আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটা ওয়েব সাইট তৈরি করে কয় ভাবে ইনকাম করা যায়। আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার সহজ মাধ্যম গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

সাধারণত একটা ওয়েবসাইট তৈরি করলে অনেক ভাবে ইনকাম করা যায়। তবে ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সহজ মাধ্যম হচ্ছে বিজ্ঞাপন দ্বারা মনিটাইজেশন করানো।
তবে এমন অনেক সাইট আছে যারা শুধু বিজ্ঞাপন দিয়ে মনিটাইজ করায় তাদের ইনকাম খুব কম আসে। এটার কারণ হলো তাদের মাত্র একটা সোর্স থেকে ইনকাম আসে।
কিন্তু একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে কিভাবে ইনকাম করা যায় তা অনেকেরই অজানা। তাই আজকে সেই সম্পর্কে আপনাদের সাথে এই পোস্টের মাধ্যমে আলোচনা করব।
ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার সহজ মাধ্যম
বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা শখ থেকে প্রফেশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ থেকে দুই/তিন বছর আগেও প্রত্যেকে পার্সোনাল ওয়েবসাইট খুলতো শুধুমাত্র শখ করে।
কিন্তু বর্ততমান সময়ে মানুষ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খুব খারাপ অবস্থায় যাচ্ছে। তাই যারা ওয়েবসাইট তৈরি করতে চায় তারা মূলত ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করার উদ্দেশ্যে।
অনেকেই আবার ওয়েবসাইট তৈরিও করেছে। কিন্তু তেমন ভালো কোনো ইনকাম করতে পারছে না। যদি আপনারও এমন হয়ে থাকে তাহলে আজকে একটা সমাধান পেয়ে যাবেন।
আপনাদেরকে বলে রাখি যে আপনি যদি একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন তাহলে অনেক ভাবে ইনকাম করতে পারবেন।
এবং ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার সহজ মাধ্যম গুলো জানতে পারবেন। আজকের আলোচনায় আমি শুধুমাত্র মনিটাইজেশন নিয়ে কথা বলবো না। আজকে পুরো ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করব।
কিভাবে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। ওয়েবসাইট তৈরি করার পর কিভাবে মনিটাইজেশন করবেন।
মনিটাইজেশন এর পাশাপাশি আর কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করা যায়। সকল কিছুর বিস্তারিত আজকের এই পোস্টে রয়েছে।
তাহলে চলুন প্রথমে আপনাদেরকে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে দেখাই।
ওয়েবসাইট থেকে আয় করার জন্য আগে ওয়েবসাইট তৈরি করুন
যেহেতু আপনারা জানতে চাচ্ছেন যে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার সহজ মাধ্যম কোনগুলো। তাই আগে আপনাদেরকে দেখাবো কিভাবে একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়।
কারণ আপনার ওয়েবসাইটটি যদি প্রফেশনাল না হয় তাহলে সে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার সম্ভাবনা খুবই কম।
অনেকের মনে ধারণা থাকে যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে কোডিং জানা লাগে। এটা কিছু বছর আগেও ছিল তবে এখন আপনি চাইলে এটাকে অসত্য করতে পারেন।
আমি আপনাদেরকে ব্যাপারটি একটু বুঝিয়ে বলছি। আপনি এখন চাইলেই একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন কোন প্রকার কোডিং ছাড়াই।
কারণ এখন অনেকগুলো জনপ্রিয় CMS (কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) সার্ভিস রয়েছে। মানে আপনি মাত্র কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমেই একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট তৈরি করুন
সেরকমই একটি জনপ্রিয় সিএমএস হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস। ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে।

তবে আপনার যদি বাজেট না থাকে এর পরেও আপনি ফ্রিতে ওয়েবসাইট সাইট তৈরি করতে পারবেন।
আগে আপনাদেরকে বলবো ওয়াডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত টাকা খরচ হবে।
প্রথমেঃ
- একটা ডোমেইন [.COM] ৳১৫০০ (বাংলাদেশ থেকে কিনলে)
- এরপরে একটা হোস্টিং সার্ভার ৳১৫০০ – ৪৫০০ (সার্ভারের কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম ভিন্ন হতে পারে)
- এরপর একটা প্রিমিয়াম থিম ৩৫ ডলার থেকে ৭০ ডলার পর্যন্ত।
এখানে আপনি যদি বাংলাদেশি কোনো হোস্টিং প্রোভাইডার থেকে ডোমেইন কিনতে চান তাহলে আপনার পনেরশো টাকার মতো খরচ হবে।
যেহেতু আপনি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে আমরা একটা লো কোয়ালিটির হোস্টিং পনেরশো টাকার ধরি।
তাহলে ডোমেইন ১৫০০ + হোস্টিং ১৫০০ = ৩০০০। এখন আসেন থিম এর ব্যাপারে।
আপনার যদি এই মুহুর্তে বাজেট না থাকে তাহলে আপনি ফ্রি থিম দিয়ে শুরু করতে পারেন।
এখানে আমি থিমের যে দাম ধরেছি সেটা হচ্ছে 35 ডলার থেকে 70 ডলারের ভিতরে। তবে কমবেশি হতে পারে।
সাধারণত একটা ব্লগিং থিম এই দামের ভিতরে থাকে।
এরপরের কাজ হচ্ছে আপনার হোস্টিং এর সাথে ডোমেইন কানেক্ট করা এবং থিম সেটআপ করা।
যেহেতু এই পোস্টে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার স্টেপ বাই স্টেপ গাইড করবে না।
তাই আপনারা গুগলে সার্চ করে বিস্তারিত জেনে নিবেন। কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়?
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করতে কোন সমস্যা হলে আমার কন্টাক্ট পেইজে গিয়ে আমাকে মেইল করুন।
আমি সহায়তার জন্য প্রস্তুত আছি।
ব্লগস্পট দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করুন
শুরুতেই যদি আপনি কোন প্রকার টাকা খরচ না করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে আপনার জন্য গুগল এর ব্লগস্পট রয়েছে।

সাধারণত একটা ওয়ার্ডপ্রেস সাইট তৈরি করে সেটা ম্যানেজ করা একজন beginner এর জন্য অনেক কঠিন হয়ে যায়।
তাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে টাকা ম্যানেজ করা। আমি এখানে সবকিছু লো কোয়ালিটির দেখানোয় খুব কম খরচ এসেছে।
কিন্তু আসলে আরেকটু বেশি খরচ হবে।
তাই এই টাকা ম্যানেজ করা তাদের জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। সেজন্য তাদের জন্য বিকল্প রয়েছে গুগল ব্লগস্পট।
এটাতে ওয়েবসাইট তৈরি করা একেবারেই সহজ। এবং সম্পূর্ণ ফ্রি। তাই এখনই আপনি ব্লকস্পট দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করুন। নিচের লিঙ্কে বিস্তারিত রয়েছে।
এরপরের কাজ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটটিকে মনিটাইজেশন করা।
ওয়েবসাইট মনিটাইজেশন করে আয় করুন
আপনি যখন ও একটা ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তখন ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার সহজ মাধ্যম হবে মনিটাইজেশন করানো।

ওকে, এবার আপনাদের কি মনিটাইজেশন সম্পর্কে একটু বিস্তারিত ধারনা দেই। মনিটাইজেশন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দাতাদের বিজ্ঞাপন দেখানো।
এখন আপনি তো চাইলেই কোন বিজ্ঞাপনদাতাকে খুঁজে পাবেন না। কিংবা কোনো বিজ্ঞাপনদাতা ও আপনাকে খুঁজবে না।
এই খোঁজাখুঁজির ব্যাপারে একটা থার্ডপার্টি প্রসেস হচ্ছে গুগল এডসেন্স।
গুগল এডসেন্স হচ্ছে এমন একটা সার্ভিস যেখানে বিজ্ঞাপনদাতা এবং প্রকাশকদের একসাথ করে।
মানে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখাতে চান তাহলে গুগল এডসেন্স এর কাছে পেয়ে যাবে।
অপরদিকে কোন বিজ্ঞাপনদাতা যদি তার কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখাতে যায় তাহলে সে গুগল এডসেন্স এর কাছে অসংখ্য ওয়েবসাইট পেয়ে যাবে। যেগুলোতে সে বিজ্ঞাপন দেখাতে চায়।
এখন আপনার ওয়েবসাইটে যদি আপনি বিজ্ঞাপন দেখাতে চান তাহলে গুগল এডসেন্স এর কাছে আপনার ওয়েবসাইট জমা দিতে হবে।
যেহেতু আমরা ওয়েবসাইট তৈরির প্রসেস দেখিয়ে দিয়েছি তাহলে আশাকরি আপনারা সহজেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
এখন কথা হচ্ছে শুধু কি ওয়েবসাইট তৈরি করে মনিটাইজেশন করা যাবে?
না! শুধু ওয়েবসাইট তৈরি করে সেই ওয়েবসাইটকে মনিটাইজেশন করানো যাবে না।
আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল এডসেন্স দ্বারা মনিটাইজেশন করাতে হলে এডসেন্স এর নিয়ম নীতি অনুসরণ করতে হবে।
গুগল এডসেন্স দ্বারা মনিটাইজেশন করাতে চাইলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি দেখে নিনঃ
- ২৫ থেকে ৩০ টা ইউনিক এবং ফ্রেশ কনটেন্ট লিখতে হবে।
- এই কনটেন্টগুলো কোন ওয়েবসাইট থেকে কপি করা যাবে না।
- ওয়েবসাইটে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পেজ পাবলিশ করতে হবে।
- পেজগুলো হল এবাউট, কন্টাক্ট, প্রাইভেসি পলিসি, এবং ডিসক্লেইমার।
- গুগল এডসেন্স এ মনিটাইজেশন করার সময় এডসেন্স থেকে কিছু কোড দেবে। সেগুলো যেখানে বসাতে বলবে সেখানে বসাতে হবে।
যখন সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে তখন মনিটাইজেশন এর আবেদনটি গুগল যাচাই করবে। কারো কারো ক্ষেত্রে এক দুই দিনে হয়ে যায়।
আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এটা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত লাগতে পারে। তবে মনিটাইজেশন করানোর আগে আপনার সাইটের স্ট্রাকচার সবকিছু ঠিক রাখবেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে অনেকেই অনেকবার শুনেছে। কিন্তু এফিলিয়েটে মার্কেটিং এর কনসেপ্টটা অনেকের পরিষ্কার ধারণা নেই।
বর্তমান সময়ে যত জন ব্লগার এবং ইউটিউবার আছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ ব্লগার এবং ইউটিউবার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে বাড়তি ইনকাম করে।
আর যেহেতু এখন আপনার ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গেছে।
তাই এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হবে ওয়েবসাইট তৈরি না অন্য করে আয় করার সহজ মাধ্যম।
যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনাকে কোনো একটি ই-কমার্স অথবা ডিজিটাল প্রোডাক্ট সার্ভিসের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করতে হবে।
ধরুন আপনি চাচ্ছেন আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অন্য একটা কোম্পানির জামা কাপড় বিক্রি করে সেখান থেকে অ্যাফিলিয়েট করতে চান।
এখন এফিলিয়েট ব্যাপারটি কি?
অ্যাফিলিয়েট হচ্ছে যেকোনো ডিজিটাল প্রোডাক্ট অথবা ই-কমার্স কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো নিজ দায়িত্বে এবং নিজের মাধ্যমে বিক্রয় করে সেখান থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন নেওয়াকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
এখন তারা তো আর আপনাকে এমনি এমনি প্রডাক্টগুলো দিবে না। সাধারণত প্রোডাক্টগুলো দেও না। তারা আপনাকে প্রোডাক্ট এর একটা লিংক দিয়ে দিবে।
আপনি চাইলে তাদের ই-কমার্স স্টোরে গিয়ে প্রোডাক্ট এর লিংক নিয়ে তারপরে আপনার ওয়েবসাইটে শেয়ার করলে সেটা অ্যাফিলিয়েট হবে না।
আপনাকে তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ জয়েন করতে হবে এবং তাদের অ্যাফিলিয়েট পার্টনার হতে হবে।
এজন্য যারা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম করে থাকে তাদের ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর লিঙ্ক দেওয়া থাকে।
আপনি সেই লিঙ্কে গিয়ে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য সাইন আপ করতে হবে।
এর পরে আপনি যেই প্রোডাক্টগুলোর অ্যাফিলিয়েট করতে চান সেই প্রোডাক্টগুলোর লিংক পেয়ে যাবেন।
সেই লিংকটি আপনার ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল এর মধ্যে শেয়ার করতে হবে।
এরপর আপনার কোন ভিজিটর যদি আপনার সেই লিঙ্কে ক্লিক করে সেই প্রোডাক্টটি কিনে তাহলে আপনি নির্দিষ্ট হারে একটা কমিশন পাবেন।
এই ইনকামটা সব সময় বাড়তি ইনকাম হয়ে থাকে। এবং একটা ওয়েবসাইট তৈরি করার পর এই ইনকাম করার সুযোগ হয়ে যায়।
ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয়
বর্তমানে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার সহজ মাধ্যম হচ্ছে তৈরি করা ওয়েবসাইট বিক্রয় করে আয় করা।
এক সময় আসবে যখন আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করাতে প্রচুর অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে। তখন আপনি চাইলে এভাবে অসংখ্য ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
এবং পরবর্তীতে সে ওয়েবসাইট গুলো বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
মানে আগে আপনি যখন ইনকাম করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করতেন এখন ওয়েবসাইট তৈরি করে তারপরে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
এটা এখনকার সময়ে খুব জনপ্রিয়। কারণ যারা নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করতে চায় তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করার অভিজ্ঞতা থাকে না।
কিংবা এখন থেকে ইনকাম শুরু হবে এরকম একটা ওয়েবসাইট খুঁজতে থাকে তারা। আপনি তাদের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখতে পারেন।
এবং সেখানে ২০/২৫ টা আর্টিকেল পাবলিশ করে গুগল অ্যাডসেন্স ছাড়াই মনিটাইজেশন করে রাখলে খুব সহজেই ওয়েবসাইটগুলো বিক্রয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করার পর সেই ওয়েবসাইটে যদি বাংলা কনটেন্ট না লিখে ইংরেজি কনটেন্ট লিখেন তাহলে ভালো দামে সহজেই ওয়েবসাইটটি বিক্রি করতে পারবেন।
নিজের পরিষেবা পৌঁছে দিয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করুন
যারা নিজেরা কোন ব্যবসা করার চিন্তা করছেন কিংবা কোন এজেন্সি করার চিন্তা করছেন তাদের জন্য নিজের ওয়েবসাইট দিয়ে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া এবং সেখান থেকে ইনকাম করা একটি উত্তম উপায়।
যেমন আপনি চাচ্ছেন ওয়েবসাইট তৈরি করে সেই ওয়েবসাইট বিক্রয় করে আয় করবেন।
কিন্তু আপনি যে ওয়েবসাইট বিক্রয় করবেন সে জন্য মানুষকে তো আগে জানাতে হবে।
সেজন্য আপনি একটি প্রাইমারি ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। যেখানে আপনি যে সকল ওয়েবসাইট বিক্রি করতে চান সেগুলো উপস্থাপন করবেন।
তখন যে কেউ আপনার সেই ওয়েবসাইট এ এসে তার পছন্দের ওয়েবসাইটটি কিনে নিতে পারবে।
এভাবে আপনার যদি আরো কোন ব্যবসা থাকে। কিংবা আপনি যদি আরো কোন সার্ভিস প্রদান করে থাকেন।
অথবা আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে নিজের পরিষেবা গুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
এতে যেমন অনলাইনে আপনার একটি ব্যবসা দাঁড় হয়ে যাবে তেমনি সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ইনকাম হবে।
এছাড়াও ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার সহজ মাধ্যম আরো অনেকগুলো আছে। তবে এখন পর্যন্ত এই তিনটি ক্যাটাগরি ওয়েবসাইট থেকে আয় করার সহজ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত।
রেডি ওয়েবসাইট কিনে আয় করুন।
আপনি চাইলে একটা রেডি ওয়েবসাইট কিনে সে ওয়েবসাইটকে গুগল অ্যাডসেন্স দ্বারা মনিটাইজেশন করে ইনকাম করতে পারবেন।
একটা রেডি ওয়েবসাইটে সাধারণত প্রয়োজনীয় যত কনটেন্ট প্রয়োজন তার সবগুলো থাকে। এবং সেইসাথে অ্যাডভান্স এসইও সেটিং সহ পুরা প্রফেশনাল সাইট রেডি থাকে।
যদি গুগল এডসেন্স সহ রেডি ওয়েবসাইট পেতে চান তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করুন।
শেষ কথাঃ
ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার সহজ মাধ্যম কি কি হতে পারে। তা অনেকেরই জানা থাকে না।
ফলে তারা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারে না।
তাই আজকের এই পোস্টে জানতে পারবেন ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার সহজ মাধ্যম গুলো।
যেগুলোতে সহজে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আজকের এই পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন। আর কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
আরও পড়ুনঃ