আবিষ্কার ও আবিষ্কারক – কে কি আবিষ্কার করেছে দেখে নিন

বর্তমানে প্রযুক্তির এমন সব আবিষ্কার আছে যেগুলো আমাদের জীবন যাত্রাকে সহজ করে দিয়েছে। আমরা অনেকে আবিষ্কার ও আবিষ্কারক জানি কিংবা জানি না।

তবে অনেক সময়ই জানতে হয়। কারন, এখনকার প্রযুক্তিগত এই সময়ে বিভিন্ন আবিষ্কার এবং এবং সেই আবিষ্কারক সম্পর্কে একাডেমিক সহ বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রেও প্রয়োজন হয়।

তাই আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং যে প্রযুক্তিগুলো আমাদের জীবনে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সেই প্রযুক্তিগুলোর আবিষ্কার এবং যে আবিষ্কার করেছে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।

আবিষ্কার ও আবিষ্কারক

আবিষ্কার বলতে ব্যক্তি বা দলীয়ভাবে কোন নতুন ধরনের জিনিস, যন্ত্র বা বিষয় তৈরী, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদিকে বুঝায়।

আর যেই ব্যক্তি বা দল নতুন যে জিনিসটি আবিষ্কার করেছেন তাকে আবিষ্কারক বলা হয়। যেমন যে উদ্বোধন করে তাকে উদ্বোধক বলা হয়।

আবিষ্কার ও আবিষ্কারক

সেরকম নতুন কোন বস্তু নতুন ভাবে তৈরি করলে তাকে আবিষ্কার বলা হয়। আর যে আবিষ্কার করেছে তাকে আবিষ্কার বলা হয়।

বর্তমান আধুনিক এই যুগে যেসকল প্রযুক্তি আমাদের চলার পথে অতীব-মাত্রায় অবদান রেখেছে, কিংবা আমরা প্রতিনিয়তই যেসকল আবিষ্কার ব্যবহার করি তার ছক নিচে দেয়া হয়েছে।

এবং তার একটু নিচে প্রতিটা আবিষ্কার ও আবিষ্কারক এর ইতিহাস এবং ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক
আবিষ্কারআবিষ্কারক
কম্পিউটারচার্লস ব্যাবেজ
ই-মেইলরে টমলিনসন
ব্লগিংরিচার্ড ম্যাথিউ স্টলম্যান
এটিএমজন শেফার্ড ব্যারন
গুগলসার্জেই বিন
ফেসবুকমার্ক জাকারবার্গ
মোবাইল ফোনড. মার্টিন কুপার
মুক্ত সফটওয়্যারইভান উইলিয়ামস
ইন্টারনেটলিওনার্ড ক্লেইর্নক
টাচ স্ক্রিন মোবাইলস্টিভ জবস
ইউটিউবজাবেদ করিম
টুইটারজ্যাক জোরসে
রোবটিক্সজর্জ ডেভল
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাঅ্যালান টুরিং
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংপল বার্গ
ন্যানো প্রযুক্তিরিচার্ড ফাইনম্যান
⇒⇒

বর্তমান সময়ে বিনোদন থেকে শুরু করে চিকিৎসা বিজ্ঞান পর্যন্ত যতগুলো প্রযুক্তির প্রয়োজন তার সবই এখানে আছে।

এবার আমরা জানবো এই আবিষ্কার কিভাবে হয়েছে এবং এর আবিষ্কারক এর জীবন সম্পর্কে।

১. কম্পিউটার – চার্লস ব্যাবেজ

বর্তমান বিশ্বকে আমরা যতটা হাইটেক দেখছি তার পুরোটা সম্ভব হয়েছে কম্পিউটার এর কারণে। কম্পিউটার আবিষ্কারের পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটা ক্ষেত্রে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছে।

যেমন শিক্ষাক্ষেত্রে, চিকিৎসাক্ষেত্রে, গবেষণাক্ষেত্রে, এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও কম্পিউটার এর ব্যবহার ব্যাপক।

কম্পিউটারে যখন প্রথম শুরু হয় তখন শুধুমাত্র গণনার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ ছিল। মানে আমরা আজকের যেই ক্যালকুলেটর গুলো দেখতে পাই তখনকার সময়ে এই ক্যালকুলেটরের কাজ করতো কম্পিউটারগুলো।

আর এখনকার সময় আমরা যে কম্পিউটার গুলো দেখতে পাই সেগুলোই প্রাচীন কম্পিউটারের আধুনিক ভার্সন।

এই কম্পিউটার পরিচালনা হতে বিভিন্ন আউটপুট প্রয়োজন হয়। তবে সেটা কার্যবেধে হয়ে থাকে। নিচে কম্পিউটার পরিচিতি তে সকল আউটপুট দেখে নিন।

চার্লস ব্যাবেজ

বিশ্বের যুগান্তকারী পরিবর্তন বস্তুটি যখন কম্পিউটার হয়ে দাঁড়িয়েছে তখন এটাও জানার আগ্রহ থাকে যে কি এই যুগান্তকারী বস্তুটি আবিষ্কার করেছে।

বলে রাখি যে তখনকার আবিষ্কারগুলো সরাসরি একজন পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারত না। কিন্তু তারা মূল থিওরি গুলো আবিষ্কার করত।

এবং সেই থিউরি গুলো ফলো করে পরবর্তী জেনারেশন গুলো আরো মডিফাই করত। কিংবা সেখান থেকে নতুন কিছু আবিষ্কার করে।

যাইহোক! চার্লস ব্যাবেজ ছিলেন একজন ইংরেজ যন্ত্র প্রকৌশলী, গণিতবিদ, আবিষ্কারক ও দার্শনিক

তিনি ডিফারেন্স ইঞ্জিনঅ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন নামে দুইটি যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরি করেছিলেন। তার তৈরি এই যন্ত্র গুলো শুধুমাত্র গাণিতিক কাজ করতে পারতো।

এরপর থেকে আরও গবেষণা আরো উন্নতি, আরও আপডেট এর মাধ্যমে এখনকার কম্পিউটারে এসে পৌঁছেছে।

ভবিষ্যতে আবিষ্কার ও আবিষ্কারক হবে তার মধ্যে কম্পিউটার এবং চার্লস ব্যাবেজই সেরা হবে। হয়তো আগামীতে পৃথিবীতে প্রযুক্তি যতদিন থাকবে ততদিনই মানুষ তাদেরকে স্মরণ করবে।

২. ই-মেইল – রে টমলিনসন

আপনি আর আমি একটা ই-মেইল এর গুরুত্ব না বুঝলেও একটা কোম্পানি ঠিকই বুঝে। একটা ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানি প্রতিটা মুহূর্তে তাদের ইউজারের কাছে পৌঁছাতে ইমেইল এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে।

ইমেইল – যাকে ইলেকট্রনিক মেইল বলা হয়। ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি যেমন কম্পিউটার এবং এর সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ এ যে বার্তা প্রেরণ করা হয় তাকে ইমেইল বলা হয়।

রে টমলিনসন

ইমেইল এর আবিষ্কারক হচ্ছে রে টমলিনসন। এবং আরপানেটের মাধ্যমে প্রথম তিনি ই-মেইল প্রেরণ করেন।

কিন্তু এর আগেইও একই কম্পিউটারে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর মধ্যে মেইল আদান প্রদান করা যেতো।

রে টমলিনসনের অনুসরণ করা পদ্ধতিতে আরপানেটের মাধ্যমে প্রথম ভিন্ন হোস্টে মেইল প্রেরণ করা হয়।

৩. ব্লগিং – রিচার্ড ম্যাথিউ স্টলম্যান

আপনি যে এখন আমার এই পোস্টটি পড়েছেন এই পোস্টটি ব্লগিং এর আওতায় রয়েছে। ব্লগিং মূলত একটি ব্যক্তিগত পত্রিকার মত।

ওয়েবব্লগ এর সংক্ষিপ্ত রূপকে ব্লগ বলা হয়। যিনি ব্লগে পোস্ট করে থাকেন তাকে ব্লগার বলা হয়। ব্লগাররা যখন তাদের কনটেন্ট আপলোড করে তখন ইউজাররা সেই কনটেন্ট পড়ে এবং তাদের মন্তব্য শেয়ার করে।

বর্তমানে ব্লগিংকে ঘিরে অনেকে তাদের ক্যারিয়ার তৈরি করছে। তাই ব্লগিং এ অনেক আপডেট এসেছে।

রিচার্ড ম্যাথিউ স্টলম্যান

স্টলম্যান সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালে সম্পূর্ণ ফ্রি সফটওয়্যারে নির্মিত একটি ইউনিক্স-সদৃশ অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করার জন্যে গ্নু প্রকল্প চালু করেন।

এই ব্যক্তি সম্পর্কে অনলাইনে জানা গেলেও তার সাথে ব্লগিং এর তেমন কোনো তথ্য জানা যায় নি। আমি এই কাজটি আপনাদেরকে দিবো।

আপনারা অনলাইনে রিচার্ড ম্যাথিউ স্টলম্যানের সাথে ব্লগিং এর সম্পর্ক খুঁজে বের করুন। এবং তা কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।

এবং প্রথম কমেন্ট করা ব্যক্তি ব্লগিং সম্পর্কে যেনোকো সাপোর্ট পেতে পারেন। এমনকি ব্লগিং শুরু করার জন্য প্রিমিয়াম থিমও পেতে পারেন।

৪.  এটিএম – জন শেফার্ড ব্যারন

বর্তমান ব্যাংকিং ব্যবস্থা যত উন্নত হচ্ছে এটিএম এর ব্যবহার ততোই বাড়ছে। এটিএম সম্পর্কে প্রায় সবারই জানার কথা।

বিশেষ করে যারা নিয়মিত ব্যাংকে লেনদেন করে থাকেন তারা এটিএম সম্পর্কে ভাল জেনে থাকবেন। এছাড়াও যারা সরকারি চাকরি করেন তাদের কথা তো না বললেই নয়।

সরকারি চাকরিজীবীদের বেশিরভাগ সংখ্যক লোকই তাদের মাসিক বেতন এটিএম কার্ড দিয়ে তোলেন।

এটিএম একটি সংক্ষেপ নাম। এর পুরো নাম হচ্ছে অটোমেটেড টেলার মেশিন।

জন শেফার্ড ব্যারন

ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আরও উন্নত এবং প্রসারিত করেছে যে মেশিনটি এই মেশিনটির আবিষ্কারক হচ্ছে জন শেফার্ড ব্যারন।

জন অ্যাড্রিয়ান শেফার্ড-ব্যারন ১৯২৫ সালের ২৩ জুন ভারতের মেঘালয়ের শিলং-এর ডাঃ এইচ গর্ডন রবার্টস হাসপাতালে ব্রিটিশ পিতামাতার কাছে জন্মগ্রহণ করেন।

৫. গুগল – সার্জেই বিন

বর্তমানে আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে গুগল শব্দটি। গুগল সাধারণ ইউজ এর থেকে শুরু করে বিজনেস এমনকি ডেভলপারদের জন্য অনেক প্রোডাক্ট তৈরি করে রেখেছে।

সহজ কথা বর্তমান সময়ে একজন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে একজন ব্যবসায়ীর কিংবা শিক্ষকের ডিজিটালি কাজ করতে যা কিছুর প্রয়োজন তার অধিকাংশই গুগল অফার করছে।

আপনারা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবেন, আমাদের হাতে যে এন্ড্রয়েড মোবাইলটি আছে এই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি গুগল দ্বারা পরিচালিত।

কম্পিউটারে উইন্ডোজ এর মত অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স, গুগল দ্বারা পরিচালিত। নিচে গুগলের সার্ভিস গুলো উল্লেখ করা হলো।

  • অ্যান্ড্রয়েড অটো
  • অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
  • এন্ড্রয়েড টিভি
  • ক্যালেন্ডার
  • কার্ডবোর্ড
  • ক্রোম
  • ক্রোম এন্টারপ্রাইজ
  • ক্রোমবুক
  • ক্রোমকাস্ট
  • কানেক্টেড হোম
  • কন্টাক্ট
  • ডিজিটাল ওয়ালবিং
  • ডকস (ডকুমেন্টস)
  • ড্রাইভ
  • আর্থ
  • এক্সপোজার নোটিফিকেশন
  • ফাইন্যান্স
  • ফর্মস
  • জি-বোর্ড
  • জিমেইল
  • গুগল এলার্ট
  • গুগল আর্ট এন্ড কালচার
  • গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • গুগল অথেন্টিকেটর
  • গুগল চ্যাট
  • গুগল ক্লাসরুম
  • গুগল এক্সপেডিটেশন
  • গুগল ফ্যামিলি লিংক
  • গুগল এফআই
  • গুগোল ফাইন্ড মাই ডিভাইস
  • গুগল ফিট
  • গুগল ফ্লাইট
  • গুগল ফন্ট
  • গুগল গ্রুপ
  • গুগল হেলথ স্টাডিস
  • গুগল হোম অ্যাপ
  • গুগল ইনপুট টুলস
  • গুগল লেন্স
  • গুগল মিট
  • গুগল পে
  • গুগল ফটোজ
  • গুগল প্লে
  • গুগল প্লে বুকস
  • গুগল প্লে গেমস
  • গুগল প্লে পাস
  • গুগল প্লে প্রোটেক্ট
  • গুগল পডকাস্ট
  • গুগল শপিং
  • গুগল স্ট্রিট ভিউ
  • গুগল টিভি
  • গুগল টাস্ক
  • গুগল ওয়ার্কস্পেস
  • হাংঙআউট
  • কিপ
  • ম্যাপস
  • ম্যাসেজ
  • নিউজ
  • ফটো স্ক্যান
  • পিক্সেল
  • পিক্সেল বাডস
  • পিক্সেলবুক
  • সার্চ (সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং পরিচিত)
  • শিটস
  • স্লাইডস
  • স্ন্যাপসিড
  • স্টাডিয়া
  • ট্রান্সলেট ( শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় একটি সফটওয়্যার)
  • ট্রাভেল
  • ভয়েস
  • ইউটিউব (পরিচিত একটি প্লাটফর্ম)
  • ইউটিউব কিডস (বাচ্চাদের জন্য তৈরি একটি ইউটিউব)
  • ইউটিউব টিভি
  • ইউটিউব VR (ইউটিউব এর ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ফিচারস)

গুগল সম্পর্কে

একবার চিন্তা করে দেখুন তো আর কিছু বাকি আছে? হ্যাঁ আছে! আমি এখানে গুগলের সকল ফিচার উল্লেখ করি নি।

তবুও দেখুন এখানে গুগলের এমন কিছু ফিচার রয়েছে যেগুলো হামলার আগে নামও শুনি নি। সারা বিশ্বের জনপ্রিয় সকল টেক জায়ান্টের মধ্যে একটি হচ্ছে গুগল।

উপরের সার্ভিসগুলো ছাড়াও গুগলের আরও সার্ভিস রয়েছে। এবং সেগুলোর বেশিরভাগ হচ্ছে ব্যবসায়ী এবং ডেভেলপারদের জন্য।

সেজন্য বলা যায় এখনাকর সময়ে সেরা আবিষ্কার ও আবিষ্কারক হিসেবে গুগল এবং তার প্রতিষ্ঠাতা সার্জেই বিন-ই সেরা।

সার্জেই বিন

তিনি কম্পিউটার প্রকৌশলী ছিলেন। এবং ইন্টারনেট উদ্দ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত। ২০০৪ সালে এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ সেরগেই ব্রিনকে ‘পারসন অফ দ্য উইক’ ঘোষণা করে। ২০০৫ সালে সার্জেই বিন অন্যতম ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ হিসাবে মনোনীত হন।

৬. ফেসবুক – মার্ক জাকারবার্গ

বর্তমমান বিশ্বে টপ ১ সোশ্যাল নেটওয়ার্ক হচ্ছে ফেসবুক। হয়তো নতুন করে কিছু না বলার নামই ফেসবুক। কারণ, ফেসবুক সম্পর্কে অজানা ব্যাক্তিকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না।

প্রতিনিয়তই ব্যবহার করা সামাজিক যোগাযোগ এর নাম এখন শুধু ফেসবুক। বিশেষ করে আমাদের দেশে স্যোশাল মিডিয়া হিসেবে ফেসবুকই জনপ্রিয়।

ফেসবুক মূলত একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত একজন সাধারণ ব্যবহারকারীর ফেসবুকে যত ফিচারের প্রয়োজন তার সবই ফ্রি।

বর্তমানে সারাবিশ্বে ফেসবুকে একটিভ ইউজারের সংখ্যা হচ্ছে ২.৯৩ বিলিয়ন।

মার্ক জাকারবার্গ

ফেসবুকের প্রধান প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে মার্ক জাকারবার্গ। যিনি কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার ছিলেন।

২০০৪ সালে হার্ভার্ডে পড়ার সময় বন্ধুদের সাথে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট “দ্য ফেইসবুক ডট কম”।

পরবর্তীতে “দ্য ফেইসবুক ডট কম” এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ফেসবুক।

৭. মোবাইল ফোন – ড. মার্টিন কুপার

আপনি হয়তো আজকের আবিষ্কার ও আবিষ্কারক এর তথ্যগুলো আপনার হাতে থাকা মোবাইলটি দিয়ে দেখছেন।

কিন্তু মোবাইলফোন যখন আবিষ্কার কার হয় তখন শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধ ‍ছিলো। আর আজকের দিনে একটা মোবাইল ফোনকে মিনি কম্পিউটারও বলা হয়।

প্রথমকার মোবাইল ফোনকে জাহাজ এবং ট্রেন থেকে এনালগ রেডিও কমিউনিকেশনের মাধ্যমে ব্যবহার করতো।

আর, আমরা আজকের দিনে একটা মিনি কম্পিউটার হিসেবে দেখতে পাচ্ছি। তবে, আমরা যে টার্চ মোবাইল গুলোকে দেখছি সেগুলো কিন্তু এই ড. মার্টিন কুপারের আবিষ্কার নয়।

ড. মার্টিন কুপার

মার্টিন কুপার মার্কিন আবিষ্কারক হিসেবে পরিচিত। তিনি কিন্তু প্রথম সেলুলার সোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন।

এবং তিনি মোটারোলা কোম্পানির আন্ডারে তার মোবাইলগুলো বাজারজাতকরণ করেন। মোটোরোলা মূলত একটি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি।

৮. মুক্ত সফটওয়্যার – ইভান উইলিয়ামস

যে সফটওয়্যার গুলোতে ওপেনসোর্স লাইসেন্স থাকে সে সফটওয়্যার গুলোকে মুক্ত সফটওয়্যার বলা হয়।

সহজ কথায় যে কোনো ব্যবহারকারী সফটওয়্যারটিকে নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করা কিংবা পরবর্তীতে আবার আপলোড করা সবকিছু্ই মুক্ত সফটওয়্যারের অন্তর্ভূক্ত।

যেমন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটিও ওপেনসোর্স লাইসেন্স এর অন্তর্ভুক্ত।

ইভান উইলিয়ামসের সম্পর্কে মুক্ত সফটওয়্যার সম্পৃক্ততা তেমন একটা পাওয়া যায়নি। তাই ইভান উইলিয়ামস সম্পর্কে পরবর্তী আপডেটের জানিয়ে দিবো।

৯. ইন্টারনেট – লিওনার্ড ক্লেইর্নক

আজকের এই দিনে ইন্টারনেট ছাড়া দুনিয়া অচল হয়ে পড়ে। কোনো কারণ বশত একদিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে সব হাহাকার হয়ে পড়।

একজন সাধারনন ইউজার থেকে শুরু করে একচন প্রফেশনাল পর্যন্ত থমকে যায়। তাছাড়া এখনকার সময়ে প্রতিটা কাজ অনলাইন ভিত্তিক হওয়াতে ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়।

ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট দুটি কথার সমন্বয়ে যুক্ত একটি ইংরেজি শব্দ। মূলত ইথারনেট [Ethernet] থেকে ইন্টারনেট [internet] শব্দটির উৎপত্তি।

ইন্টার [Enter] অর্থ ভিতরে। আর নেট [Net] অর্থ হলো জাল।ইন্টারনেট শব্দের অর্থ হলো “অন্তর্জাল”

যা সংযুক্ত নেনটওয়ার্ক তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগের একটি সহজ পদ্ধতিকে বোঝায়। যেমনঃ অসংখ্য কম্পিউটারকে একে অপরের সাথে যুক্ত করে তথ্য আদান-প্রদান করার পদ্ধতিকে ইন্টারনেট বলা হয়

এখনকার সময় বলতে গেলে প্রতিদিন আমাদের হাজার হাজার মেগাবাইট ইন্টারনেট খরচ হয়ে থাকে।

লিওনার্ড ক্লেইর্নক

যদিও লিওনার্ড ক্লেইর্নক এর নাম উইকিপিডিয়ায় লেনার্ড ক্লাইনরক দেখাচ্ছে। তিনি এমআইটি থেকে তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞানে ১৯৫৯ সালে স্নাতকোত্তর উপাধি এবং ১৯৬৩ সালে ডক্টর উপাধি অর্জন করেন।

তাহলে বুঝা যাচ্ছে যে তিনি তড়িৎ প্রকৌশলী এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।

১০. টাচ স্ক্রিন মোবাইল – স্টিভ জবস

বাংলাদেশের মতো দেশে যখন প্রত্যেকের হাতে হাতে টাচ মোবাইল পৌঁছে গেছে তখন অন্যান্য দেশে তো কল্পনার বাহিরে।

টাচ মোবাইল কিন্তু একধাপে আবিষ্কার হয়নি। আমরা জানি যে প্রথম সেলুলার মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন ডঃ মার্টিন কুপার।

এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে সেই সেলুলার ফোন থেকে আজকের টাচ স্ক্রিন মোবাইল আবিষ্কার এর পেছনে ডঃ মার্টিন কুপার থেকে শুরু করে স্টিভ জবস প্রত্যেকেরই অমূল্য অবদান রয়েছে।

এই টাচস্ক্রিন মোবাইল আসাতে বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনগুলো কে পকেট কম্পিউটার বলা হয়। অর্থাৎ কম্পিউটারের যত ফিচার রয়েছে তার সবগুলোর বেটা ভার্শন এখন স্মার্টফোনে আছে।

অনেক ভারী কাজ যেগুলো আগে কম্পিউটারে হত সেগুলো এখন আস্তে আস্তে মোবাইল ফোনে হচ্ছে।

যেমন ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন এছাড়াও আরো অনেক রয়েছে। এই সবকিছুর পরিবর্তন এর মূলে রয়েছে টাচ স্কিন।

স্টিভ জবস

ছোটবেলা থেকেই যার মাথা ছিল দুরন্ত। এবং পড়াশোনায় আগ্রহী ছিলেন। স্টিভ জবস এর অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করার পেছনে অনেক কাহিনী আছে।

যেগুলো আজকের পোষ্টে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তবে আমি নিচে লিংকে দিয়ে দিব। আপনি সেখানে গিয়ে পড়ে আসতে পারেন। (স্টিভ জবস)

১১. ইউটিউব – জাভেদ করিম

বর্তমান সময়ের টপ ২ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট হচ্ছে ইউটিউব। এবং ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম হিসেবে টপ ১ তে থাকবে।

আমরা সবাই জানি যে ইউটিউব হচ্ছে গুগলের একটি প্রোডাক্ট। কিন্তু গুগল নিজে এই প্রোডাক্ট তৈরি করে নি।

অর্থাৎ এই ইউটিউব তৈরি করেছে জাভেদ করিম। ইউটিউব এর মূল ফিচার হচ্ছে “ইউটিউব চ্যানেল”।

এখনকার সময়ের টিকটকের সাথে পাল্লা দিয়ে ইউটিউব শর্টস নামে আরেকটা ফিচার আনা হয়েছে।

এছাড়াও ইউটিউব প্রিমিয়াম রয়েছে। যারা কোন প্রকার বিজ্ঞাপন ছাড়া এবং অন্যান্য ফিচার উপভোগ করতে চায় তাদের জন্য ইউটিউব প্রিমিয়াম উন্মুক্ত রয়েছে। তবে অবশ্যই সাবস্ক্রিপশন ফি রয়েছে।

জাভেদ করিম

অনেক সুত্রে জানা যায় যে জাভেদ করিম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ইউটিউব প্রতিষ্ঠার পর সর্বপ্রথম জাভেদ করিম তার নিজস্ব চ্যানেল থেকে ভিডিও আপলোড করেন।

এবং সেই ভিডিওটি ইউটিউবে সর্বপ্রথম ভিডিও হিসেবে ধরা হয়। যাইহোক! জাভেদ করিম কে জাওয়েদ করিম ও বলা হয়।

জাওয়েদ করিম ২০০৫ সালে চাদ হারলি ও স্টিভ চেন এর সাথে মিলে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউবকে তৈরি করে।

১২. টুইটার – জ্যাক জোরসে

কিছুদিন আগে এলন মাস্ক এর টুইটার কেনা নিয়ে সংবাদ ছড়ায়। তখনই টুইটারের শেয়ারবাজারে পরিবর্তন আসে।

টুইটার মূলত একটি মাইক্রো ব্লগিং সাইট। পাশাপাশি এটি একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম। মানে এখানে ছোট ছোট বিষয়ে বিভিন্ন লেখালেখি করার সুযোগ থাকে।

ফেসবুকে আমরা যেমন স্ট্যাটাস দিয়ে থাকি, তেমনি টুইটারে টুইট করার সুযোগ থাকে। এবং সেখানে ফলোয়ার থাকে।

টুইটারে যাদের অ্যাকাউন্ট নেই তারা শুধুমাত্র ওই আর্টিকেলগুলো পড়তে পারবেন যেগুলো পোস্টকারী সবার জন্য উন্মুক্ত করে।

টুইটারে যখন প্রথম প্রথম তাদের কার্যক্রম করে তখন প্রতিটা টুইটের ক্যারেক্টর ১৪০ এর ভিতরে রাখে।

টুইটার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ইতিহাস অনেক বিশাল। (টুইটারের ইতিহাস)। এবং টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে অনলাইনে খুবই কম তথ্য আছে।

১৩. রোবটিক্স – জর্জ ডেভল

বইয়ের ভাষায় রোবটিক্স হচ্ছে বিজ্ঞান ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত যে বিষয়টি রোবটের ধারণা, নকশা, উৎপাদন, কার্যক্রম কিংবা ব্যবহার বাস্তবায়ন করতে পারে তাই হল রোবটিক্স।

রোবট হচ্ছে একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা যা মানুষ যেভাবে কাজ করতে পারে সেভাবে কাজ করে অথবা এর কাজ দেখে মনে হয় এর বুদ্ধিমত্তা আছে।____New Collegiate ডিকশনারী।

সাধারণত অনলাইনে এইসকল জটিল কিংবা এডভান্স কোন লেখা বাংলাতে নেই। তাই আমি তেমন কোনো তথ্য বিশ্লেষণ করার সুযোগ পাই না।

এই যেমন রোবটিক্স এর আবিষ্কারক যাকে বলা হয় জর্জ ডেভল। এই ব্যক্তির সম্পর্কেও ইন্টারনেটে খুবই কম তথ্য রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাতে।

তাই রোবটিক্স সম্পর্কে সবকিছু এখানে জানুন

বিশ্ব এবং ব্যক্তি আরো উন্নত হতে আবিষ্কার ও আবিষ্কারক এর মধ্যে রোবটিক্স থেকে শুরু করে নিচে উল্লেখিত সকল আবিষ্কারই সেরা হবে। এবং তাদের আবিষ্কারককে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনুসরণ করবে।

১৪. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা – অ্যালান টুরিং

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যাকে (এ আই) বলা হয় কিংবা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বলা হয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে মেশিন দ্বারা প্রদর্শিত করা হয়।

অর্থাৎ কোন একটি মেশিনের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেট করে দেওয়া হয়।

এবং সেই মেশিনটির মধ্যে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রয়েছে মেশিনটি সেই বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে চলে।

ধরুন একটা মেশিনের মধ্যে এমন একটা বুদ্ধিমত্তা সেট করে দেওয়া হয়েছে। যেটাতে কমান্ড করা হয়েছে রাস্তার ধারে ট্রাফিক সিগন্যাল গুলো নিয়ন্ত্রণ করা।

এবং তার মধ্যে যে নীতি গুলো দেওয়া হয়েছে সে সেই নীতিগুলো মেনে সিগন্যাললাইট নিয়ন্ত্রণ করবে।

আর এটার সাথে আমাদের 13 নম্বর আলোচনা রোবটিক্স এর সাথে সমমুখী সম্পর্ক বজায় রাখে।

কারণ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গুলোকে কাজে লাগানোর সবচেয়ে উত্তম উপায় হচ্ছে রোবটিক্স।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে আগামীর ভবিষ্যৎ হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবটিক্স এর মধ্যে।

এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় রোবটিক্সের সহায়তা নিয়ে যেকোনো বিপজ্জনক ঝুঁকি বা দীর্ঘসময়ের কাজগুলোকে সংক্ষেপে করে ফেলার ক্ষমতা তৈরি হবে।

এর ফলে অনেক সময় বেঁচে যাবে। ইকনোমিক গ্রোথ থেকে শুরু করে একটা দেশের সহজেই উন্নয়ন সাধন হবে।

তবে, এটাও নিশ্চিত যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা রোবটিক্স এগুলোর কারণে যে সকল দেশ কিংবা ব্যক্তি পিছিয়ে থাকবে তারা আর সহজে উন্নয়ন করতে পারবে না।

এটা বেশিরভাগ স্বল্পোন্নত কিংবা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রভাব পড়তে পারে। সহজ কথায় ধনী দেশ আরও ধনী হবে।

এছাড়াও শ্রমিক পর্যায়ে যারা রয়েছে তাদের মধ্যে অসংখ্য মানুষ বেকার হয়ে যাবে। আরো অনেক কুফল রয়েছে।

যাইহোক! এ ব্যাপারে আমার যতটুকু ধারনা ছিল আমি ততটুকুই শেয়ার করেছি। কারো এ ব্যাপারে আরও জানা থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।

অথবা আমার বক্তব্যে ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

অ্যালান টুরিং

একজন অগ্রণী ইংরেজ কম্পিউটার প্রকৌশলী, গণিতজ্ঞ, যুক্তিবিদ, দার্শনিক, গোপন সংকেত বিশেষজ্ঞ, গাণিতিক জীববিজ্ঞানী এবং ম্যারাথন দৌড়বিদ ছিলেন।

কম্পিউটার প্রকৌশলের বিকাশে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি তার টুরিং মেশিনের (Turing machine) মাধ্যমে গণনা (computation) ও অ্যালগোরিদম (algorithm) এর ধারণার প্রচলন করেন।

টুরিংকে তাত্ত্বিক কম্পিউটার প্রকৌশল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।__ উইকিপিডিয়া।

১৫. জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং – পল বার্গ

খুবই কল্যাণকর হতে পারে অথবা খুবই ভয়াবহ হতে পারে এই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। ভাল এবং মন্দ উভয় দিকই রয়েছে এখানে।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বংশানু প্রকৌশলী বলা হয়। ভিন্ন প্রকৃতির একাধিক ডিএনএ অণু পরস্পর সংযুক্ত করে জৈব পদ্ধতিতে কোনো জীবকোষে বা জীবদেহে প্রবেশ করানোর কৌশলকে বংশাণু প্রকৌশল বলে।

তবে এই কথাগুলো একজন সাধারন ব্যক্তির চেয়ে একজন সাইন্সের স্টুডেন্ট অনেক ভালো বুঝবে। পরবর্তী আপডেটের আরও তথ্য যুক্ত করা হবে।

পল বার্গ

তার কাজের জন্য তিনি ১৯৮০ সালে ওয়াল্টার গিলবার্ট ও ফ্রেডরিক স্যাঙ্গার এর সাথে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

১৬. ন্যানো প্রযুক্তি – রিচার্ড ফাইনম্যান

সবকিছুই ক্রমান্বয়ে ছোট হচ্ছে। যেমন আগেকার দিনের কম্পিউটার পুরো একটি রুমের সমান ছিল। আর সেটা এখন হাতের মুঠোয় এসে পৌঁছেছে।

ন্যানো মূলত একটি মাপক। যেমন আমরা মিটার সেন্টিমিটার হিসাব করে থাকি। তবে ন্যানো মানে ক্ষুদ্র।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়সমূহের ন্যানোমাপীয়কে ন্যানোপ্রযুক্তি বলা হয়। ন্যানোমিটার স্কেলে যে সমস্ত টেকনোলজি গুলি সর্ম্পকিত সেগুলিকেই বলে ন্যানোপ্রযুক্তি।

বর্তমান সময়ে রোবটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ন্যানোপ্রযুক্তি এই সব গুলোকে ভবিষ্যৎ উন্নতিতে গবেষণা করে যাচ্ছে।

সকল আবিষ্কার ও আবিষ্কারক এরমধ্যে উপরে উল্লেখিত চারটি বিষয় নিয়ে খুবই জোর দেওয়া হচ্ছে।

শেষ কথাঃ

বর্তমানে যত আবিষ্কার ও আবিষ্কারক রয়েছে তাদের সকলেরই অবদান মানবকল্যাণে এসেছে। তবে কিছু কিছু মানুষ এগুলোর অপব্যবহার করে যাচ্ছে।

তাই সকল আবিস্কার ও আবিস্কারক কে শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাদের কাজকে গ্রহণ করে একটা ভালো বিশ্ব গড়ে তোলা যাবে।

তবে আবিস্কার ও আবিস্কারক দের ভালো গুলো গ্রহণ করতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন ধন্যবাদ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *