আপনার মোবাইলে কি ইমো ডাউনলোড হচ্ছে না? কিংবা আপনি কি নতুন ইমু ডাউনলোড করতে চান? তাহলে আজকের ব্লগটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বাংলাদেশে সেরা অডিও ভিডিও কলিং প্ল্যাটফর্ম হলো ইমো। শুধু যে বাংলাদেশে তা নয়, যার বিশ্বব্যাপি ২০০ মিলিয়ন ইউজার রয়েছে।
বিশেষ করে এশিয়া দেশগুলো যেমন বাংলাদেশ এ ইমোর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।

যার হয়তো বড় কারন হলো ফ্রি সার্ভিস প্রদান। যাইহোক আরও ফিচার রয়েছে। যেগুলো আমরা একটু পরেই আলোচনাে করছি।
আজকের আলোচনা হবে ইমো ডাউনলোড। ইমো কি? ইমো ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা এবং ইমো সফটওয়্যারের বিকল্প সফটওয়্যার। তাই শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন।
ইমো কি?
এটা হয়তো নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই যে, ইমো কি? ইমো হলো জনপ্রিয় একটি কমিউনিটি বা যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম।
যেখানে আপনি ফ্রি টেক্সট, ভয়েজ, অডিও কলিং ভিডিও কলিং ফাইল টান্সফার ইত্যাদি শেয়ার করতে পারবেন।
ইমোর নামটা এসেছে তাদের একটা সংস্থা থেকে।
সেই সংস্থার নাম হলো ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন। যার সংক্ষেপ রূপ হলো ইমো বা (imo)
- এন্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরি করুন আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েই।
আমরা অনেকদিন থেকে ইমো ব্যবহার করে আসছি। বিশেষ করে বাংলাদেশে এর জনপ্রিয়তা কোনো অংশে কম নয়।
এখন কথা হচ্ছে ইমো তো আমরা ব্যবহার করে আসছি ঠিকই কিন্তু, এর ব্যবহারের সুবিধা কিংবা অসুবিধা সম্পর্কে প্রায় জানা নেই।
তাই ইমোর সুবিধা অসুবিধা গুলো জেনে নিন। হয়তোবা অনেক সুবিধা জানাও আছে।
তবুও আজকে এর একটু রিভিউ করা যাক। সেই সাথে ইমো ডাউনলোড লিংকও পেয়ে যাবেন।
ইমো ডাউনলোড
আসলে আমরা অনেকেই না জেনেই গুগলে ইমো ডাউনলোড লিখে সার্চ দিই। আসলে গুগলে এর সার্চ দেয়ার কোনো প্রয়োজনই নেই।
যার কারন হলো আপনার মোবাইলটা যদি এন্ড্রয়েড হয়ে থাকে তবে,
আপনার মোবাইলে গুগল প্লে স্টোর নামে একটা অ্যাপস দেখতে পাবেন।
সেখানে গিয়ে “ইমো ডাউনলোড” সার্চ দিলেই ইমো পেয়ে যাবেন। আপনাদের সুবিধার্থে আমি নিচে লিংক দিয়ে দিলাম।
আবার দেখা যায় যে, অনেকের মোবাইলে জিমেইল একাউন্ট খুলতে জামেলা হওয়ায়, তারা গুগল প্লে স্টোর এ একাউন্ট খুলতে পারে না।
তাদের বলবো জেনে নিন “জিমেইল একাউন্ট খুলুন কোনো জামেলা ছাড়াই” তাহলে আপনি গুগল প্লে স্টোর একাউন্ট খুলতে পারবেন।
যদি তার পরেও সমস্যা হয় তবে, আপনারা ইমোর অফিশিয়াল সাইট থেকে এন্ড্রয়েড ভার্ষনটি ডাউনলোড করতে পারেন। তারও লিংক নিচে দিয়ে দিয়েছি।
ইমু সফটওয়্যার নামাবো
প্রথমত আপনি যদি ইমু সফটওয়্যার আপনার মোবাইলে নামাতে চান তাহলে আপনি গুগল প্লে-স্টোর ইমু সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন।
এরপরও যদি আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে ইমু সফটওয়্যার নামাতে না পারেন তাহলে গুগলে গিয়ে ইমো ডাউনলোড লিখে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন।
আর উপরে ইমো ডাউনলোড করার জন্য যে দুটি লিংক দিয়েছি সে দুটি লিংকের যেকোনো একটিতে গেলে আপনি ইমু ডাউনলোড করতে পারবেন।
ইমো’র সুবিধা অসুবিধা
প্রতিটা সফটওয়্যারের সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও থাকে। তবে সেটা তুলনা মূলক একটু কমই হয়ে থাকে। তাই আমরাও আগে এর সুবিধা নিয়েই আলোচনা করি।
ইমো ব্যবহারের সুবিধা।
সুবিধার কথা বললে প্রথমেই আসে এর ব্যবহার। ইমো একেবারেই ফ্রি অফার করছে। এখানে একাউন্ট খোলার কোনো জামেলা নেই।
শুধুমাত্র নাম এবং মোবাইল নম্বর দিয়েই একাউন্ট খোলা যায়।
আর আপনি ফ্রিতেই তাদের সকল সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবনে।
যেমন টেক্সট, ভয়েস, অডিও কলিং, ভিডিও কলিং, ইমেজ পাঠানো। প্রায় সবই।
এখন বলতে পারেন যে, ইমো যদি সবই ফ্রি অফার করে তাহলে তাদের আয় বা ইনকাম হয় কিভাবে?
আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে, ইমো ব্যবহারের সময় কিছু বিজ্ঞাপন দেখায়। এই বিজ্ঞাপন থেকেই তাদের আয় হয়।
- অনলাইনে আয় করুন ঘরে বসেই।
অনেক বিজ্ঞাপন দেখায়। এটা কথা সত্য যে, ইমোতে অনেক বিজ্ঞাপন রয়েছে।
আপনি যদি বিজ্ঞাপনে সন্তুষ্ট নয় তবে, প্রিমিয়াম ব্যবহার করতে পারেন। যেখানে প্রতি মাসে ৳৪২০ করে কেটে নিবে।
এছাড়া ইমোর অনেক ফিচার রয়েছে। যেমন ইমো স্টোরি। সবচেয়ে আকর্ষনীয় ফিচার হচ্ছে ইমো রুম।
ইমো রুম বলতে ইমো ভয়েস রুম কে বুঝায়। মানে আপনি অডিও স্ট্রিমিং করতে পারবেন।
তারপরে রয়েছে ইমো প্ল্যানেট। ইটা আপনি টিকটকের মতো বলতে পারেন।
তার আগে জেনে নিন “টিকটক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম” তবে টিকটক শুধু ভিডিও শেয়ার করা যায়। আর ইমো প্ল্যানেটে আপনি ভিডিও, এমনকি ফটোও শেয়ার করতে পারেন।
প্ল্যানেটে আপনি আইডি ফলো করতে পারবেন, লাইক দিতে পারবেন। ফিচারটি আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে।
ইমো ব্যবহারের অসুবিধা।
আসলে ফ্রির কথা বললে এটা তেমন কোনো অসুবিধাই নয়। তবে এটার সবচেয়ে বিরক্তিকর দিক হলো বিজ্ঞাপন।
দেখুন আমিও সফটওয়্যার ডেভেলপার। একটা সফটওয়্যারের ফ্রি ভার্ষনগুলো থেকে বিজ্ঞাপনেই আয় হয়।
তবে বাজারে ইমোর বিকল্প যেগুলো আছে সেগুলোতে তেমন একটা বিজ্ঞাপন নেই বললেই চলে। আবার সেগুলোতে এতো এতো ফিচার নেই।
তবে আপনি যদি সাধারণ ইউজার হয়ে থাকেন তবে, আপনার যদি বিজ্ঞাপন বিরক্তিকর লাগে তবে, আপনি অন্যগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
ইমো সফটওয়্যার এর বিকল্প
চাইলেই ইমোর মতো অডিও ভিডিও কলিং এবং অন্যান্য কিছু ফিচার নিয়ে ইমো বিকল্প কিছু সফটওয়্যার রয়েছে। সেগুলোর কথা বললে সবার প্রথমে আসে WhatsApp।
এটা সম্পূর্ন ফ্রি। কোনো বিজ্ঞাপন নেই। এবং দেখতে পাবেন যে, WhatsApp ইমোর চেয়েও অধিক ডাউনলোডার।
WhatsApp খুবই সিক্রেট, এমনটাই দাবি করছে মেটা। বলে রাখি WhatsApp কিন্তু ফেসবুক এর অধীনে। তারপরে আছে বিপ। BiP ও ইমোর মতোই।
শেষ কথাঃ
এখানে জানতে পারবেন কিভাবে যেকোনো মোবাইলে ইমো ডাউনলোড করতে হয়। আর ইমো ডাউনলোড করতে পেরেছেন কিনা?
কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। আর এমনই ব্লগ পড়তে আমাদের হোম পেজ ভিজিট করুন। ধন্যবাদ

Hello, I am Mehedi. You can call me (Hasan N). and on this site, I share informative and tech-related articles. Explore more on my site.