে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।

এই ব্যবসাটির জন্য আপনার একটা ওয়েবসাইট অথবা একটা youtube চ্যানেল একটা ফেসবুক পেজ থাকতে হবে।

তবে এখনকার সময় ফেসবুক পেজ না থাকলেও চলে। কারণ এখন ফেসবুক প্রোফাইলটিকে প্রফেশনাল মোডে নিলেই হয়ে যায়।

আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে অথবা ফেসবুক পেইজে আপনার কনটেন্ট পাবলিশ করবেন তখন আপনি চাইলে অন্য কোন কোম্পানির কিছু প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন।

মানে ধরুন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে একটা কন্টেন্ট পাবলিশ করেছেন যেখানে উল্লেখ করেছেন “টিপি লিংক রাউটারের দাম” সম্পর্কে।

এখন ভিজিটররা যখন আপনার এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে জানতে আসবে কিংবা আর্টিকেলটি পড়তে আসবে তখন আপনি ওই পেজটিতে যে রাউটারের রিভিউ দিবেন ঐ রাউটার কেনার জন্য একটা লিংক দিয়ে দিতে পারেন।

এই লিংকটি আপনি পাবেন কোন বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে। যেমন রয়েছে দারাজ।

আপনি যদি দারাজে গিয়ে তাদের অ্যাফিলিয়েড প্রোগ্রামের রেজিস্ট্রেশন করেন তখন আপনি তাদের সাইটের প্রোডাক্ট গুলো আপনার মাধ্যমে বিক্রি করার অনুমতি পাবেন।

ঠিক তখনই আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যে রাউটার নিয়ে আলোচনা করবেন ওই রাউটারটি কেনার জন্য একটা লিংক এনে আপনার সেই আর্টিকেলে বসিয়ে দিবেন।

এতে করে কেউ যখন পড়তে আসবে তখন যদি সে রাউটারটি কিনতে চায় তাহলে আপনাদের লিংকে ক্লিক করে কিনলে আপনি একটা কমিশন পাবেন।

ঠিক এই প্রসেসের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং হয়ে থাকে।

৫. ড্রপশিপিং

বর্তমানে যে যত ব্যবসার কথাই বলুক না কেন বেশিরভাগ সময় মানুষজন চায় তারা ই-কমার্স ব্যবসা করবে।

কিন্তু তারা করে কি একটা ফেসবুক পেজ খুলে এবং বন্ধুবান্ধবদের ইনভাইট করে।

ব্যাস এতটুকুই! তারা আর সামনে এগোতে পারে না।

কিন্তু, আপনি চাইলে তাদের মত মাঝ পথে গিয়ে অফ না হয়ে কোন প্রকার পুঁজি ছাড়াই ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

কি বিশ্বাস হচ্ছে না তাইতো?

আপনি যদি ড্রপশিপিং নামটি শুনে থাকেন তাহলে আপনার বিশ্বাস হবে।

ড্রপ শিপিং হলো এমন একটা ব্যবসা যেটা কিছুটা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত।

মানে আপনার কোন প্রকার না থাকলেও আপনি অন্য কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট নিজের নামে করে বিক্রি করে সেখান থেকে কমিশন লাভ করতে পারেন।

তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কমিশন সাধারণত কোম্পানিগুলো দিয়ে থাকে।

আর এখানে আপনি কোম্পানি থেকে এক দামে কিনে কাস্টমারের কাছে অন্য দামে বিক্রি করতে পারেন।

তাহলে এখানে পুরো লাভটা আপনার উপর নির্ভর করে।

সেক্ষেত্রেও আপনার একটা ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেসবুক পেজ থাকতে হবে।

তবে সবচেয়ে সেরা হয় আপনি যদি একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করেন।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আপনি প্রোডাক্ট গুলো কোম্পানির ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে পারবেন।

কিন্তু ইউজাররা যখন প্রোডাক্টটি কিনতে চাইবে তখন সরাসরি আপনার ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারবে।

পরবর্তীতে সেই অর্ডারটি অটোমেটিক ভাবে কম্পিউটারের ওয়েবসাইট থেকে কেনা হয়ে যাবে।

এই ক্ষেত্রে কোম্পানির নির্দিষ্ট ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য প্লাগিন রয়েছে।

ড্রপ শিপিং ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনার কোন প্রকার পুঁজির প্রয়োজন হবে না।

এ ক্ষেত্রে পাওয়ার সুবিধা হচ্ছে আপনি যখন কাস্টমারের কাছ থেকে অর্ডার পাবেন তখনই অন্য কোম্পানি থেকে প্রোডাক্টটি কিনে তারপর বিক্রি করতে পারবেন।

FAQ: টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে

টাকা ছাড়া কি ব্যবসা করা যায়?

অবশ্যই যায়! এমন কিছু ব্যবসা আইডিয়া আছে যে ব্যবসা গুলো শুরু করতে কোন প্রকার টাকার প্রয়োজন হয় না। আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনি তা জানতে পারবেন

টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে শেষ কথাঃ

তোমার সময় অনেকে বলেছে টাকা ছাড়া ব্যবসা করা যায় না। কিংবা ব্যবসা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়।

যা আমি বলব আপনার যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনার টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় আছে।

ঠিক এই টপিক নিয়েই আমাদের আজকের পুরো আলোচনা। আশা করি আলোচনাটি আপনার ভালো লাগবে।

যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবের কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ!

অন্যান্য ব্যবসা আইডিয়াঃ