গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? What is graphic design? গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব? আজকের ব্লগে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সময়ে প্রতিটা কন্টেন্ট আকর্ষনীয় করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনের তুলনা নেই।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ক্যারিয়ার গড়ুন

ধরা যাক আপনি একটা প্রোডাক্ট বাজারে লঞ্চ করতে যাচ্ছেন। সেখানে প্রোডাক্টটিকে আকর্ষনীয় করার জন্য গ্রাফিক্সের প্রয়োজন আছে।

এভাবে প্রতিটা ক্ষেত্রেই গ্রাফিক্সের প্রয়োজনীয়তা আছে। একটা প্রতিষ্ঠান যখন শুরু হয় তখন তার প্রতিষ্ঠানের লোগো দরকার যা গ্রাফিক্সের অংশ।

আবার একটা ব্যানার প্রয়োজন তাও গ্রাফিক্সের অংশ। এই থেকেই অনুমান করা যায় যে গ্রাফিক্সের চাহিদা কি রকম!

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? what is graphics design bangla

স্বাভাবিকভাবে বলতে গেলে কোনো কাল্পনীয় বস্তুকে কম্পিউটার ও সফটওয়ারের মাধ্যমে দৃশ্যমানতা করাকে বোঝায়।

অর্থাৎ আমাদের কল্পনাকে দৃশ্যমানতায় রুপান্তর করার মাধ্যমই হলো গ্রাফিক্স

আর বর্মামানে এর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার দেখা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে।

যেমন ধরুন প্রোডাক্ট ডিজাইন : আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট ডিজাইন করতে পারেন যা তারা বাজারে আনতে চাচ্ছে ।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার?

সাধারণভাবে বলতে গেলে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর নির্দিষ্ট কোন প্রকারভেদ নাই।

তবে বিভিন্ন কাজের ভিত্তিতে গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভিন্ন প্রকারভেদ ভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে।

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে কমন এবং জনপ্রিয় কয়েকটি প্রকারভেদ নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • লোগো ডিজাইন: একটি লোগো হল একটি সংস্থা বা পণ্যের চিহ্ন যা এটিকে অন্যদের থেকে আলাদা করে।
  • ব্র্যান্ডিং ডিজাইন: ব্র্যান্ডিং হল একটি সংস্থা বা পণ্যের ভাবমূর্তি এবং পরিচয় তৈরি করার প্রক্রিয়া।
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন: ওয়েবসাইট ডিজাইন হল একটি ওয়েবসাইটের দৃশ্যমান চেহারা এবং অনুভূতি তৈরি করার প্রক্রিয়া।
  • প্রিন্ট ডিজাইন: প্রিন্ট ডিজাইন হল প্রিন্টেড উপকরণগুলির জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন করার প্রক্রিয়া, যেমন পোস্টার, বিলবোর্ড এবং ক্যাটালগ।
  • অ্যানিমেশন ডিজাইন: অ্যানিমেশন ডিজাইন হল অ্যানিমেটেড সামগ্রীর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন করার প্রক্রিয়া, যেমন বিজ্ঞাপন, ভিডিও গেম এবং চলচ্চিত্র।
  • ইন্টারফেস ডিজাইন: ইন্টারফেস ডিজাইন হল ব্যবহারকারীর ইন্টারফেসের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন করার প্রক্রিয়া, যেমন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন।
  • টাইপোগ্রাফি ডিজাইন: টাইপোগ্রাফি ডিজাইন হল পাঠ্যের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন করার প্রক্রিয়া, যেমন বই, ম্যাগাজিন এবং ওয়েবসাইট।
  • ইমেজ ডিজাইন: ইমেজ ডিজাইন হল চিত্রের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন করার প্রক্রিয়া, যেমন ফটোগ্রাফি, ইলাস্ট্রেশন এবং গ্রাফিক্স।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের মার্কেট চাহিদা কেমন?

বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন বেশ পপুলার। স্যোসাল মিডিয়া থেকে শুরু করে প্রোডাক্ট ডিজাইন, বিজ্ঞাপন, এমনকি ওয়েবডিজাইনেও বেশ চাহিদা রয়েছে।

এর চাহিদা এতো বেশি থাকা স্বত্তেও হাতে গোনা অল্প মানুষই আছে এই সেক্টরে। কারণ হিসেবে কেউ কেউ বলে গ্রাফিক্স ডিজাইন অনেক কঠিন।

আপনারা একটু লক্ষ করলে দেখতে পাবেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রাফিক্সের প্রয়োজনীয়তা আছে। আপনি যদি একটু ভালোভাবে শিখতে পারেন তাহলে অনায়াসে কাজ পাবার সুযোগ রয়েছে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের সুবিধা:

গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের সুবিধা বলতে বোঝানো হচ্ছে যদি আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন সেক্ষেত্রে আপনার কর্ম জীবনে কি কি সুবিধা হতে পারে!

মানে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনে কেমন ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। আপনার কাজের কি কিক সুবিধা হতে পারে কিংবা মাসে কত টাকা আয় করতে পারবেন ইত্যাদি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি স্বাধীনপেশা:

সর্বপ্রথম আসে আমাদের পেশার কথা। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনি যেখানে সেখানে যখন তখন কাজ করতে পারবেন।

এবং আপনার মন মতো এখানে নির্দিষ্ট কোনো সময় না থাকায় এটা স্বাধীন এবং জনপ্রিয়। এমনকি আপনি চাইলে যেকোনো দেশে বসে কাজ করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজািইন করে বাড়তি আয় করার সুযোগ রয়েছে

এটা স্বাধীন হওয়াতে আপনি যখন তখন আপনার চাকরির কিংবা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ পাবেন।

এতে আপনার বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস আছে যেগুলো থেকে কাজের ব্যবস্থা করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে প্রতিভা দেখানোর সুযোগ রয়েছে:

বর্তমানে স্যোসাল নেটওয়ার্ক যত কাছাকাছি আসতে ততই ভাইরাল হবার সুযোগ হচ্ছে। স্যোসাল নেটওয়ার্কে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার প্রতিভাকে চারদিকের মানুষের কাছে পৌছাতে পারবেন।

যেমন আপনি ভালো লোগো বানাতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি ভালো মানের লোগো বানিয়ে তা আপলোড করলেন।

আপলোড করাতে যেমন আপনার প্রতিভা দেখাতে পারলেন যার কারনে আপনার পরিচিতি লাভ হলো আবার লোগো ভালো মানের হলে কারো প্রয়োজন হলে আপনার মাধ্যমে কাজটা করিয়ে নিবে।

এতে যেমন একদিকে পরিচিতি পাওয়া গেলো অন্যদিকে বাড়তি আয়ের ও একটা সুযোগ হলো।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায়?

একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনারের টাকার অভাব হয় না। আপনি যদি জানতে চান যে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায় তাহলে আপনি যেকোনো একটা মার্কেটপ্লেসে যান।

যেমন, আপনি ফাইবারে গিয়ে graphic design লিখে সার্চ করেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে graphic design এর চাহিদা কেমন রয়েছে।

এবং সেই সাথে আপনি এটাও দেখতে পারবেন যে প্রতিটা কাজের বিনিময়ে তারা কত টাকা করে নেয়। আপনি হয়তো দেখলে অবাক হয়ে যাবেন।

আপনি এমনও দেখবেন যে কোনো কোনো গ্রাফিক্স ডিজাইনার মাসে লাখ লাখ আয় করছে।

তবে, আপনি যে টাকার লোভে আজই গ্রাফিক্স ডিজািইন শুরু করবেন তা কিন্তু নয়। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন বা অন্য কোনো পেশায় ফ্রিল্যান্সিং করেন তাহলে আগে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সি কি?

এরপরে আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি? মানে কোন কাজটি করলে আপনি বেশি কাজ পাবেন এবং বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

FAQ – গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?

Q. গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?

গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি দৃষ্টিনন্দন প্রক্রিয়া। যেখানে বিভিন্ন ছবি টেক্সট ইত্যাদি উপাদানের মাধ্যমে একটি ফ্রেমের মাধ্যমে কোন কিছু উপস্থাপন করা।

Q. গ্রাফিক্স ডিজাইন অর্থ কি?

আক্ষরিক অর্থে বলতে গেলে গ্রাফিক্স অর্থ চিত্র এবং ডিজাইন অর্থ নকশা। এবং যেটাকে একত্রে বুঝায় নকশা অংকন করা।

Q. গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা কি সহজ?

আপনার সৃজনশীল তা আপনার দক্ষতা এবং আপনার ধৈর্যের উপর ভিত্তি করে বলতে গেলে গ্রাফিক্স ডিজাইন একেবারে কঠিন নয়। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে আপনার সৃজনশীল তাকে দক্ষতার মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে খুব ভালো পারফর্ম করতে পারে।

Q. গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার?

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর নির্দিষ্ট প্রকারভেদ বলা খুবই মুশকিল। তবে এই পোস্টটি পড়লে আপনি কমন কিছু প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

Q. গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি

বিজ্ঞাপন
প্রকাশনা
ব্র্যান্ডিং
ডিজিটাল মার্কেটিং
ইন্টারফেস ডিজাইন
টাইপোগ্রাফি
ইমেজ ডিজাইন

শেষ কথা :

এখানে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যে, গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও আপনাদের মন্তব্যগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।