আপনার কি এমন কোনো জমি আছে যে জমির খতিয়ান বের করা প্রয়োজন? তাহলে জেনে নিন জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম কানুন গুলো। কিভাবে আপনার জমির খতিয়ান বের করবেন!

এমনকি আপনি ঘরে বসেই আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েই আপনি জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার কোন দালালদের প্রয়োজন নেই।
আজকে আমি খুবই সহজ ভাবে আপনাদের জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম গুলো দেখাবো।
যার মাধ্যমে আপনি এখনই আপনার জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন।
জমির খতিয়ান বের করার সময় আপনার যদি খতিয়ান নম্বর, এমনকি কোনো কিছুই জানা না থাকে তবু আপনি জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র নাম দিয়ে জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন। যার নামে জমি খতিয়ানটি বের করতে চান তার শুধু নাম হলেই হবে।
শুধু তাই নয় আপনি চাইলেই ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন করে খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি ও কিন্তু পেতে পারেন।
যেটা অনেক কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। বাংলাদেশ গভমেন্ট এমন একটা প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছেন।
যার সাহায্যে কিন্তু আমরা এই ফ্যাসিলিটিজ গুলো পেতে পারেন।
তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আপনাদেরকে দেখাবো কিভাবে জমির খতিয়ান দেখবেন।
কার নামে কত শতাংশ জমি আছে সেটা বের করে সার্টিফাইড কপি ও পেতে পারেন।
জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম
প্রথমে আপনার হাতে থাকা মোবাইলটা দিয়ে ক্রোম ব্রাউজারে চলে যাবেন।
এরপরে সার্চ বারে গিয়ে ই-পর্চা (E-Porcha) লিখে সার্চ দিবেন।
একেবারে প্রথমে রেজাল্ট চলে আসবে ই-পর্চা নামে একটি সাইট।
এটা একটি সরকারি ওয়েবসাইট। সরাসরি সেই সাইটে চলে যাবেন।
[ ফটো]
সাইটটি ওপেন হওয়ার পর আপনারা একটু নিচে স্ক্রল করবেন।
এবং একটু নিচে খতিয়ান নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন।
আপনাকে সেই অপশনটিতে “খতিয়ান” ক্লিক করতে হবে।
এবারও ক্লিক করার পর একটু নিচে স্ক্রল করবেন, এবং খতিয়ান আবেদন ফরমটি পেয়ে যাবেন।
অনলাইন খতিয়ান বের করতে হলে আপনাকে জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। যার সকল নিয়মগুলো এখানে।
মানে এই ফরমটি আপনাকে সঠিকভাবে ফিলাপ করতে হবে।
এবং এই ফরম পূরণ করার মাধ্যমে আপনি অনলাইন খতিয়ান পেয়ে যাবেন।
তাহলে চলুন আমরা খতিয়ান অনলাইন আবেদন এর ফরম পূরণ গুলো জেনে নিই।
জমির খতিয়ান চেক
খতিয়ান অনলাইন আবেদন ফরমের একেবারে সর্বপ্রথম রয়েছে বিভাগ নির্বাচন করা।
মানে আপনি যে জমির খতিয়ান বের করতে চান সে জমি কোন বিভাগে রয়েছে।
আপনার নির্দিষ্ট বিভাগটি সিলেক্ট করার পর আসবে জেলা নির্বাচন করা।
আপনার নির্বাচন করার বিভাগের মধ্যে কোন জেলাতে অবস্থিত রয়েছে জমিটি।
আপনি আপনার জেলা টি সিলেক্ট করে নিবেন। জেলা সিলেক্ট করার পর আছে খতিয়ান টাইপ নির্বাচন।
নির্বাচনে পাঁচটি অপশন রয়েছে: বিএস, সিএস, বিআরএস, আর এস, এস এ।
এখানে আপনার যেটা প্রয়োজন সেটা সিলেক্ট করে নিবেন। এরপর উপজেলা নির্বাচন করতে হবে।
আপনারা যে উপজেলায় আছেন সে উপজেলাটি সিলেট করবেন।
এরপর মৌজা সিলেট করবেন। মৌজা সিলেট করার ক্ষেত্রে যারা মোবাইল দিয়ে খতিয়ান বের করার চেষ্টা করছেন, তাদের এখানে কোন সাজেশন আসবে না।
মানে মেনুয়ালি আপনাকে সার্চ করতে হবে।
তারপরে আপনার মৌজা সিলেট করতে হবে।
আর যারা কম্পিউটার দিয়ে জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন, তাদের সেখানে সাজেশন চলে আসবে।
মৌজা সিলেট করার পর আপনার জমির খতিয়ান নম্বর জানার জন্য তিনটা অপশন পাবেন।
প্রথমত আপনি দাগ নম্বর দিয়ে জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন।
আপনার যদি দাগ নম্বর জানা না থাকে তাহলে মালিকানা নাম দিয়েও জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন।
তাও জানা না থাকলে পিতা অথবা স্বামীর নাম দিয়ে জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন
অনেকগুলো অপশন থাকাতে অনলাইনে জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম সম্পর্কে এতটা জটিলতা দেখা যায় না।
আপনার তথ্য দেওয়ার পর নিজে একটি ক্যাপচা কোড দেখতে পাবেন।
সে ক্যাপচা কোডের পাশে “ক্যাপচা কোড লিখুন” ঘরে বসিয়ে দিন।
এরপর অনুসন্ধান বাটন দেখতে পাবেন সে বাটনে ক্লিক করলে আপনার কাঙ্খিত ফলাফল পেয়ে যাবেন।
সেখানে সবকিছুর বিস্তারিত দেখতে পারবেন।
আমি শর্টকাটে এবং সহজভাবে বলেছি যে কিভাবে জমির খতিয়ান দেখতে হয়।
আশা করি এগুলোর মাধ্যমে আপনি জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন।
শেষ কথা:
আজকের ব্লগটি পড়ে জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন কিনা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ!