বর্তমান সময়ে সহজ একটি কাজ হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং। তাই বেশিরভাগ মানুষ কনটেন্ট রাইটার হতে চায়।

কিন্তু এখানে বিশেষ কিছু কারণ আছে যেমন কনটেন্ট রাইটিং কি কনটেন্ট রাইটিং কিভাবে শুরু করা যায় ইত্যাদি।

বর্তমান যুগ কনটেন্ট এর যুগ। কনটেন্ট হচ্ছে পাওয়ার। যার কনটেন্ট এর মাধ্যমে যত বেশি অডিয়েন্স আসবে তার কমিউনিটি ততিই বড় হবে। তাই জেনে নিন  কনটেন্ট রাইটিং কি? এবং ২০২৩ এ কনটেন্ট রাইটিং শুরু করার গাইডলাইন

সাধারণত কনটেন্ট রাইটিং কথাটি অনেক জায়গায় অনেকে শুনে থাকবেন।

কিন্তু কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গাইডলাইন আকারে পাওয়া যায় না।

ফলে কনটেন্ট রাইটিং কি এবং কনটেন্ট রাইটিং শুরু করার ধারাবাহিক গাইডলাইন সম্পর্কে অনেকের ভিন্ন ভিন্ন মতামত দেখা যায়।

তাই সবার ভিন্ন ভিন্ন মতামত উপেক্ষা করে আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে যাবতীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই।

কনটেন্ট রাইটিং কি?

একটি কমন প্রশ্ন থাকে যে কনটেন্ট রাইটিং কি? সহজভাবে বলতে গেলে কনটেন্ট রাইটিং মূলত লেখা-লেখি।

কনটেন্ট রাইটিং এ এক বা একাদিক বিষয়ের উপর লেখা লেখি-কে বুঝায়।

যেমন আপনি গুগলে সার্চ দিলেন কনটেন্ট রাইটিং কি? তখন আপনি আমার ব্লগটি খুজে পেলেন এবং পড়লেন।

এখানে আপনি যে আমার ব্লগটি পড়লেন তখন আমার ব্লগটি হলো কনটেন্ট এবং আপনি রিডার।

এবং আমি ব্লগটি লিখলাম তাই আমি কনটেন্ট রাইটার।

কনটেন্ট রাইটিং পার্ট-টি মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা অংশ।

বর্তমানে কনটেন্ট রাইটিং এর মার্কেপ্লেস বিশাল এবং অনেক চাহিদা রয়েছে।

যেমন আপনি ফাইবারে গিয়ে কনটেন্ট মার্কেটিং লিখে সার্চ দিলে অসংখ্য রেজাল্ট দেখেতে পাবেন তারা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কনটেন্ট মার্কেটিং করে থাকে।

কনটেন্ট মার্কেটিং এত জনপ্রিয়তার কারণ হচ্ছে কনটেন্ট মার্কেটিং এ কাজ করা খুবই সহজ।

এবং তেমন কোনো কঠিন কাজ শেখা লাগে না। মোটামুটি অনেক টাকা ও রোজগার করা যায়।

এছাড়াও বিশেষ একটি কারণ রয়েছে সেটি হচ্ছে প্রডাক্টিভিটি।

বর্তমানে ই-কমার্স অনলাইন ব্যবসার সম্ভাবনা যত বেড়ে যাচ্ছে ততই কনটেন্ট রাইটিং এর চাহিদা বাড়ছে।

কনটেন্ট রাইটিং এর সাথে প্রডাক্টিভিটি একটা বিশেষ কানেকশন রয়েছে।

সেটি হচ্ছে যখন কোন প্রোডাক্ট বাজারে লঞ্চ করা হয় তখন সেই প্রোডাক্টটি সম্পর্কে মানুষকে জানানোর জন্য বিভিন্ন কনটেন্ট লিখা হয়।

এভাবেই ক্রমান্বয়ে যেমন ই-কমার্স এর ব্যবসা রমরমা হচ্ছে সেইসাথে কনটেন্ট এর চাহিদাও রমরমা হয়ে যাচ্ছে

কনটেন্ট রাইটিং কত প্রকার?

বর্তমানে অনেকভাবে কনটেন্ট রাইটিং করা যায়। সব কনটেন্ট রাইটিং কনটেন্ট এর অন্তভূক্ত।

আপনাদেরকে বুঝিয়ে বলি, কনটেন্ট বলতে শুধু লেখাকে বুঝায় না। এখানে আছে ইউটিউব ভিডিও, ফেসবুকিং, ব্লগিং

ইউটিউবে আছে ইউটিউব ভিডিও আপলোড করে কনটেন্ট মার্কেটিং করা।

ফেসবুকে আছে ফেসবুক পেজে কনটেন্ট আপলোড করা এবং ফেসবুক পেজ অথবা ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করে মনিটাইজ করা।

ব্লগিং মানে অনলাইনে বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করা। এবং টার্গেটেট অডিয়েন্সরা এসে সেই আর্টিকেলটি পড়া।

এ ব্যাপারে নিচে বিস্তারিত আলোচনা আছে।

কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং শুরু করা যায়?

এখনতো জানলেন কনটেন্ট রাইটিং কি? এবার জেনে নেয়া যাক কনটেন্ট রাইটিং কিভাবে শুরু করবো? এবং কনটেন্ট রাইটিং করতে গেলে কি কি শেখা লাগে বা কি কি স্কিল জানা লাগে?

কনটেন্ট রাইটিং শুরু করার ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ভাবে শুরু করতে পারেন।

যেমন আপনার একটা ওয়েবসাইট আছে কিংবা আপনি একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন।

ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে আপনি নিজে একটি সাইট বানিয়ে সেখানে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন। এটা পুরো স্বাধীনভাবে করা যায়।

যেমনটি দেখছেন এই ব্লগে।আপনার নিজের সাইট খুলতে গেলে আপনি ডোমেইন হোস্টিং কিনেই সাইট বিল্ড করতে পারেন।

এবং নিয়মিত সাইটে আর্টিকেল বা কনটেন্ট লিখবেন।

এখানে বিভিন্ন এডভেটাইজমেন্ট এর মাধ্যমে মনিটাইজ করা যায়। যেমন গুগল এডসেন্স।

আপনার সাইটে বিভিন্ন ভাবে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন যেমন নিজের আর্টিকেলের কথা তো বললামই।

এছাড়াও আপনি অন্যের সাইট কিংবা প্রোডাক্ট আপনার সাইটে কনটেন্ট লিখে তাদেরকে প্রমোট করেও কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন।

এই পদ্ধতিকে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং।

তারপরে আছে নিউজপোর্টাল। অনলাইনে এমন হাজারো সাইট রয়েছে।

নিউজ সাইটের ওনাররা বা সাইট প্রতিষ্ঠাকারীরা তাদের সাইটে বিভিন্ন কনটেন্ট রাইটারদের হায়ার করিয়ে তাদের কনটেন্ট লেখিয়ে নেয়।

সেখানে আপনার পছন্দের মতো ডিল করতে পারেন। এমনি পার্মানেন্টলিও কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করা যায়।

এছাড়াও আরও আছে গেস্ট রাইটিং।

বর্তমানে এটাও বেশ জনপ্রিয় আপনি অন্যের ব্লগ সাইটে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন।

আপনি যেভাবে কনটেন্ট রাইটিং করেন আপনি পারবেন। তবে আপনাকে প্রফেশনাল রাইটার হতে হবে।

তাহলে আপনি বেশি কাজ পাবেন বা বেশি আয় করতে পারবেন।

কিভাবে প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার হওয়া যায়? (কনটেন্ট রাইটিং টিপস)

প্রফেশনাল রাইটার হতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম ইন্ড্রাস্টি বা বিষয় সিলেক্ট করতে হবে

প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটাররা একাধিক ইন্ড্রাস্টিতে কাজ না করে একটি ইন্ড্রাস্টিতে কাজ করে।

যার কারণ প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার হতে হলে এখানে প্রচুর রিসার্চ করতে হয়।

আপনি যদি একাধিক বিষয় সিলেক্ট করেন তবে আপনি যথাযথ কনটেন্ট মার্কেটিং বুঝতে পারবেন না।

নিশ সিলেক্ট করা

আপনাকে কনটেন্ট মার্কেটিং এ প্রফেশনাল ভাবে কাজ করতে গেলে প্রথমে যেকোনো একটি *নিশ সিলেক্ট করতে হবে।

কোনটার উপরে আপনার দক্ষতা বেশি। বা আপনি কোন বিষয়ের উপর ভালো জানেন। যেমন টেক নিউজ।

আপনি যদি টেক রিলেটেড বিষয়ে বিস্তারিত জানেন তবে আপনি এটা নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন।

সহজ কথায় এমন যেকোনো বিষয় রয়েছে যেটা আপনার ভালো লাগে কিংবা আপনার এব্যাপারে যথেষ্ঠ জ্ঞান রয়েছে।

তারপরে আছে আপনার সিলেক্টেড বিষয় বা *নিস রিলেটেড কনটেন্ট আইডিয়া খোঁজা।

আপনি কোন বিষয়ে লিখছেন সে বিষয়ের কিছু আর্টিকেল খুজতে হবে।

মানে আপনার বিষয়ের সাথে মিল রয়েছে এমন আর্টিকেল খুজতে হবে যেগুলো নিয়ে আপনি কাজ করবেন বা লেখা লেখি করবেন।

অডিয়েন্স টার্গেট

আপনার অডিয়েন্স বা ভিউয়ার্সদের উপর রিসার্চ করতে হবে।

তারা আপনার সিলেক্টেড বিষয় কেমন পছন্দ করবে বা তাদের জন্য কনটেন্ট উপযুক্ত কিনা। তাদের বয়স কত।

তারা কোন দেশের ইত্যাদি। সবগুলো পার্ফেক্টভাবে রিসার্চ করলে আপনি সহজে আপনার টার্গেট ভিউয়ার্সের কাছে পৌছাতে পারবেন।

আপনার কনটেন্ট এর উপর মনোযোগ দিন। কনটেন্ট লেখার সময় কনটেন্ট উপস্থাপন করবেন খুব সহজভাবে।

আপনি যখন কনটেন্ট লিখবেন “কনটেন্ট রাইটিং কিভাবে শুরু করব?” তখন আপনার ফোকাস থাকবে কনটেন্ট মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত লেখা জন্য।

এই বিষয়ের উপর লেখার সময় অন্য কোনো বিষয় এটার মধ্যে আনবেন না। তাহলে আপনার রিডাররা সঠিক তথ্য পাবে না।

এ ব্যাপারে বুঝতে চাইলে আমার ওয়েবসাইট ঘুরে দেখতে পারেন। ওয়েবসাইট লিংক

মাথায় রাখবেন যেনো ব্লগটি লেখার সময় কমন বা *সহজ বাক্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করবেন তাহলে আপনার রিডাররা বুঝতে পারবে।

এর সাথে সাথে অর্থবহ ইমেজ ও গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা যাতে করে রিডাররা বুঝতে পারে আপনি কোন রিলেটেড লেখা লিখছেন।

শেষ কথা:

আজকে আপনাদের সহজভাবে বুজানোর চেষ্টা করেছি যে কনটেন্ট রাইটিং কি? কনটেন্ট রাইটিং কিভাবে শুরু করব? কিভাবে প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার হওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে।

আজকের ব্লগটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের মাঝে। পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ!