বর্তমানে এমন কিছু উপায় আছে যেগুলো কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বসে মাসে হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আমাদের আজকের আলোচনা টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে এবং প্রোপার আইডিয়া কাজে লাগিয়ে।

প্রতিনিয়ত মানুষজন গুগলে সার্চ করতে থাকে যে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে কি কি? কিংবা টাকা ইনকাম করার উপায় ইত্যাদি।
এমনকি অনেককগুলো সোর্সও জানা যায়। যেগুলোতে সবার দ্বারা হয় না। তাই আজকে রিসোর্স এবং ইউনিক কিছু আইডিয়া শেয়ার করবো।
যেগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশে বসে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে চলুন বিস্তারিত জানা যাক।
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
এখনকার সময়েও বাংলাদেশে বসে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেক হয়তো বলবে বাংলাদেশে তেমন কোনো ইনকাম সোর্স নেই।
তাদেরকে বলছি! আজকের ব্লগটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে আপনিও বাংলাদেশে থেকেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে কোন চাকরি-বাকরি না করেই! অর্থাৎ, আপনি বাংলাদেশে বসে টাকা তো ইনকাম করতে পারবেনই, এমনকি কোনো প্রকার চাকরি করা ছাড়াই।
তাহলে চলুন জেনে নিই কিভাবে বাংলাদেশে বসে আপনি আমি টাকা ইনকাম করতে পারি।
ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করার কথা শুনে অবাক লাগছে, তাই না? কি ব্যবসা করবেন? কিভাবে ব্যববসা করবেন? কোন ব্যবসাতে সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন!
আসলে, উপরের প্রতিটা প্রশ্নই যৌক্তিক। কারণ, এখনকার সময়ে ব্যবসাতেও অনেক প্রতিযোগীতা দেখা যায়।
কিন্তু, ভার্চুয়াল ব্যবসাতে তেমন প্রতিযোগীতা নেই। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, আমি কিসের কথা বলছি।
হ্যাঁ, আমি অনলাইন ব্যবসার কথাই বলছি। আপনি কোন কোন অনলাইন ব্যবসা করে বাংলাদেশে বসেই টাকা আয় করতে পারবেন।
টি-শার্ট এর ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করুনঃ
ভালো কোয়ালিটির blank টি-শার্ট কিনে সেগুলোতে আনকমন এবং ইউনিক ডিজাইন করে বিক্রয় করার মাধ্যমে ভালো পরিমানে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনি হয়তো ফেসবুকে গেলে দেখবেন যে অনেক সুন্দর এবং ভালো ডিজাইনের টি শার্ট সবসময় বিক্রয় হয়ে থাকে।
এবং আপনার আশে-পাশের মানুষজনও অনলাইন থেকে টি-শার্ট অর্ডার করছে। এরকম আপনিও ভালো কোয়ালিটির টি শার্ট কিনে এবং ডিজাইন করে অনলাইনে ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন।
এখন কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে অনলাইনে টি-শার্ট এর ব্যবসা শুরু করবেন। চিন্তার কোনো কারণ নেই!
আমি আপনাকে গাইড করবো, পুরোপুরিভাবে একটি টি-শার্ট এর ব্যবসা শুরু করার সকল গাইড এখন জানতে পারবেন।
বলতে পারেন যে, টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে-র একমাত্র জনপ্রিয় একটি ক্যাটাগরি হলো টি-শার্ট বিক্রি।

১. blank টি-শার্ট কিনুন।
blank টি-শার্ট বলতে একটি খালি এবং ডিজাইন ছাড়া টি-শার্ট। মানে, টি-শার্টটিতে আগে থেকে কোনো ডিজাইন থাকবে না।
আপনার ব্যবসায়ের পরিধি অনুযাী আপনি টি-শার্ট কিনবেন। যেমনঃ আপনি ছোট-খাটো ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি ১০০টি blank টি-শার্ট কিনতে পারেন।
টি-শার্ট গুলো আপনাকে অবশ্যই পাইকারি দরে কিনতে হবে। কারণ আপনি এই টি-শার্ট গুলো কিনে আবার বিক্রি করবেন।
তাহলে আপনি যদি বেশি দামে কিনেন তাহলে বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। আর, বেশি দামে বিক্রি করতে গেলে তেমন কেউ কিনবে না।
এদিকে বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করতে গেলে আপনার ব্যবসায় লস হবে। এতে করে আপনি আর ব্যবসা করতে পারবেন না।
মনে রাখবেন, যত কম দামে কিনতে পারবেন তত বেশি লাভের আশা থাকবে। আপনি শুরুতেই খরচ নিয়ন্ত্রনে রাখলে আপনার ব্যবসায় বেশি লাভের সুযোগ থাকবে।
২. টি-শার্ট গুলোতে ডিজাইন করুন।
যখন আপনি একটি blank টি-শার্ট কিনবেন তখন সেই টি শার্টের উপর হরেক রকমের ডিজাইন করতে পারবেন।
এবং প্রতিটা টি-শার্টে একটি করে ইউনিক ডিজাইন করবেন। যাতে করে ক্রেতারা টি-শার্টটি দেখা মাত্রই কিনতে মনে চায়।
আপনার ডিজাইন করা টি-শার্টগুলো যত ভালো এবং সুন্দর ডিজাইন হবে ততই বিক্রির সম্ভাবনা থাকবে।
অর্থাৎ, আপনাকে কিছু ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে হবে। যাতে করে আপনার যত প্রতিযোগী আছে তাদের সবার আগে থাকতে পারেন।
এজন্য অবশ্যই ভালো ডিজাইন হতে হবে। কারণ, বর্তমানে ভালো ডিজাইনের কারণেই টি-শার্ট বেশি বিক্রি হয়।
ভালো ডিজাইন করার জন্য একজন টি-শার্ট ডিজাইনারকে আপনার ব্যবসাতে নিয়োগ দিতে পারেন।
অথবা, একজন টি-শার্ট ডিজাইনারের সাথে পার্টনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আর, বর্তমানে এসব ব্যবসাতে একজনে অনেক দ্বায়িত্বে থাকে। যেমন ডিজাইন এবং পেজ ম্যানেজমেন্ট।
সেজন্য আপনি নিজেও টি-শার্ট ডিজাইন করতে পারবেন। বর্তমানে অনেগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে নিজের পছন্দমতো টি শার্ট ডিজাইন করা যায়।
সেরকম কয়েকটি সাইটের মধ্যে জনপ্রিয় একটি সাইট হলো 99 ডিজাইন. এই সাইটটিতে অনেক ঝামেলা আছে।
তাই সাইটের লিংক শেয়ার করি নি। বর্তমানে জনপ্রিয় এবং ফ্রিতে টি-শার্ট ডিজাইন করার সাইট হচ্ছে ক্যানভা ওয়েবসাইট।
সাইটটিতে ফ্রিতে অনেকগুলো রেডি ডিজাইন করা টেম্পলেট পেয়ে যাবেন। যেগুলো দিয়ে আপনার ব্যাসিক ডিজাইন হয়ে যাবেন।
ক্যানভা’র হোম পেজে গিয়ে সার্চ বারে t-shirt design লিখে সার্চ করলেই হবে।
এডভান্স টি-শার্ট ডিজাইন করার জন্য নিচের লিংকটি চেক করুন। এবং সেখানে টি-শার্ট ডিজাইন এর বিস্তারিত বলা আছে।
৩. টি-শার্ট বিক্রয় করুন।
যখন আপনার টি-শার্ট কেনা এবং এরপর ডিজাইন করা হয়ে যাবে এখন টি-শার্টগুলোকে মানুষের নিকট পেীঁছে দিতে হবে।
অর্থাৎ, ক্রেতাদের কাছে আপনার টি-শার্টগুলো বিক্রয় করতে হবে। টি-শার্ট গুলো বিক্রয়ের সেরা এবং জনপ্রিয় দুটি মাধ্যম রয়েছে।
- স্যোশাল মিডিয়াতে বিক্রয় (ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, ইনস্টগ্রাম, টিকটক ইত্যাদি)
- ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
1. স্যোশাল মিডিয়ায় টি-শার্ট বিক্রয় করুন
আপনার বানানো টি-শার্টগুলো বিক্রি করার জন্য সেরা মাধ্যম হবে স্যোশাল মিডিয়া মাধ্যমটি। আপনি সহজেই একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন।
এবং পেজে একটা প্রোডাক্ট টেম্পলেট দিয়ে সেট করে নিবেন। তারপর আপনার তৈরি করা সকল প্রোডাক্ট আপলোড করবেন।
এবার আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হলো প্রমোশন বা মার্কেটিং। এর জন্য একটা ক্যাম্পেইন রান করবেন।
পুরো ব্যাপারটি না বুঝে থাকলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যোগাযোগ করার লিংক।
2. ওয়েবসাইটেরর মাধ্যমে টি-শার্ট বিক্রয় করুন।
একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে সেখানে সকল প্রকার টি-শার্ট বিক্রয় করতে পারবেন। এর জন্য প্রয়োজন একটা ওয়েবসাইট।
এরপর সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং করে আপনার টি-শার্ট এর প্রোডাক্টগুলো গুগলে র্যাংক করাবেন। ব্যাস! তাহলেই হলো।
স্যোশাল মিডিয়াতে যেমন বেশি বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে তেমনি ওয়েবসােইটে ঠিকমতো সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং করতে পারলেও অনেক টি-শার্ট বিক্রি করতে পারবেন।
গুগলে “টি-শার্ট” শব্দটার উপর প্রতি মাসে ১,০০০ থেকে ১০,০০০ বার সার্চ হয়ে থাকে। তাই এখানে বিক্রি করার একটা বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।

তাই আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে বাংলাদেশে বসে সহজেই মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করবেন শুধুমাত্র টি-শার্ট এর ব্যবসা করে।
এবং কিভাবে ব্যবসাটি শুরু করবেন তারও বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছি। আশা করি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে রয়েছে।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশেঃ
ডিজিটাল প্রোডাক্ট হলো এনম একটি প্রোডাক্ট যেটা অনলাইনে বেচা কেনা হয়। যেটার কোনো অস্তিত্ব নেই।
কিংবা হাত দিয়ে ছোঁয়া যায় না। ডিজিটাল প্রোডাক্টের স্বাধ কিংবা গন্ধ অনুভব করা যায় না। ডিজিটাল প্রোডাক্টের কয়েকটি উদাহরণ:

যেমনঃ কোর্স, ই-বুক, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, ওয়েব এলিমেন্ট, রিসার্চ এবং ডাটা, টিউটোরিয়াল এবং গাইড,সফটওয়্যার প্রোগ্রাম___সূত্র: kajabi
ডিজিটাল প্রোডাক্টগুলোতে দোকানের ঝামেলা থাকে না। যেকোনো যায়গা থেকে গ্রাহকরা তা কিনতে পারে।
এবং সাথে সাথে প্রোডাক্ট কিনতে পারে। মানে সাথে সাথে ডেরিভারি দেয়া যায়। ডিজিটাল প্রোডাক্ট ডেলিভার করতে কোনো ঝামেলা নেই।
তাই এখনকার সময়ে মানুষজন ধীরে ধীরে ডিজিটাল প্রোডাক্টে অব্যস্ত হওয়াতে ক্রমান্বয়ে ডিজিটাল প্রোডাক্টের চাহিদা বাড়ছে।
আমাদের দেশে মাত্র ডিজিটাল প্রোডাক্টে যাত্রা শুরু হয়েছে। তাই এই সুযোগে ডিজিটাল প্রোডাক্টের ব্যবসা করে সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তাও আবার বাংলাদেশে বসেই। মানে বাংলাদেশে বসেও আপনি বাহিরের দেশগুলোতে ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন।
এবং এখন পর্যন্ত টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে সেরা রয়েছে ডিজিটাল প্রোডাক্ট ক্যাটাগরিটি।
সেরা থাকারও অনেক কারণ রয়েছে। যেমন ব্যবসা শুরুতে ঝামেলা কম। প্রোডাক্ট বিক্রিতেও ঝামেলা কম।
বিক্রি করার পর পেমেন্ট নিয়েও চিন্তা করতে হয় না। কারণ, ডিজিটাল প্রোডাক্টে আগে পেমেন্ট নেয়া হয়।
সব মিলিয়ে ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর ব্যবসা একটা পার্ফেক্ট ব্যবসা আইডিয়া। এবং বাংলাদেশের মধ্যে ঘরে বসে সহজেই হাজার হাজার টাকা আয় করার সেরা একটি আইডিয়া।
তাহলে চলুন জেনে নিই কিভাবে ডিজটাল প্রোডাক্ট এর ব্যবসা শুরু করে লাখপতি হবেন। কেস স্টাডি এবং রিসার্চ এর সূত্র সহ জানতে পারবেন।
১. কোর্স বিক্রি করে টাকা আয় করুন
একটি অনলাইন কোর্স হলো একটি ইন-ক্লাস রুমের মতো। ইন-ক্লাস রুম মানে হলো ক্লাসের ভেতরে পড়াশুনা করা।
অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে পাঠ্য অনুশীলন, ভিডিও এবং অডিও’র মাধ্যমে শেখানো। এখন, আপনি হয়তো বলতে পারেন যে এখানে আপনি কিভাবে টাকা আয় করবেন!
প্রতিটা মানুষের ভিন্ন কিছু দক্ষতা থাকে। যে দক্ষতা একজনের সাথে আরেক জনের খুব একটা মিল থাকে না।
মানে হলো, আমি এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট খুব ভালো করে লিখতে পারি। আবার, আমার মতো আরেকজনও এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লিখতে পারে।
কিন্তু, তার রিসোর্স এবং আমার রিসোর্স তেমন এককটা মিলবে না। হয়তোবা আমারটা ভালো হবে, নইলে তার টা ভালো হবে। কিন্তু তাতে কোনো সমস্যা নেই।
এখানে কথা হচ্ছে আমি চাইলে এখন একটা ভালো মানের কোর্স করাতে পারি। ঠিক এরকম আপনারও কিছু দক্ষতা আছে যেগুলোকে আপনি কোর্স আকারে তৈরি করতে পারেন।
এবার আসুন মূল পয়েন্টে: কিভাবে আমি সেই কোর্স বিক্রি করবো? প্রথমেই আপনার মনে এরকম প্রশ্ন আসবে।
আপনাকে প্রথমে হাই কোয়ালিটির একটি কোর্স তৈরি করতে হবে। এবং প্রফেশনালমানের এডিট করতে হবে।
প্রো টিপসঃ আপনার কোর্সটিকে ভালো মানের হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য অনেক রিসোর্স যুক্ত করুন। এবং অডিও ভিডিও কোয়ালিটিতে মনোযোগ দিন।
এরপর কোর্সটি রেডি হয়ে গেলে ওয়েবসাইটে আপলোড দিবেন এবং কোর্সের একটা দাম নির্ধারণ করে দিবেন।
তারপর আপনি চাইলে ফেসবুকে মার্কেটিং করতে পারেন। এবং স্যোশাল মিডিয়ার মানুষকে আপনার কোর্সের কথা জানিয়ে দিবেন।
তবে, টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে-র মধ্যে কোর্স বিক্রিতে নেই। আছে, যদি আপনার ভালো ব্র্যান্ডিং থাকে।
২. ফটোগ্রাফি করে টাকা আয় করুন
একেবারে হালকা এবং ক্রিয়েটিভিটির একটি কাজ হলো ফটোগ্রাফি। প্রকৃতি কিংবো কোনো বস্তু অথবা আসেপাশের যেকোনো কিছুর ফটো তোলাই হলো ফটোগ্রাফি।
মানুষজন তাদের ক্রিয়েটিভিটিকে কাজে লাগিয়ে এমন কিছু ফটো তোলে যেগুলো দেখতে খুবই মনোমুগ্ধধকর লাগে।
আর, এমনও কিছু ফটো আছে যেগুলোর দাম মিলিয়ন ডলারেরও উপরে। এবং বড় বড় সংস্থা সেই ফটোগুলো কেনার জন্য রেডি হয়ে আছে।
পিটার লিকের ফ্যান্টম ছবি অভূতপূর্ব $6.5 মিলিয়নে বিক্রি হয়েছিল এবং এটি ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি।_সূত্র: Time Magazine
এছাড়াও মাঝে মাঝে অনেক ইভেন্ট দেখা যায় যেগুলোতে বলা হয় সেরা ফটোগ্রাফারকে “নির্দিষ্টি ক্যাটাগরি উল্লেখ করে দেয়” পুরষ্কৃত করা হবে।
বিয়ে বাড়ি কিংবা স্পেশাল ইভেন্টগুলোতে ফটোগ্রাফার হায়ার করে আনা হয়। তাই আপনি অনলাইনে কিংবা অফলাইনে ফটোগ্রাফি করে টাকা আয় করতে পারবেন।
এর এই ফটোগ্রাফি সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্রোডাক্টের অন্তর্ভূক্ত। তাই আপনার ফটো গুলো বিক্রি জন্য তেমন চিন্তা করতে হবে না।
নোটঃ এই ক্যাটাগরিতে শুধু আপনি নেই। যেহেতু এটা ডিজিটাল প্রোডাক্ট তাই সারা বিশ্বের মানুষ নিজ অবস্থান থেকে ফটোগ্রাফি করে যাচ্ছে।
তাই আপনাকেও প্রফেশনালমানের ফটোগ্রাফার হতে হবে। এজন্য একটা ফটোগ্রাফি কোর্স করতে পারেন।
অনেককে বলতে দেখা যায় যে, ফটোগ্রাফি করে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে নাই।
অর্থাৎ, বাংলাদেশের মধ্যে ফটোগ্রাফি করে এতো আয় করা যায় না। এটা কথা ঠিক! কিন্তু ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলেও অনেক টাকা আয় করা যায়।
আবার লোগো ডিজাইন করেও ভালো পরিমানে টাকা আয় করা যায়। যেটা গ্রাফিক্স ডিজাইনের অন্তর্ভূক্ত। আবার গ্রাফিক্স ডিজাইনটা ডিজিটাল প্রোডাক্টের অন্তর্ভূক্ত।
৩. মিউজিক করে টাকা আয়
আমাদের দেশে অনেক মিউজিশিয়ান আছে যারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে টিকতে পারে না। মানে তারা এতো ভালো পারফর্ম করতে পারে না।
ফলে তাদের মিউজিক শেখাটাই বৃথা হয়ে যায়। এবং এই সেক্টরে তেমন কিছুই করতে পারে না।
তাদের জন্য সবচেয়ে কার্যকর হবে ডিজিটালি মিউজিক করা। তাহলে আর কারো সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হবে না।
যদিও আমাদের দেশে মিউজিসিয়ান কম, তবুও যারা আছে তাদের জন্য এই টিপস-টি কাজে লাগবে।
সেক্ষেত্রে মিউজিশিয়ানরা চাইলে তাদের মিউজিক এবং লিরিক্স গুলো তৈরি করে বিভিন্ন সাইটে প্রিমিয়াম প্যাকেজ হিসেবে বিক্রি করতে পারে।
যেমন এনভাতো নামের সাইটটি প্রায় অনেকেই চিনে বা জানে। সেই সাইটের একটা ক্যাটাগরি আছে যেখানে বিভিন্ন মিউজিক কেনা বেচা হয়ে থাকে।
এই লিংকে ক্লিক করলে আপনি এনভাতোর সেই সাইটে যেতে পারবেন। এবং দেখবেন যে সেখানে অনেকগুলো অডিও লিরিক্স দেয়া আছে।
এছাড়াও আমি আরো কিছু ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর নাম উল্লেখ করেছি। যেমনঃ ওয়েব এলিমেন্ট, রিসার্স এবং ডাটা, টিউটোরিয়াল এবং গাইড, সফটওয়্যার প্রোগ্রাম ইত্যাদি।
এগুলো নিয়ে আমি আর আলোচনা করব না। কারণ, এগুলো কিছুটা কঠিন ব্যাপার। যেমনঃ ওয়েব এলিমেন্ট এবং সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যে কারো দিয়ে হবে না।
আবার রিসার্স এবং ডাটা এর কাজ করতে গেলে আপনাকে প্রফেশনালমানের হতে হবে। এবং অনেক অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে সাথে অনেক রেফারেন্সও লাগবে।
তাই এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা করব না। এবার আমরা অন্য আলোচনায় চলে যাবো যেগুলোতে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সার হয়ে বাংলাদেশে বসে টাকা আয় করুন

বাংলাদেশের মধ্যে জনপ্রিয় এবং আলোচিত একটি ইনকাম সোর্স হলো ফ্রিল্যান্সিং। এই জগতে কেউ মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছে।
আবার, কেউ শুরু করেও কোনো টাকা আয় করতে পারে নি। যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেও সফল হন নি কিংবা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাদের জন্য নিচে উল্লেখ করা প্রতিটা টিপস এবং আইডিয়া কাজে লাগবে।
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে সবচেয়ে আগ্রহের একটি প্রশ্ন হলো ফ্রিল্যান্সিং বস্তুটা কি?
আসলে আমাদের দেশে এমন একটা নীতি-নৈতিকতা দেখা যায় যে কেউ যদি কোনো সেক্টরে ভালো করে কিংবা ঔ সেক্টরে থাকে তাহলে সেই সেক্টরের অভ্যন্তরীণ কোনো কথা বাহিরের কারো সাথে শেয়ার করে না।
নইলে আজকে আমাকে এই প্রশ্নটার উত্তর দিতে হতো না যে ফ্রিল্যান্সিং কি? যাইহোক!
ফ্রিল্যান্সিং হলো ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে কোন কাজকে সম্পাদন করাকে বুঝায়।
মানে আপনি কোনো কাজ জানেন এবং সেই কাজটুকুকে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করে দেয়াকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। নিচের লিংক থেকে আরও বিস্তারিত জেনে নিন।
আপনি ফ্রিল্যান্সিংকে যেভাবেই বুঝেন এর আসল কাহিনী হলো কোনো কাজের দক্ষতা। মানে আপনাকে বাস্তবজগতের কোনো কাজ জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কি কি কাজ হয় বা মানুষজন কোন কাজের উপর ফ্রিল্যান্সিং করে তা নিচের লিংক থেকে জানতে পারবেন।
যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন তখন আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজ করে টাকা ইনকাম করবেন।
ব্লগিং এবং কনটেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে রয়েছে।
আপনি যদি কম কষ্টে এবং দ্রুত সময়ে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে খুঁজে থাকেন তাহলে ব্লগিং করা কিংবা কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করা আপনার জন্য সেরা হবে।
কারণ, আপনি চাইলে সহজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এবং নিজে নিজে কনটেন্ট লেখা শুরু করতে পারবেন।
এরপর অন্য কারো সাইটেও কনটেন্ট লিখতে পারবেন। যেটাকে গেস্ট রাইটিং বলা হয়। ব্লগিং শুরু করার জন্য আপনাকে দুইটা স্টেপ ফলো করলেই হবে।
- একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা
- কনটেন্ট বা আর্টিকেল লেখা
১. ওয়েবসাইট তৈরি করুন
ব্লগিং করার জন্য শুরুতে প্রয়োজন একটা ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট তৈরি করার কারণ হচ্ছে আপনি যখন আপনার কনটেন্টগুলো লিখবেন তখন সেগুলোকে অনলাইনে পাবলিশ করতে হবে।
আর, অনলাইনে পোস্ট পাবলিশ করার জন্য দরকার হবে একটি ওয়েবসাইটের।
ওয়েবসাইট সাধারণ দুইভাবে তৈরি করা যায়। এবং কোনো প্ল্যাটফর্মে ফ্রি আবার কোনো প্ল্যাটফর্মে টাকা খরচ করা লাগে।
ওয়েবসাইট তৈরি করার প্ল্যাটফ
- blogger
- wordpress
উপরে যে দুটির কথা বলেছি এর মধ্যে প্রথমটা মানে blogger দিয়ে ফ্রিতেও ওয়েবসাইট বানানো যায়। আবার blogger প্ল্যাটফর্মে কেউ চাইলে টাকা খরচ করতে পারে।
এদিকে, ওয়ার্ডপ্রেস খুবই জনপ্রিয়। এবং ওয়ার্ডপ্রেসে প্রতি মাসে 409 মিলিয়ন ইউজারে 20 বিলিয়ন এরও বেশি পেজ ভিউ করে থাকে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ওয়ার্ডপ্রেস কেমন জনপ্রিয় আর কেমন ব্লগাররা ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকে।
তাই আপনি ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা ব্লগার যেকোনো একটা দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। দুইটা সাইটের লিংক: wordpress.org , blogger.com
২. আর্টিকেল পাবলিশ করুন
আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি হয়ে গেলে পরবর্তী কাজ হবে আর্টিকেল বা কনটেন্ট লিখা। এবং সেই কনটেন্ট পাবলিশ করা।
আর্টিকেল লিখার কিছু নিয়ম কানুন আছে। যেগুলো এই ব্লগে লিখলে অনেক বেশি হয়ে যাবে। তাই আপনি কোনো টিউটোরিয়াল দেখে নিবেন।
অথবা, অল্প কিছুুদিন অপেক্ষা করুন। আমি খুব শীগ্রই “আর্টিকেল লিখার কৌশল” নিয়ে একটা নিবন্ধন পাবলিশ করবো।
তাই সাথেই থাকুন। আশা করি এই সাইট থেকে আপনি অনেক কিছু শিখতে এবং জানতে পারবেন।
ইউটিউবিং করে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
কোনো রকম ভারি পুঁজি ছাড়াই ভিডিও শুট করে সহজেই ইউটিউবে টাকা আয় করতে পারবেন। যেটা একনকার সময়ে খুব জনপ্রিয়।
এখানে ভারি পুঁজি বলতে বেশি টাকা পয়সা। যেহেতু ভারি পুঁজি লাগছে না মানে বেশি টাকা পয়সা লাগবে না।
তবে, ইউটিউবে এক দুই দিনে কিংবা এক দুই মাসে সফল হওয়া যায় না। এক দুই বছর ও লেগে যায়। আবার একবার সফল হলে আপনাকে আর অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে হবে না।
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে রয়েছে। এবং ইউটিউবিং এর বাস্তব উদাহরণ। আপনাকে শুধুমাত্র একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে।
ইউটিউবে সফল হবার গাইডলাইনঃ
ইউটিউবে প্রথম এবং মৌলিক কাজ হচ্ছে ভিডিও আপলোড করা। ভিডিও আপলোড করার আগে বেশ কিছু টেকনিক ফলো করলে দ্রুত সফল হতে পারবেন।
- ভয়েস কোয়ালিটির দিকে মনোযোগ দিন
- আপনার চ্যানেলের ব্র্যান্ডিং কাস্টমাইজ করুন
- স্টুডিও (Studio) সেটআপ করুন
- ইউটিউবের রুলস ফলো করুন।
উপরের প্রতিটা কাজের প্রতি মনোযোগ দিন যখন আপনার ভিডিওগুলো আপলোড করবেন। তাহলে দ্রুত মনিটাইজ এর শর্ত পূরণ করতে পারবেন।
এখানে ব্র্যান্ডিং কাস্টমাইজ এর একটা অংশ হলো ইউটিউব লোগো। মানে আপনার চ্যানেলের লোগো।
প্রতিটা ক্যাটাগরি নিয়ে “ইউটিউবে সফল হবার গাইডলাইন” এর বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করবো। আশা করি খুব শীগ্রই পেয়ে যাবেন। সাথেই থাকুন।
FAQ about টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করা। এছাড়াও আরও সহজ ৫টি উপায় রয়েছে যেগুলো দিয়ে টাকা আয় করা যায়। এবং সেই ৫টি উপায় এখানে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে।
শেষ কথাঃ
এখানে যে ইনকাম সোর্সগুলোর কথা বলেছি তার সবগুলোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে রয়েছে।
আপনি শুধুমাত্র আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে সবকিছুর পরিষ্কার ধারণা পাবেন। ধন্যবাদ!