রমজানে কিংবা ঈদ উপলক্ষে অথবা বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে অনলাইনে জামা কাপড়ের অর্ডার খুব ভালো পরিমাণ হয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম জেনে আজই একটি লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

সাধারণত অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য গুলো ই-কমার্স এর আওতায় পড়ে। আর আমাদের দেশে এখনো অনলাইনে কেনাকাটা তেমন একটা অভ্যস্ততায় পরিণত হয়নি।
তবে বিগত কয়েক বছর থেকে এই চিত্র বদলে গেছে। এখন মানুষ নিয়মিত অনলাইনে অর্ডার করে।
তাই আমাদের দেশে অনলাইনে ব্যবসা করার মার্কেট টা ক্রমান্বয়ে বড় হতে চলেছে।
যদি এখনই এই কম প্রতিযোগিতার মধ্যে আপনি আপনার একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে খুব ভালো করতে পারবেন।
তাছাড়া অন্যান্য প্রোডাক্ট কেনাকাটা হোক বা না হোক অনলাইনে জামা কাপড় কেনার প্রবণতা অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে।
এছাড়াও প্রতিটা ঈদে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের যত অনুষ্ঠান হয়ে থাকে সবগুলো অনুষ্ঠানে এখন একসাথে অনলাইন থেকে জামা কাপড় অর্ডার দিয়ে থাকে।
তাই সহজে বলা যায় যে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসাটা মোটেও খারাপ হবে না।
সেজন্য এই সকল সুযোগ সুবিধার মধ্যে যদি আপনি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করতে চান তাহলে শুরুতেই অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন।
যেহেতু এটা পুরোপুরি একটা অনলাইন ব্যবসা তাই আগে আপনাকে বুঝতে হবে যে অনলাইন ব্যবসা আপনার জন্য কিনা।
অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা আপনার জন্য কতটা উপযুক্ত
সাধারণত অনলাইনে শুধু কাপড়ের ব্যবসায়ই না, আপনি অনলাইনে যে কোন ব্যবসা শুরু করতে গেলে শুরুতে কিছুটা ইনভেস্টের প্রয়োজন আছে।
এছাড়া অনেক ধৈর্য অনেক পরিশ্রম এবং কিছুটা মার্কেটিং টেকনিক অবশ্যই জানা থাকা লাগবে।
তবে আপনি যদি ছোটখাটো ভাবে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে খুব ভালোভাবে অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
আর আজকের পুরো টপকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে আপনি অনলাইনে আপনার কাপড়ের ব্যবসা শুরু করবেন।
সেজন্য আপনার কিছু কিছু দক্ষতা অবশ্যই থাকা লাগবে।
একটু ধৈর্যের সাথে পরিচালনা করা
যেমন শুরুতেই বলতে গেলে আপনার প্রচুর ধৈর্য থাকতে হবে। কারণ আপনি যখন অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসাটি শুরু করবেন তখন প্রথম দিন থেকেই আপনি অর্ডার নাও পেতে পারেন।
সেজন্য যতদিন বা যতক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে আপনার ব্যবসায়ের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে যেতে হবে।
কিছুটা ইনভেস্ট করার সক্ষমতা
এরপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা সেটা হচ্ছে ইনভেস্ট। যেহেতু চিন্তা করছেন যে আপনি অনলাইনে কাপড় ব্যবসা শুরু করবেন তাহলে আপনার কিছুটা পুঁজি হলেও থাকতে হবে।
শুরুতেই আপনি যদি কোন অর্ডার না পান তাহলে আপনি পাইকারি রেটে কাপড় গুলো চাইলে নাও কিনতে পারেন।
অর্থাৎ শুরুতে আপনার কাপড় কেনা লাগছে না। কেন লাগছে না বা কি কারনে লাগছে না সেটা আমি একটু নিচে আলোচনা করব।
তবে এখানে যে বিষয়ে ইনভেস্ট করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনার অনলাইন স্টোরটি শুরু করার জন্য কিছুটা পুঁজির অবশ্যই দরকার আছে।
আর যদি আপনি ভাবেন যে আপনি ফেসবুকে কাপড়ের ব্যবসা করবেন তাহলে ফেসবুকে ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
বেসিক মার্কেটিং দক্ষতা
এরপরে যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে কিছুটা মার্কেটিং দক্ষতা।
এ মার্কেটিং দক্ষতা নিয়ে আপনাকে কোন চিন্তা করতে হবে না।
কারন আজকে আমি এই পোস্টের একেবারে শেষের দিকে কিছুটা মার্কেটিং টেকনিক আপনাদের সাথে আলোচনা করব যেগুলো আপনাদের সফল হতে অনেকটা সহায়তা করবে।
এবার আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নেন যে আপনি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারবেন কিনা।
কিংবা আমি যে টপিকগুলো আলোচনা করেছি আপনি সেগুলো ঠিকমতো করতে পারবেন কিনা।
যদি হ্যাঁ হয় তাহলে আপনার একটাই কাজ সেটা হচ্ছে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম নিচে যতগুলো উল্লেখ করা আছে সবগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়া।
প্রয়োজন হলে আপনি টপিক গুলো নোট করে নিতে পারেন। আর আপনি চাইলে ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা-টি পরিচালনা করতে পারবেন।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক এবার আমাদের মূল আলোচনা।
অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম
অনলাইনে কাপড় ব্যবসা থেকে শুরু করে যে কোন ব্যবসা করার একটা সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।
যেকোন ব্যক্তি যদি মার্কেটিং স্টাডিজি এবং কিছু নিয়ম ফলো করে তাহলে সহজেই অনলাইন ব্যবসা সফল হতে পারে।
আমাদের আশেপাশে যদিও খুব কম দেখা যায় যে যারা অনলাইন ব্যবসা করে আসছে। সে কারণে হয়তো আমাদের মধ্যে অনলাইন ব্যবসায়ের ধারণা খুব কম থাকে।
তবে আমি অনলাইনে অনেকগুলো আর্টিকেল রিসার্চ করে আপনাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি তৈরি করতেছি।
যাতে করে আপনারা সহজেই অনলাইনে কোন ব্যবসা কিংবা অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে চাইলে এই নিয়মগুলো ফলো করে ব্যবসায় শুরু করতে পারেন।
তাহলে চলুন আমরা আজকে আমাদের পুরো পোস্টটি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জেনে নেই।
১. প্রোডাক্ট সিলেক্ট করা

অনলাইনে কাপড় ব্যবসা শুরু করার শুরুতেই আপনাকে ভাবতে হবে যে আপনি অনলাইনে ঠিক কোন কাপড়টি বিক্রি করবেন।
কিংবা কোন কাপড়ের উপর আপনি আপনার ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি নির্দিষ্ট একটা প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে পারেন। যেমন টি-শার্ট।
অথবা আপনি চাইলে অনেকগুলো প্রোডাক্ট একসাথে সিলেক্ট করতে পারেন। যেমন ছেলেমেয়েদের জামা কাপড়।
সেক্ষেত্রে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি ঠিক কোন প্রোডাক্টটা নিয়ে কাজ করলে খুব ভালো পারফর্ম করতে পারবেন।
এবং সহজেই কোন প্রোডাক্টগুলো সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ওটাও আপনাকে এনালাইস করতে হবে।
আপনাকে এটাও বুঝতে হবে যে মার্কেটে কোন প্রোডাক্টটি কম মূল্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে।
এখানে কম মূল্য শুধুমাত্র এই কারণেই বলেছি যে আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত অনলাইনে বেশি টাকা দামের অর্ডার গুলো খুব কম হয়ে থাকে।
তাই আপনি যদি কম মূল্যের কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে প্রোডাক্টগুলোর সেল অনেক ভালো থাকবে।
আপনি সবসময় একটা কথা মনে রাখবেন যত বেশি সেল হবে তত আপনার ব্যবসা গ্রো হবে বা বাড়বে।
এবং আপনি তত বেশিই লাভ করতে পারবেন।
সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় নির্দিষ্ট একটা প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করলে সবচেয়ে ভালো মার্কেটিং রেজাল্ট পাওয়া যাবে।
২. কাস্টম প্রোডাক্ট তৈরি (অপশনাল)
কিছু কিছু প্রোডাক্ট কাস্টমভাবে তৈরি করা যায়। যেমন টি-শার্ট এর সুন্দর সুন্দর ডিজাইন।
এবং সে প্রোডাক্টগুলো খুবই ইউনিক হয় এবং একবার যদি সে প্রোডাক্টগুলোর মার্কেটিং ধরতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসা খুবই হিট করবে।
আমি এখানে শুধুমাত্র টি-শার্ট ডিজাইনটি দেখিয়েছি আপনারা চাইলে কিছুক্ষণ চিন্তা করে এবং এনালাইস করে আরো অনেক আইডিয়া তৈরি করতে পারবেন।
আপনার যদি সত্যি সত্যি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকে তাহলে প্রতিটা পয়েন্ট আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩. অনলাইনে প্রোপারলি একটি স্টোর তৈরি করা
আজকের এই পুরো পোস্টটির একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে আপনার প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করার জন্য একটি স্টোর নির্বাচন করা।
এখনকার সময় অনেকে অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি মানে ফেসবুক পেজ কিংবা ফেসবুক মার্কেটিং বুঝে।
কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় একটা অপরচুনিটেজ (সুযোগ) হচ্ছে একটা ওয়েবসাইট থাকা।
আপনার ওয়েবসাইট থাকলে যে সকল সুবিধা হবে তা হচ্ছে আমরা বেশিরভাগ সময় কোন কিছু ফেসবুক থেকে তখনই কিনি যখন আমাদের সামনে প্রোডাক্টটির বিজ্ঞাপন আসে।
এছাড়া আমরা যে কোন প্রোডাক্ট এর বিস্তারিত জানতে গেলে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখি।
খন আপনার যদি একটা ওয়েবসাইট থাকে এবং সে ওয়েবসাইটটি যদি গুগলে খুব ভালো র্যাংক করে তাহলে কাস্টমার সহজে আপনার স্টোরে পৌঁছতে পারবে।
পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে ফেসবুক রাখতে হবে।
তাহলে গুগলে কিংবা ফেসবুকে যেখানেই কাস্টমারে প্রোডাক্ট খুঁজবে সেখানেই যদি আপনার স্টোর পেয়ে যায় তখন আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হবার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়।
এখন আমি যতগুলো পয়েন্ট বলেছি সবগুলো কিন্তু মার্কেটিং রিলেটেড।
আপনি কোথাও অনলাইনে কাপড় ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে গেলে শুধুমাত্র পয়েন্টগুলো এবং পয়েন্ট এর কিছুটা বিস্তারিত থাকে।
আর এখানে আমি প্রতিটা পয়েন্টের বিস্তারিত এবং সাথে মার্কেটিং টিপস সহ আপনাদের সাথে আলোচনা করছি।
যাতে করে আপনারা টপিকটা বুঝতে পারেন যে কিভাবে ব্যবসাটি শুরু করবেন এবং কিভাবে করলে আপনাদের ব্যবসা লাভবান হবে।
যাইহোক এবার নিচে পরবর্তী স্টেপ সম্পর্কে জেনে নিন।
৪. প্রোডাক্টগুলো কাস্টমারের কাছে পৌছে দেয়া (ডেলিভারি)

এখন আপনি প্রোডাক্ট সিলেক্ট করলেন এবং আপনার ব্যবসায়ের জন্য একটা স্টোর ওপেন করলেন কিন্তু আপনি কোন কাস্টমারের নিকট পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি।
তাহলে আপনার কি মনে হয় এই ব্যবসাটি আদৌতেই কোন লাভবান হবে কিনা?
আমার মত তো হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই।
তাহলে আপনাকে ঠিক এখন কি করতে হবে? সোজা কথা আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে।
আপনার এই প্রোডাক্টগুলো কাস্টমারের নিকট পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ মার্কেটিং করতে হবে।
মার্কেটিং করা
মার্কেটিং বলতে আপনার ফেসবুক পেজটিতে প্রোডাক্ট গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে পোস্ট করা।
কিংবা আপনার ওয়েবসাইটে রীতিমতো প্রোডাক্ট আপডেট করা ইত্যাদি ব্যাপার।
তবে ফেসবুকে একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং।
আপনি যদি সিরিয়াসলি ব্যবসা করতে চান তাহলে ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
ফেসবুক মার্কেটিং কোর্সটি কিনতে চাইলে FB1125AFF প্রোমো কোডটির মাধ্যমে ১০% ডিসকাউন্ট পেয়ে যাবেন।
যাইহোক আমি কিছু বেসিক মার্কেটিং এর ধারণা আপনাদের কি দিয়ে দিচ্ছি।
প্রথমে আপনাকে এটা বুঝতে হবে যে আপনি যে প্রোডাক্টগুলো সিলেক্ট করেছেন সে প্রোডাক্ট গুলো কাদের জন্য।
ছেলেদের জন্য নাকি মেয়েদের জন্য। ছেলে মেয়ে যাদের জন্যই হোক তাদের রুচি কেমন তারা এই প্রোডাক্টগুলো কিনবে কিনা।
যাদের জন্য এই প্রোডাক্টগুলো সিলেক্ট করেছেন তারা এই প্রোডাক্টগুলো কতটা কিনতে অভ্যস্ত।
তারা কি বেশিরভাগ সময় অনলাইনে কিনে নাকি অফলাইনে কোনো স্টোর থেকে কিনে এই ব্যাপারগুলো আপনাকে ভালোভাবে বুঝতে হবে।
তারপরে সেই অডিয়েন্স গুলো টার্গেট করে আপনি যদি ফেসবুকে পোস্ট করেন তাহলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।
অথবা আপনার যদি ওয়েবসাইটের স্টোরটি গুগলের র্যাংক করাতে চান তাহলে আপনাকে এটা বুঝতে হবে যে মানুষজন গুগলে আপনার প্রোডাক্ট গুলো কিভাবে সার্চ করে থাকে।
মানে প্রোডাক্টগুলো মানুষজন কেনার জন্য গুগলের ঠিক কোন কিওয়ার্ড টি লিখে সার্চ করে।
এবং সেই প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে আর কোন কোন ওয়েবসাইট কাজ করতেছে সেই ওয়েবসাইটগুলোকে ফলো করা।
এবং অবশ্যই আপনার প্রতিযোগীদের চেয়ে আপনাকে ভালো কিছু করতে হবে।
উপরের পদ্ধতিতে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম কতটা যৌক্তিক
এখন পর্যন্ত অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার খুবই জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে
- প্রোডাক্ট সিলেক্ট করা
- একটা স্ট্রং স্টোর তৈরি করা
- সেই প্রোডাক্টগুলো মার্কেটিং করা
- এবং প্রোডাক্ট গুলো বিক্রয়ের সময় দাম নির্ধারণ করা
এখানে আমি প্রথম তিনটা পয়েন্ট আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি।
সর্বশেষ পয়েন্টে যেটা রয়ে গেছে সেটা হচ্ছে প্রোডাক্টগুলোর বিক্রয়ের জন্য একটা যথাযথ দাম নির্ধারণ করা।
এই দাম নির্ধারণ করা কিন্তু অতটা সহজ কাজ নয়।
আপনি প্রোডাক্টগুলো কিনেছেন এবং আপনি স্টোরটি পরিচালনা করছেন সেই সাথে আপনি মার্কেটিং করছেন।
এখানে প্রোডাক্ট কেনা থেকে শুরু করে মার্কেটিং শেষ করে কাস্টমারের কাছে অব্দি পৌঁছাতে আপনার যতগুলো খরচ হয়েছে সবগুলো খরচের উপর বিবেচনা করে প্রোডাক্টের দাম নির্বাচন করতে হবে।
প্রোডাক্ট এর দাম বিক্রয়ের জন্য আপনি একটু সময় নিয়ে একটু ভেবেচিন্তে তারপরে নির্ধারিত একটা দাম দিয়ে দিবেন।
এতকিছুর পরেও অনলাইনে কাপড় ব্যবসা কতটুকু লাভজনক
এখানে আমি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে যখন আলোচনা করেছি তখন আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে এটা কতটা সহজ হবে কিংবা কঠিন হবে।
অথবা কাপড়ের ব্যবসাটি ঠিক কতটা প্রতিযোগিতামূলক।
আপনাকে শুরুতেই কতটা স্ট্রাগল করতে হবে এই সবগুলো আপনার পুরো মার্কেট এনালাইস করে বুঝতে হবে।
আর আপনি যদি একবার মার্কেটিং বুঝে যান এবং একবার খুব ভালোভাবে পারফর্ম করতে পারেন তাহলে আপনার এই ব্যবসাটি নিয়ে দ্বিতীয়বার পিছনে ভাবতে হবে না।
তাই সঠিক মার্কেটিং সঠিক স্ট্র্যাটেজি সঠিক নিয়ম কানুন ফলো করে অনলাইনে খুব ভালো একটা ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
শেষ কথা
অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম যতটা সহজ ঠিক তার বিপরীতে ব্যবসাটি পরিচালনা করা এর চেয়ে একটু বেশি কঠিন।
তাই কিভাবে আপনি একটি ব্যবসা শুরু করবেন এবং যথাযথভাবে ব্যবসাটি পরিচালনা করবেন সেই সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাই এই আলোচনা থেকে আপনি কতটুকু বুঝলেন এবং আইডিয়াগুলো আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন।
এভাবে আরও ব্যবসায়িক আইডিয়া এবং মার্কেটিং টিপস গুলো জানতে সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।