বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই প্রবাসী। আবার কেউ প্রবাসে আছে কিংবা কেউ নতুন করে যাবে। প্রত্যেকেরই কিছু সাধারণ প্রশ্ন থেকে থাকে। আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আমি প্রবাসী অ্যাপ এ।
যেমন যে দেশে যাবো বা আছি সেই দেশ কেমন কিংবা যেই দেশে অবস্থানরত সেই দেশের সুবিধা কেমন। অথবা নতুন করে যাবো কিন্তু কোন কাজে যাবো।
এই রকম সাধারন প্রশ্ন থেকে শুরু করে বিদেশ যাবার পরও অবস্থানরত দেশের বিস্তারিত নিয়েই “আমি প্রবাসী অ্যাপ” আমি মনে করি বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাসীদের জন্য সেরা কিছু আছে।
তাই আজকের আলোচনায় আছে অ্যাপটি নিয়ে। কিভাবে একাউন্ট খুলবেন? কিভাবে বিএমইটি আইডি কার্ড করবেন। সবকিছুর বিস্তারিত
তাই আপনি যদি শেষ পর্যন্ত পড়ুন তবে, আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
আমি প্রবাসী অ্যাপস কি? ami probashi app
সহজভাবে বলতে গেলে যারা বিদেশ যাবেন বা বিদেশের কোনো দেশে অবস্থারত আছেন তাদের জন্য এই অ্যাপটি।
সেখানে থাকা অবস্থায় আপনি একজন প্রবাসী হিসেবে আপনার বিদেশে অবস্থানরত সবকিছুর বিস্তারিত জানার জন্য গঠিত বাংলাদেশি একটি অ্যাপ যার নাম“আমি প্রবাসী অ্যাপ”
এই অ্যাপ থেকে আপনার প্রবাসের যেকোনো সমস্যা কিংবা আপনি বিদেশ যাবার প্রস্তুতি থেকে শুরু করে সবকিছুর গাইডলাইন হিসেবেই “আমি প্রবাসী অ্যাপ” গঠিত।
এমনকি আপনি বিদেশে যেকোনো চাকরি বা কাজ খুঁজে নিতে পারবেন এই অ্যাপ দিয়ে।
কোনো প্রকার থার্ডপার্টি কিংবা দালাল এর কোনো প্রয়োজন নেই।
সবকিছু আপনি নিজেই করতে পারবেন। আর আপনাদের গাইড করার জন্যই আজকের আর্টিকেল।
আমি প্রবাসী অ্যাপ কোথায় পাবো। আমি প্রবাসী app download
আমি প্রবাসী অ্যাপ ডাউনলোড বা ইনস্টল করতে খুবই সতর্ক থাকবেন। সতর্ক থাকার কারন বলছি, এটা অফিশিয়াল ভাবে শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোরেই পাওয়া যায়।
আপনি যদি কোনো থার্ড পার্টি সাইট থেকে ডাউনলোড করেন তবে, খুবই ঝামেলা আছে।
ঝামেলা হলো যে, আপনি যদি থার্ড পার্টি কোনো সাইট থেকে নেন তবে, আপনারা যখন একাউন্ট খুলবেন তখন আপনাদের তথ্য চুরি হবার একটা রিস্ক থাকে।
তাই আপনাদের জন্য আমি অফিশিয়াল অ্যাপের লিংক দিয়ে দিলাম।
আপনারা এই লিংকএ গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটি পেয়ে যাবেন।
অথবা চাইলে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ করতে পারেন “আমি প্রবাসী অ্যাপ” লিখে। তখন প্রথমেই যে অ্যাপটি দেখতে পাবেন সেটাই ডাউনলোড করে নিবেন।
আমি প্রবাসী অ্যাপ এ একাউন্ট খোলার নিয়ম।
ডাউনলোড করার পর প্রথম কাজ হবে একাউন্ট খোলা। একাউন্ট খোলার জন্য কিছু দরকারি ডকুমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে।
যেমন আপনার একটি সক্রিয় পাসপোর্ট।
অ্যাপটি ওপেন করার পর দেখতে পাবেন যে, সেখানে সুবিধার একটা ডেমো থাকবে যেমন, কোভিড ভ্যাকসিন নিবন্ধন, বিএমইটি রেজিস্টেশন। ইত্যাদি।
আপনি “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করবেন। তারপরে ইমেইল অথবা মোবাইল নম্বর দিয়ে লগইন করতে হবে।
আপনি যদি ইমেইলে অব্যস্ত না হন তবে মোবাইল নম্বর দিয়ে লগইন করে নিবেন।
মোবাইল নম্বর দেয়ার পরে আপনার মোবাইলে একটা এসএমএস আসবে। সেখানে একটা ওটিপি বা কোড থাকবে।
ওই কোডটি নিয়ে “আমি প্রবাসী অ্যাপ” এ বসিয়ে দিবেন। তারপরে “কনফার্ম” বাটনে ক্লিক করবেন।
তারপরে দেখবেন দেশ নির্বাচন করতে হবে। এখানে কম করে তিনটা দেশ নির্বাচন করতে হবে। দেশ সিলেক্ট বলতে আপনি যে দেশের বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন।
দেখা যায় যে, আমাদের অনেকে বিদেশ যেতে চায়। ধরুন সৌদি আরব যেতে চায় তখন, সে সৌধি আরব সিলেক্ট করবে।
এবং সেই সাথে যদি আরও কোনো দেশের সম্পর্কে যানতে চায়। মনে রাখবেন যে, আপনাকে তিনটা দেশ সিলেক্ট করতে হবে।
তারপরে আরও অনেক তথ্য চাইবে। দেশ সিলেক্টের পরবর্তী ধাপ হলো: আপনার দক্ষতা! মনে রাখবেন যে, যাই করুন না কেন কিংবা যেকোনো তথ্য দেওয়ার সময় সঠিক তথ্য দিবেন।
তাহলে চাকরি খুঁজতে কিংবা “সেবাটির কোনো সহায়তা পেতে তেমন একটা অসুবিধা হবে না।
সবগুলো বলে লেখা বড় করবো না। আপনার সঠিক তথ্যগুলো দিয়ে দিবেন। তারপরে অ্যাপটির এর হোম পেজে চলে আসবেন।
একাউন্ট সম্পূর্ন হয়ে গেলে, ভেরিফােই হবার পর পেমেন্ট অপশন আসবে। সেখানে পেমেন্ট করে নিবেন।
তারপরে অ্যাপের মধ্যে অনেক শর্ট প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রবাসী ভ্যাকসিন নিবন্ধন। probashi vaccine registration
যারা প্রবাসে আছেন তারা আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে করণার ভ্যাকসিন নিবন্ধন করতে পারবেন।
এর জন্য আপনার আইডি কার্ড না থাকলে হবে শুধুমাত্র পাসপোর্টটি থাকতে হবে।
এর জন্য প্রথমে সুরক্ষা অ্যাপ অথবা ওয়েঢবসাইটে যেতে হবে। এরপর সেখানে গেলে ☰ (থ্রি ডট) নামে অপশনটিতে ক্লিক করবেন।
এরপর, (নিবন্ধন ফরম পাসপোর্ট) নামে একটা অপশন পাবেন। সেটাতে ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর অনেকগুলো অপশর আসবে। যেমন
- বিদেশী নাগরিক
- বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মী
- বিদেশে অধ্যায়নরত বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রী
এখানে আপনি যে পজিশনে আছেন সে পজিশনটিতে ক্লিক করবেন। তারপরে আরও অন্যান্য ফরম আসবে। তার সবকিছু যথাযথভাবে পূরণ করবেন।
ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ হয়ে গেলে আপনারা ভ্যাকসিন নিবন্ধন সম্পন্ন হয়ে যাবে। এরপর আপনি টিকার কার্ডটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
টিকার কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে “টিকা কার্ড” অপশনে গিয়ে ডাউনলোড কের নিতে পারবেন।
টিকার কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সেখানে আপনার পাসপোর্টের তথ্য দিবেন। তাহলে টিকার কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আর এতক্ষণ পর্যন্ত আমি যেভাবে বলেছি এভাবে আপনি বুঝতে না পারলে একটি ইউটিউব টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখতে পারেন।
শেষ কথা:
আমি প্রবাসী অ্যাপ এর ব্যবহার ও সকল সুযোগ সুবিধা এখানে জেনে নিন। যদি আপনার বুঝতে অসুবিধা হয় তবে, কমেন্ট করে জানাতে একদমই ভুলবেন না। ধন্যবাদ!