ইন্টারনেটের উপকারিতা ও অপকারিতা – এক পোস্টে সব জেনে নিন

Home » উইকি » ইন্টারনেটের উপকারিতা ও অপকারিতা

বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। এই যুগে যে ইন্টারনেটের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পেরেছে সে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তবে সেই সাথে ইন্টারনেটের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে মনোযোগ দিতে হবে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে নিজের জীবনকে সহজ করে তুলুন। তবে তার আগে ইন্টারনেটের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে সচেতন হয়ে নিন। নয়তো আপনি যদি একবার ইন্টারনেট আর অপকারিতার ফাঁদে পড়ে যান তাহলে আপনার জীবন একটা ঘোরের মধ্যে দিয়ে যাবে। সেটা আপনাকে তিলে তিলে দিলে শেষ করে দিতে সক্ষম। তাই আজও ইন্টারনেটের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে সচেতন হয়ে নিন। আপনি বাঁচুন আপনার সমাজ বাঁচান এবং আপনার দেশ বাঁচানঅ

সাধারণত একটা প্রবাদ সবার মুখে মুখে শোনা যায় সেটা হলো সবকিছু ভালো এবং মন্দ উভয় দিক থাকে।

এবং বস্তুর ব্যবহারের উপরেই তার ভালো মন্দ নির্ভর করে।

ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ঠিক একই প্রবাদ কার্যকর। আপনি যদি ভেবে থাকেন যে ইন্টারনেট কে আপনি ভাল কাজে লাগাবেন তাহলে আপনি ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

মানে এই ইন্টারনেটকে ভিত্তি করে আপনি আপনার ক্যারিয়ার ঘটতে পারবেন।

  • অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২৩ – আয় করুন ঘরে বসেই

তাই আপনি ইন্টারনেটকে যেদিকে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিবেন ইন্টারনেট ঠিক সেদিকেই যাবে।

আজকে আমরা ইন্টারনেটের উপকারিতা ও অপকারিতা একটি ব্লগ আকারে প্রকাশ করব।

এর মানে হলো যারা ইন্টারনেটের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে রচনা লিখতে চায় অথবা বিভিন্ন পত্র দরখাস্তর কথা চিন্তা করে তাহলে তারা পুরো এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে সবকিছু বুঝতে পারবে।

ইন্টারনেট কি?

বইয়ের ভাষা কিংবা কোন সংজ্ঞা আকারে উপস্থাপন করতে গেলে ইন্টারনেট হলো একটি বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, যা বিভিন্ন কিংবা আপকৃত ডিভাইসের (যেমন কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ইত্যাদি) মাধ্যমে সংযোগ করে।

ইন্টারনেট ব্যবহারের অনেকগুলো দিক রয়েছে যেমনঃ

  1. ওয়েব ব্রাউজিং
  2. ইমেইল
  3. অনলাইন শপিং
  4. তথ্য অনুসন্ধান
  5. সোশ্যাল মিডিয়া

এছাড়া, ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন সেবা, খেলাধুলা, বাণিজ্যিক কার্য, এবং আরও অনেক কিছু সম্পন্ন হয়।

ইন্টারনেট সম্পৃক্ত প্রযুক্তিগুলি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা, বিজ্ঞান, বাণিজ্যিক উন্নতি এবং সামাজিক যোগাযোগে মৌলিক ভূমিকা পায়।

যেমন আমাদের দেশে অতি দ্রুত সময়ে ডেভলপ হওয়া একটি সেক্টর হল এডুকেশনাল প্লাটফর্ম।

বর্তমানে এই ইন্টারনেটের কল্যাণের প্রতিটা শিক্ষার্থী ঘরে বসে তাদের ডেইলি টাস্কগুলো কমপ্লিট করতে পারছে।

আবার অন্যদিকে অপর পক্ষের দিকে মনোযোগ দিতে গেলে দেখা যায় অনলাইন ব্যাটিং সাইট গুলোতে তারা তাদের মূল্যবান সময় গুলো ব্যয় করছে।

এবং লস করছে অনেক টাকা। যার ফলে তাদের মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়।

এই একটা ভালো দিক এবং এর বিপরীতে একটা খারাপ দিক রয়েছে।

মানে আপনি যখনই ভাববেন যে আপনি ভালো কিছু করবেন তখন আপনার বিপরীতে কেউ না কেউ খারাপ কিছু করে চলেছে।

Moral of the story is that পৃথিবীতে যতদিন ভালো থাকবে ততদিন খারাপ থাকবে।

ইন্টারনেটের উপকারিতা ও অপকারিতা

আমি আগেই যেহেতু বলেছি যে Moral of the story is that প্রতিটা বস্তু এবং প্রতিটা বিষয়ের আলাদা আলাদা ভালো এবং মন্দ দিক বিরাজমান করে থাকে।

তাই আপনি যদি কখনো চিন্তা করেন যে কোন কিছুর শুধুমাত্র ভালো দিক ব্যবহার করবেন তাহলে আপনার ধারণায় অনেক ভুল আছে।

আপনি খেয়াল করলে দেখবেন যে আপনি যখন ভালো কিছু করার চিন্তা করছেন মাত্র তখনই তার বিপরীতে খারাপ কিছু অলরেডি করা হয়ে গেছে।

তবে আমি এবং আপনি যে বিষয়টা নজর রাখবো সেটা হল আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে আমরা ভালো দিকগুলো ব্যবহারের চেষ্টা করব।

আপনাদেরকে বলে রাখি যে 31 জুলাই, 2022-এ ছিল বিশ্বব্যাপী 5,473,055,736 (5.4+ বিলিয়ন) ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

এখানে আমি আপনি কখনোই এতগুলো মানুষের কাছে আমাদের বার্তা গুলো পৌঁছে দিতে পারব না।

তবে আমি এবং আপনি দুজনেই সচেতন হলে অন্য আরেকজনকে সচেতন করানো সম্ভব হবে।

তাহলে চলুন আমরা মূল পয়েন্টটি আলাদা আলাদা ভাগে বিভক্ত করে আলোচনা করার চেষ্টা করে।

ইন্টারনেটের উপকারিতা

আমাদের মানব জীবনে তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতার জীবন এতো সহজ এবং এত উন্নত হয়েছে যেটা কল্পনার বাহিরে।

ঘর থেকে বের হলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে উবার কিংবা রাইড শেয়ার করা অনেক সহজ হয়ে গেছে।

সত্যিই সবকিছু কল্পনার বাহিরে যাচ্ছে।

আজ থেকে রাজা বাদশাদের কথা চিন্তা করলেও তারা তাদের যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে শুধুমাত্র চিঠি ব্যবহার করত।

এমনও হয়েছে হয়ত যে একটা চিঠির অপেক্ষায় পুরো একটা জাতি শেষ হয়ে গেছে।

মানে চিঠিটি আসতে এতটা সময় লাগতো বা এতটা দেরি হতো।

আর এখন আমি আপনি যে কোন যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিম্পল ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা মেসেঞ্জারে অডিও কিংবা ভিডিও কল দিতে পারি।

তাও মুহূর্তের মাঝেই অপর পক্ষকে সহজে সংযুক্ত করা যায়।

১. তথ্য এক্সেসঃ

আপনি খুব সহজভাবে চিন্তা করলে দেখবেন যে আপনি ঘরে বসে আপনার হাতে টাকা মোবাইল ফোন টির মাধ্যমেই american সরকারি ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারছেন।

এই যে আপনি এত দূর দুরান্ত থেকেও সহজেই তথ্যের এক্সেস নিতে পারছেন এটা ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় সুফল কিংবা উপকারিতা।

অথবা আপনি একটি জব সার্কুলার দেখতে পেয়েছেন। এখন আপনি যেভাবে দেখেছেন সেটা হলো তথ্যের এক্সেস।

অথবা সৌদি আরবে হজের মৌসুমে হাজীগন কি করছেন তার সহজে লাইভ দেখতে পারছেন।

২. সামাজিক যোগাযোগঃ

ইন্টারনেটের সকল কিংবা উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে সবার উপরে যে বিষয়টি প্রাধান্য পাবে সেটা হল সামাজিক যোগাযোগ।

এখন আপনারা সামাজিক যোগাযোগ বলতে শুধুমাত্র ফেসবুক মনে করিয়েন না।

Facebook এর পাশাপাশি আছে youtube, twitter সহ এমন অসংখ্য সোশ্যাল মিডিয়া।

যেগুলো তো প্রতিনিয়ত ফ্রেন্ডস এবং ফলোয়ারের মাঝে connected থাকা যায়।

আমাদের সমাজে বর্তমানে এমন একটা প্রথা চলে এসেছে যেটা আসলে না বললেই নয়।

সেটা হল কোন একজন মানুষ মারা গেলে আপনি মাইকিং এর চেয়েও দ্রুত সময় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারেন।

এভাবে প্রতিদিনের স্ট্যাটাস শেয়ার সহ আপনার একজন বন্ধু কোথায় ঘুরতে গেছে আপনি সেটাও সহজেই ফেসবুক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারছেন।

৩. ব্যবসায়িক কাজের সুযোগঃ

ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে নতুন করে শুরু হয়েছে অনলাইন ব্যবসা।

প্রতিনিয়তই আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখা যায় যেখানে অফার করা হয় বিভিন্ন প্রোডাক্ট কেনার জন্য।

চায়না থেকে সহজে পাইকার মূল্য আমাদের দেশ পর্যন্ত চলে আসছে অনায়াসে।

এই সব কিছুই ইন্টারনেটের কল্যাণ হিসেবে ধরা হয়।

কিংবা ইন্টারনেট আমাদের জীবনকে কতটা সহজ করেছে তা এই তিনটা টপিকের মাধ্যমেই বুঝা যায়।

৪. অনলাইন শিক্ষাঃ

আমার মনে হয় আমি যদি অনলাইন শিক্ষা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলতে যাই সে সম্পর্কে আপনারা আমার থেকে আগেই আরো ভালো জেনে রেখেছেন।

একজন শিক্ষার্থী তার কোচিং এর পাশাপাশি আরও এডভান্স লেভেলের শেখার জন্য সহজে অনলাইন থেকে কোর্স করতে পারে।

অনলাইন কোর্সের সুবিধা হল আপনি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকলে আপনার একটা মিনিটের জন্য ঘর থেকে বের হতে হবে না।

কিংবা আপনার এখন একটা কোচিং থাকলেও আপনি অনলাইন ক্লাসগুলো কোচিং এর অজুহাতে মিস করতে পারবেন না।

অনলাইনে কেনা আপনার সেই কোর্সটি আপনি যখন খুশি তখন প্লে করতে পারেন।

আশা করি আমি যদি ইন্টারনেটের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করতে চাই তাহলে আরো অসংখ্য টপিক উপস্থাপন করতে পারবো।

তাই আজকের মূল বিষয়টি কন্টিনিউ করার জন্য ইন্টারনেটের উপকারিতা সম্পর্কে আর আলোচনা করলাম না।

এবার আমরা সরাসরি আলোচনা করব ইন্টারনেটের অপকারিতা সম্পর্কে।

ইন্টারনেটের অপকারিতা

খারাপ দিক যেমন সব সময় খারাপ হয় তেমনি এর পরিণতি ও অনেক ভয়াবহ হয়ে থাকে।

এমনকি খারাপ কোন কিছুর প্রভাব কোন ব্যক্তির একার পড়ে না। তার আশেপাশে পুরো সমাজ নিয়ে ওই খারাপ প্রভাব বিস্তার করে থাকে।

আর বর্তমানে ইন্টারনেটের ব্যাপারটি ঠিক এমনই হয়েছে।

কারণ এই যুগে এসে প্রতিটা মানুষ অনলাইন জগতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

তাই এখান থেকে খারাপ কিছু ঘটার সম্ভাবনা যতটা বেশি এবং তত বেশি মানুষের উপর গঠন সম্ভাবনা তার চেয়েও বেশি।

এবং এই ক্ষেত্রে সবগুলো খারাপ খুবই ভয়াবহভাবে হয়ে থাকে।

যেমনঃ

১. নিরাপত্তা ঝুঁকি

আমি মনে করি এখানে আজকে যারা এই পোস্টটি পড়তে এসেছে তাদের অধিকাংশর ফেসবুক আইডি আছে।

আপনাদের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন আপনারা যখন facebook অ্যাপসটি ইন্সটল করে আইডি লগইন করেন তখন আপনাদের কাছে যে এক্সেস গুলো চাওয়া হয় সেগুলো কি একবারও পড়ে দেখেছেন?

অথচ সেখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ অ্যাক্সেস গুলো নিয়ে নিচ্ছে। যেমন আপনার লোকেশন এক্সেস।

আপনি কোথায় যান কিংবা কোন সময় কোন শহর থেকে কোন শহরে যান সবকিছু ফেসবুকের সার্ভারে জমা হচ্ছে।

এবং তারা এই তথ্যগুলো বিজ্ঞাপন দাতাদেরকে প্রদান করে যাতে করে বিজ্ঞাপন দাতারা সহজে তাদের অডিয়েন্স টার্গেট করতে পারে।

এভাবে প্রতিটা সফটওয়্যার থেকে শুরু করে প্রতিটা একাউন্ট তৈরির সময় বিভিন্ন টার্মস এন্ড কন্ডিশন আমরা না পড়ে এক্সেস দিয়ে দিচ্ছি।

অবশ্য বর্তমান সময়টা এমন যে আপনি যদি তাদের টার্মস এন্ড কন্ডিশনের সাথে একমত না হন তাহলে আপনি তাদের সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন না।

তাই কোন উপায় না থাকায় এক্সেস দিতে হয়।

আর এভাবেই প্রতিনিয়ত আমাদের তথ্যের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা হারিয়ে যায়।

আমাদের প্রতিটা ইউজারের প্রতিটা তথ্য বড় বড় কোম্পানিদের কাছে স্টোর (জমা) করা আছে।

২. প্রতারণাঃ

ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার ফলে পার্সোনাল ফাইন্যান্সিয়াল সকল তথ্যগুলো উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে।

এর ফলে প্রতারণা চক্ররা বিভিন্ন ফাঁদ পেতে অনেক অসহায় এবং সহজ সরল মানুষকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে।

দেখা যায় কয়দিন পর পর অনেকের বিকাশ কিনবা নগদ থেকে অ্যাকাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে অনেক টাকা হারিয়ে যাচ্ছে।

অথচ তারা ইন্টারনেটকে বিশ্বাস করেছে। তারা বিশ্বাস করেছে যে ইন্টারনেট তাদেরকে সহজ একটা জীবন দিবে।

কিন্তু এই ইন্টারনেট দিচ্ছে একটা নিঃস্ব এবং অসহায় জীবন।

এই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে না কখনো কেউ সুনির্দিষ্ট বিচার পেয়েছে আর না যথাযথভাবে প্রতারণা দমন করা যাচ্ছে।

৩. অশ্লীলতাঃ

ইন্টারনেটের এই যুগে পরস্পর একজন অন্যজনের সাথে যেকোনো সময় সংযুক্ত থাকতে পারে বলেই যে কোন প্রকার অশ্লীলতা খুব দ্রুত সময় ছড়িয়ে পড়ে।

এবং হয়রানি থেকে শুরু করে মানুষ আ*ত্ম*হ*ত্যা পর্যন্ত করে।

ঠিক যেমনটি আমরা দেখি যে কয়দিন পরপর বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয়।

এবং একে অন্যের সাথে শেয়ারের মাধ্যমে এটা সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে।

এমনকি ভুক্তভোগী এখানে কিছুই করতে পারে না। অবশেষে অবশেষে তারা জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায়।

এই সবই সহজ থেকে শুরু করে সহজতর হচ্ছে শুধুমাত্র ইন্টারনেটের কারণে।

এবং প্রতিকারের নেই কোন নাম নেই কোন উদ্যোগ না কেউ কথা বলছে না কেউ এগিয়ে আসছে।

যা হচ্ছে সব এভাবেই হচ্ছে এবং এভাবেই যাচ্ছে।

৪. সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি

আপনাদের হয়তো মনে থাকার কথা যে কোন এক সময় স্লোগান ছিল মাদক ছেড়ে মাঠে আসো। কিংবা মাদক ছেড়ে বই ধরো।

কিন্তু এখন মাদকের চেয়েও অনেক ভয়াবহ নেশা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি।

দিন-রাত tiktok দেখা, কিংবা ফেসবুকের রিলস স্ক্রল করতে করতে একজন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত তাদের জীবনের মূল্যবান সময় গুলো ব্যয় করে ফেলে।

এবং এই নিয়ে খুব জনপ্রিয় একটা অনলাইন কম বেশি সবার চোখেই পড়বে।

সেটা হল আমাদের বাবা মায়েরা হয়তো সর্বশেষ প্রজন্ম যারা রাত জেগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে না।

আসলে প্রতিটা বস্তুই কল্যাণকর প্রতিটা বস্তুই মানুষের কল্যাণের ক্ষেত্রে তৈরি করা হয়েছে।

কিন্তু সেটার ব্যবহার করতে করতে একসময় সেটা অপব্যবহার পৌঁছে যায়।

শেষ কথাঃ

আপনি যদি কখনো মনে করেন যে আপনি ইন্টারনেটকে ভালো কাজে লাগাবেন তাহলে এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি সর্বোচ্চ কল্যাণ পাবেন।

তবে তার আগে ইন্টারনেটের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে সর্বোচ্চ সচেতনতায় থাকতে হবে।

একটু ভুল হলে শুধুমাত্র আপনিই শেষ হবেন না আপনার সাথে আপনার পরিবার আপনার সমাজ, সব শেষ হয়ে যাবে।

আশা করি আজকের এই টপিকটি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আর এই পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিন ধন্যবাদ!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top